লাইফস্টাইল // ২৭ রমজানের দিন গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলাম
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০৪-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফস্টাইল // ২৭ রমজানের দিন গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলাম। আজকে সকাল থেকে বাড়িতেই বসে আছি কিন্তু আপনাদের মাঝে যুক্ত হতে পারিনি। আসলে শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ তাই যুক্ত হতে পারেনি। তাও আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারেও আমরা গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলাম। আসলে এই ইফতারের জন্য পুরো দায়িত্ব মূলত আমার হাতে এসে পড়েছিল। গ্রামের যুবক ছেলেরা সকলেই এই দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিল। এবার ইফতারি দেওয়ার জন্য আমরা ২৫ রমজানের দিন বিকেল বেলায় এক জায়গায় বসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ২৭ রমজানের ইফতারি দিতে হবে প্রত্যেকবারের ন্যায় এবারেও। সেখান থেকে দুই দিনের মধ্যেই সব টাকা তোলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে আমরা ইফতারি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনার উপরের ছবি থেকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। ইফতারের জন্য যখন আমরা বাজারে গিয়েছিলাম তখন আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। বাড়িতে এসে যখন ইফতারি গুলো অনেক সুন্দরভাবে আমরা সকলেই কাটাকাটি করছিলাম তখন কলা এবং তরমুজের ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। সবকিছুর ছবি তুলে রেখেছি পর্যায়ক্রমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আপনারা আবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আবারো তিনটি ছবি শেয়ার করেছি। এবার আমি আপনাদের মাঝে তিনটি ফলের ছবি শেয়ার করেছি। পেয়ারা,মালটা ও আঙ্গুর ফল এই সবকিছু কাটার পর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে ছবি তুলেছিলাম। আসলে এই সমস্ত জিনিসগুলো আমরা মূলত কিনেছিলাম আমাদের বামুন্দি বাজার থেকে। ইফতারি দেওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছিল আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রবাসে থাকা ছেলে। মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমরা এবারও ইফতারি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে তিনটি আইটেমের ছবি তুলে শেয়ার করেছি। ক্ষীর খেজুর, আনারস ও আপেল ফল। আসলে আমাদের মসজিদের প্রায় প্রত্যেক রমজানের দিনেই ইফতারির ব্যবস্থা থাকে। আসলে ইফতারির সময় আমারও সকলেই কমবেশি বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়ে থাকি। এবং ইফতারি শেষে আমরা আবারও তারাবির নামাজ শেষে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রত্যেকবার তুলনায় এবারের ইফতারি বেশ ভালো হয়েছে।
এবার আপনার উপরের ছবি দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে তিনটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আমরা মূলত শুকনা ছুলা বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলাম বাড়িতেই ছোলা ভুনা তৈরি করেছিলাম। আসলে বাজার থেকে কেনার চাইতেও বাড়িতে তৈরি করে খেলে আমার কাছে মনে হয় বেশি ভালো লাগে। তারপর আপনারা শরবত দেখতে পারছেন। আসলে লাস্টের কয়েকটা রোজায় বেশ গরম পড়েছিল তাই শরবত প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই বেশ প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা লেবু সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে মিষ্টি জাতীয় শরবত তৈরি করেছিলাম। আসলে ইফতারির সময় শরবত খেতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে
পাড়ার সকল ছেলেরা মিলে যখন আমরা মসজিদের ছাদে ইফতারি প্লেটে সাজাতে ছিলাম তখন আমি অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্লেটগুলো ছাদের উপরে সাজিয়ে রাখার পরে রোজাদার ব্যক্তিরা যখন এসে বসেছিল তখন আমি একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম। সবার শেষে আমরা গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে এবার আমরা মোট ২২০ প্যাকেট ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা যেন প্রত্যেক বছর রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য এমন ইফতারের ব্যবস্থা করতে পারি সকলেই দোয়া করবেন। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন । সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সবার এত সুন্দর ইফতারের আয়োজন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে একতার বন্ধন সেখানে সুন্দর অনেক বেশি বহন করে। সবাই অল্প অল্প করে টাকা দিলেও অনেক বড় এমাউন্টের টাকা হয়ে যায়। আপনারা সবাই মিলে ইফতারের আয়োজন করলেন সুন্দর সুন্দর আইটেম রাখা হয়েছে ইফতারিতে। আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। বেশ ভাল অনুভূতি কাজ করলো আমার।
