ভ্রমণ :- রকি ভাইয়ের সাথে মাল্টা বাগান ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি শেয়ার করব আপনাদের মাঝে রকি ভাইয়ার সাথে মালটা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আপনারাও অনেকে জানেন আমাদের বাড়ির পাশে ছোট ফেনী নদী আছে। আর এই নদীর দুইপাশে অনেক বড় বড় চর আছে। যদিও নদীর দুইপাশে সরকারিভাবে গাছ রোপন করেছে। আর নদীর উপরে অনেক খানি জায়গার মধ্যে মালটা বাগান চাষ করেছে। আর এই মালটা বাগানের গাছগুলো এখন বড় হল অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোক আসে এখানে ঘুরতে। যদিও বিকেল বেলা এখানে অনেক লোক হয়।
এক পাশে মালটা বাগান অন্য পাশে নদী এবং নদীর দুইপাশে বিভিন্ন ধরনের ফসলের মাঠ এই কারণে সৌন্দর্য মানুষকে বেশি মুগ্ধ করা হচ্ছে। যদিও মালটা বাগান আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি দূর আছে। কিছুদিন আগে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আমাদের বাড়িতে আসলো। তখন আমি হঠাৎ করে রকি ভাইকে বললাম মাল্টা বাগান থেকে ঘুরে আসতে। যদিও অনেকদিন মাল্টা বাগানের দিকে যাওয়া হয় নাই। আর এখন তাজা মাল্টা পাওয়া যায় মালটা বাগানে। এরপর রকি ভাই ও রাজি হয়ে গেল মাল্টা বাগানে ঘুরতে যাবে। যদিও আমরা রমজানের আগে ঘুরতে গেলাম মাল্টা বাগানে।
তারপর আমি রকি ভাই এবং নাশিয়া বাইক করে মাল্টা বাগানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাইকে করে আমাদের বাড়ি থেকে মাল্টা বাগান যেতে সর্বোচ্চ ৮ থেকে নয় মিনিট লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ওখানে পৌঁছে গেলাম। যদিও ওই সময় মালটা বাগানের সিকিউরিটি লোক ছিল না। এই কারণে আমরা মালটা বাগানের ভিতর যেতে পারলাম না। তবে আমরা মাল্টা বাগানের চারপাশে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। যদি ওখানে সিকিউরিটি থাকতো তাহলে ওখান থেকে মাল্টা কিনতে পারতাম।
আবার মাল্টা বাগানের মালিকের কথা হচ্ছে কেউ যদি মাল্টা খেতে চায় তাহলে খেতে দেওয়ার জন্য। টাকা না নেওয়ার জন্য বলেছে। তবে অনেক সময় মানুষ গেলে তারা মানুষকে আপ্যায়ন করে মাল্টা খাওয়ার জন্য। এবং মাল্টা বাগানের পাশে অনেক বড় তরমুজ বাগান আছে। বলতে গেলে এখানে একটা হচ্ছে পর্যটক এলাকার মত। যদিও জায়গাটি অনেক নিরিবিলি। এই কারণে দূর দুরন্ত লোক আসলে এলাকার পরিচিত লোক থাকলে ভালো হয়। যদিও এই মাল্টা বাগানটি আমাদের এলাকার একদম পাশে।
এরপর আমরা অনেকক্ষণ ওখানে ঘুরাঘুরি করলাম সত্যি অনেক ভালো লাগলো। যদিও আমরা দুপুরের পরপর খাওয়া-দাওয়া করে মাল্টা বাগান ঘুরতে গেলাম। এই কারণে দোকান বন্ধ ছিল। শুধু একটা রং চায়ের দোকান খোলা ছিল। আর রং চা আমার খুব প্রিয় এই কারণে দুই কাপ একসাথে খেয়েছি। এবং আমাদের নাশিয়া ওখান থেকে চিপস ও অন্যান্য জিনিস কিনলো। তবে গ্রীষ্মকালে মাল্টা বাগানে ঘুরতে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। আর বর্ষার সময় নদীতে পানি থাকে এ কারণে পানি থৈথৈ করে। এই হল মাল্টা বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1771100413527245000?t=RTA5Cobvrl4fALoh_1_qZw&s=19
মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। মালটা বাগানের পরিবেশটা বেশ সুন্দর তাই মানুষ যখনই সুযোগ পাই ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসে। মালটা বাগানের ভেতরে যেতে পারলেন না শুনে খারাপ লাগলো। একদিন সময় করে যাবেন যখন সিকিউটরি থাকে। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। আপনার ছবি দিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো।
আসলে ওই মুহূর্তে মাল্টা বাগানের সিকিউরিটি ছিল না। এই কারণে ভিতরে যেতে পারলাম না। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
