"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-৫৪ || আঙ্গুরের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশী পিঠার রেসিপি তৈরি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত ৫৪ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমরা সবাই জানি যে, এবারের প্রতিযোগিতা হচ্ছে নকশী পিঠার রেসিপি তৈরি নিয়ে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আঙ্গুরের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশী পিঠার রেসিপি তৈরি করেছি। এর মধ্যে চার ধরনের ফুলের নকশী পিঠা এবং চিংড়ি মাছের নকশী পিঠা তৈরি করেছি। যাইহোক ইফতারের সময় বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে একেবারে পারফেক্ট সময়ে। এই প্রতিযোগিতার এনাউন্সমেন্ট এর পর থেকেই ইচ্ছে ছিলো অংশগ্রহণ করার জন্য। যদিও ব্যস্ততার জন্য অংশগ্রহণ করতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
আমি বাসায় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করলেও,পিঠা রেসিপি এর আগে খুব কম তৈরি করেছি। তো ইউটিউবে প্রচুর ঘাটাঘাটি করে, শেষ পর্যন্ত এই রেসিপিটা তৈরি করলাম। প্রতিটি নকশী পিঠার মধ্যে আমি আঙ্গুর ফল ব্যবহার করেছি রেসিপিটা ইউনিক করার জন্য। তাছাড়া ডিজাইনও খুব সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করেছি। তবে এই রেসিপিটা তৈরি করতে আমার ওয়াইফ আমাকে সহযোগিতা করেছে। কারণ ফুলের বিভিন্ন ডিজাইন গুলো করতে বেশ ঝামেলা হয়েছিল। ফুড কালার ব্যবহার করায় পিঠা গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। পিঠাগুলো তৈরি করার পর তেল দিয়ে ভাজলে কালার নষ্ট হয়ে যাবে বলে,আমি পিঠাগুলো ভাপ দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি। ইফতারের সময় পিঠাগুলো খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক আমি নকশী পিঠা রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে। পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে বলে,ধাপগুলো কম করে দেখিয়েছি।
আঙ্গুরের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশী পিঠার রেসিপি তৈরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আটা | পরিমাণ মতো |
ডিম | ২ টা |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
চিনি | পরিমাণ মতো |
লবণ | পরিমাণ মতো |
আঙ্গুর | ১০/১২ টা |
লাল এবং সবুজ ফুড কালার | পরিমাণ মতো |
চিরুনি,চিকন কাঠি, ছুরি,কাঁটাচামচ | ১ টি করে |
প্রস্তত প্রণালী নিম্নরূপঃ
🍲প্রথম ধাপ🍲
সবগুলো পিঠা তৈরি করার জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো আটা, দুটি ডিম,চিনি, লবণ এবং অল্প একটু তেল দিয়ে ডো তৈরি করে নিলাম। তারপর সবুজ এবং লাল রঙের ফুড কালার মিক্সড করে নিলাম। এরপর রুটির আকৃতি তৈরি করলাম।
🍲দ্বিতীয় ধাপ🍲
তারপর চিরুনি দিয়ে রুটির চারপাশে চিত্রের মতো ডিজাইন করে, ছুরি দিয়ে কেটে নিলাম। চারপাশের কেটে নেওয়া অংশ গুলো লম্বা করে লাগিয়ে নিলাম। তারপর লম্বা অংশটুকুর শুরুর দিকে একটি আঙ্গুর রেখে,এরপর পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে গোলাপ ফুলের মতো তৈরি করে নিবো। আর চতুর্ভুজের মতো অংশটুকু দিয়ে গোলাপ ফুলের লতাপাতার ডিজাইন করে নিবো।
🍲তৃতীয় ধাপ🍲
উপরের লম্বা অংশটুকু দিয়ে গোলাপ ফুল তৈরি করে নিলাম। তারপর চতুর্ভুজের মতো অংশটুকুর চতুর্দিকে তিনকোণা করে কেটে, চিকন কাঠি দিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে গোলাপ ফুলের লতাপাতার ডিজাইন করে নিলাম। একইভাবে আরও একটি কালারিং পিঠা তৈরি করে নিলাম।
🍲চতুর্থ ধাপ🍲
রুটির আকৃতির তিন দিকে কেটে, কাঁটাচামচ ব্যবহার করে আঁচড় দিয়ে ডিজাইন করে, তিনকোণা পেঁচিয়ে একসাথে লাগিয়ে ফুলের মতো তৈরি করে নিলাম। তারপর ফুলের পাপড়ি গুলো হাত দিয়ে টেনে ডিজাইন করে নিলাম। এরপর ফুলের মাঝখানে আঙ্গুর গোল করে কেটে, ফুড কালার মিক্সড করে বসিয়ে দিলাম।
🍲পঞ্চম ধাপ🍲