আমার লেখা পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম ধন্যবাদ আপু মতামত শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
২৭ রমজানে প্রায় প্রত্যেকটা গ্রাম বা প্রত্যেকটা মহল্লাতে একটা উৎসবমুখর ইফতারের আয়োজন থাকে। আর আপনারাও সেটাই করেছিলেন। আসলে এই ইফতারির আয়োজনটা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক মানুষ একসাথে ইফতার করেছেন এবং আয়োজনটা দারুন ছিল।
চেষ্টা করি ভাই প্রত্যেক বছর ২৭ রমজানের দিন গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করার জন্য।
আসলে ভাইয়া এটা একটি ভালো উদ্যোগ। সত্যি এভাবে গ্রামের যুবক ছেলেরা উদ্যোগ নিলে অনেক ভালো হবে।আপনাদের এই উদ্যেগ সফল হোক। দোয়াকরি প্রতি বছর এভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
দোয়া করবেন আপু আমাদের জন্য আমরা যেন প্রত্যেক বছর এই ইফতার পার্টির আয়োজন করতে পারি।
আপনারা গ্ৰামের ছেলেরা মিলে নিঃসন্দেহে একটা ভালো কাজ করেছেন। আপনার এই কাজটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে বেশ কয়েকজন মিলে এমন আয়োজন করলে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া সবাই মিলে একসাথে ইফতার করতে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশাকরি পরবর্তী রমজানেও এমন আয়োজন করতে পারেন সেই প্রত্যাশা করি। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
চেষ্টা করব ভাই পরবর্তী রমজানে আরো বড় ভাবে ইফতারের আয়োজন করার জন্য।
সবাই মিলে ইফতারি করার আনন্দ অনেক বেশি। আপনাদের সবার এই উদ্যোগটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর সবাই মিলে কোনকিছুর আয়োজন করতেও অনেক ভালো লাগে। ভাই আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি পড়ে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ওয়াও ভাই বেশ ভালো লাগলো আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে। এ বছরে ২৭ রমজানের দিনে গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের ইফতারের আইটেমটা বেশ দারুন ছিলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান গঠন মতামত শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের যুবক ছেলেরা মিলে খুবই সুন্দর একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখন দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অনেকেই মানুষদেরকে ইফতারি খাওয়াতে ভয় পাচ্ছে। আর সেই জায়গাটাতে আপনারা যুবক ছেলেরা মিলে গ্রামের মানুষদেরকে ইফতারি খাইয়েছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন মামা আসলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার আমাদের গ্রামে ঠিকমতো ইফতারের ব্যবস্থা হচ্ছে না। কিন্তু প্রত্যেকবার গ্রামে ৩০ রমজান ইফতারি হতো মসজিদে। তারমধ্যেও চেষ্টা করেছি আমরা যুবক ছেলেরা মিলে ইফতারের ব্যবস্থা করার জন্য।
আপনাদের উপর ইফতারের দায়িত্ব দিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।আশা করি আপনারা সেটি সুন্দরভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছেন।আসলে বিভিন্ন ধরনের ফল কেটে সুন্দর পরিবেশন করেছেন, এভাবে পরিবেশন করাতে পারলে মন থেকেও ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু আসলে ইফতারির দায়িত্ব আমি বেশ ভালোভাবেই পালন করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
এটা নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি উদ্যোগ। কারণ রোজাদারের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করতে পারলে,এমনিতেই অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। আর আপনারা যেহেতু ২২০ প্যাকেট ইফতারের ব্যবস্থা করেছিলেন,সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। এটা ঠিক ছোলা বাহিরে থেকে কেনার চেয়ে বাসায় তৈরি করাটা হাজার গুণে ভালো। সবমিলিয়ে পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে পোস্টি পড়ে আপনার গঠনমূলক চমৎকার মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।