একটু ঘোরাঘুরি না করলে ভালো লাগে না আপনি সবুজ প্রকৃতির মাঝে রকি ভাইয়ের সাথে বেশ সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন মনে হচ্ছে। এই মালটা গুলো খেতে একটু টক হলেও বেশ ভালো লাগে। তবে আপনারা মালটা বাগানে ঢুকতে পারেনি জেনে একটু খারাপ লাগলো বেশ ভালোই করছেন কেননা সেখানে সিকিউরিটি ছিল না।
আসলে মাল্টা তাজা এই কারণে খেতে খুব ভালো লাগে মাল্টাগুলো। সুন্দর মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আপনাকে।
রকি ভাইয়ের পোস্ট এ মাল্টা বাগানের ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আসলে ভাইয়া মাল্টা বাগান থেকে সরাসরি মাল্টা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছেন। এটা জেনে ভালো লাগলো যে সবাইকে তারা মাল্টা দিয়ে অ্যাপয়ন করে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাল্টা বাগানের মালিক যে সে ঘুরতে গেলে মানুষদেরকে মালটা খেতে দিতে বলেছে। আর এই কারণে সবাইকে মাল্টা খেতে দেয়। খুব সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
রকি ভাইয়ের সাথে মালটা বাগান ঘুরতে যাওয়ার দারুণ একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে নদীমাতৃক আমাদের দেশে নদীর দুই পাশে সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠ গড়ে ওঠে। আর সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সকলেই আগ্রহী হয়। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নদীর দুইপাশে সবুজ শ্যামলা বিভিন্ন ধরনের ফসলের মাঠ। এই কারণে মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার বাড়ি থেকে মাল্টা বাগান টা দেখছি বেশ কাছেই। কিন্তু বাগানে সেরকম মাল্টা নেই দেখছি। ফেনী নদীর নাম অনেক শুনেছি। ফেনী নদীটাও আপনার বাড়ি থেকে তাহলে কাছে। ব্যাপার টা বেশ ভালো। রকি ভাইয়ের সাথে মাল্টা বাগানে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি।
আসলে ভিতরে গাছগুলোর মধ্যে মাল্টা আছে। আমরা ভিতরে যেতে পারলাম না এই কারণে মাল্টার ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনি এবং রকি ভাই মালটা বাগানে ঘুরতে গেলেন দেখে ভালো লাগলো। যদিও আপনাদের সাথে রকি ভাইয়ের মেয়ে নাশিয়া গেল ঘুরতে। তবে মালটা বাগানটি অনেক সুন্দর শুনেছি নদীর ধারে। যদিও আপনারা মালটা বাগানের ভিতরে যেতে পারলেন না সিকিউরিটি না থাকার কারণে। মালটা বাগানের ভিতরে গেলে আপনাদের কাছে আরো ভালো লাগতো। আর নদীর পাশে মালটা বাগান ও অন্যান্য বাগান থাকলে পরিবেশ খুব সুন্দর হয়। যাহোক আপনারা ভালো সময় কাটিয়েছেন ।এবং খুব সুন্দর করে মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ নদীর পাশে মাল্টা বাগান অন্যান্য বাগান আছে। এই কারণে দূর দুরন্ত থেকে মানুষ আছে দেখার জন্য। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে ভ্রমন করতে কে না পছন্দ করে। সকলেই ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। আর সোনিয়া আপু এবং রকি ভাই আপনার বসাতে বেড়াতে গিয়েছিল। তখন রকি ভাইকে সাথে নিয়ে এই মালটার বাগানে ভ্রমণ করলেন। মালটার বাগানে এক পাশে অন্য পাশে নদী আর এই নদীর এখানে অনেক ধরনের ফলের বাগান। আসলে এরকম সুন্দরময় দেশের মধ্যে ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক ভালো লাগে। সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নদীর দুইপাশে চরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফসল এবং বাগান আছে। এই কারণে এসব জায়গাতে ঘুরতে এমনিতে ভালো লাগে। আপনার চমৎকার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।