এই পর্যায়ে প্রথমে তিন কালারের রুটির ছোট ছোট আকৃতি দিলাম। এরপর চিত্রের মতো চিরুনি দিয়ে ডিজাইন করে, তারপর রুটির আকৃতির এক পাশ থেকে চিরুনির দাগ পর্যন্ত পেঁচিয়ে, একটু বাঁকা করে ফুল এবং ফুলের পাপড়ির মতো তৈরি করে নিলাম। একইভাবে ভিন্ন কালারের দুটি ফুল তৈরি করে, তিনটি ফুল একসাথে লাগিয়ে, মাঝখানে আরেকটি ফুল তৈরি করে বসিয়ে দিলাম। প্রতিটি ফুলের মাঝখানে আঙ্গুর ফল এবং ফুড কালার ব্যবহার করেছি।
🍲ষষ্ঠ ধাপ🍲
তারপর চিংড়ির ডিজাইন করে আরও একটি পিঠা তৈরি করে নিলাম। যদিও চিংড়ি মাছের এই নকশী পিঠাটি আমার ওয়াইফ তৈরি করেছে সম্পূর্ণটা।
🍲সপ্তম ধাপ🍲
তারপর আরও এক ধরনের পিঠা তৈরি করে, সবগুলো পিঠা ভাপ দিয়ে সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
🍲 অষ্টম ধাপ🍲
ভাপ দেওয়ার পর পিঠা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
🍲পরিবেশন🍲
তারপর খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করে সবার সামনে পরিবেশন করলাম। পিঠাগুলো ইফতারির সময় খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | প্রতিযোগিতা |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২০.৩.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ভাইয়া এতো গুলো পিঠা ইফতারে করলেন আর আমাদের দাওয়াত করলেন না। যাইহোক আগে জানলে চলে যেতাম।আপনার পিঠা গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। সত্যি ইফতারে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাবার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু দাওয়াত রইলো, যেকোনো সময় চলে আসবেন। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাই ভাইয়া যে আপনি এবারেরআমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা এর ৫৪ তম আসরে নকশি পিঠার ইউনিক একটি ডিজাইন রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। এই পর্বে আঙ্গুরের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশী পিঠার লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুনে খুশি হলাম যে আপনার এই মহান কাজের আপনার ওয়াইফ আপনাকে সহযোগিতা করেছে। আমি কখনো এরকম পিঠার রেসিপি তৈরি করে নিই তবে আপনার এই তৈরি করার রেসিপিটি দেখে বেশ উৎসাহিত হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পিঠা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই এই রেসিপিটা তৈরি করতে আমার ওয়াইফ বেশ সহযোগিতা করেছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি আমাদের সেরা ব্লগার। আপনার কাছ থেকে আমরা সেরা কিছু আশা করি। এইতো আমাদের মাঝে সেরা কিছু নিয়েই হাজির হলেন। আঙ্গুরের সাথে পাঁচ ধরনের নকশি পিঠা রেসিপিটি বেশ সুন্দর ছিল। প্রত্যেকটা নকশী পিঠার ডিজাইন অসাধারণ ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার এই উপস্থাপনা দেখে আমি শিখতে পারলাম। বাসায় অবশ্যই চেষ্টা করে দেখব। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনি যেন খুব একটা ভালো অবস্থান অর্জন করেন। দোয়া রইল আপনার জন্য।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। সবসময় চেষ্টা করি খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট আপনাদেরকে উপহার দিতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ টা দেখে তো ভালো লেগেছে অনেক বেশি। আঙ্গুলের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশি পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। চার ধরনের ফুল এবং চিংড়ি মাছের নকশী পিঠার ডিজাইন করেছেন। অনেক রকমের ফুড কালার ব্যবহার করার কারণে প্রত্যেকটা ফুলের নকশি পিঠা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার অংশগ্রহণটা সত্যিই মুক্ত করেছে আমাকে। এত রকমের নকশি পিঠা তৈরি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু ফুড কালার ব্যবহার করার কারণে পিঠাগুলো দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে আপনি চমৎকার পাঁচ ধরনের নকশী পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। আর আপনার তৈরি করা কালার ফুল পিঠাগুলো দেখতে ভারী সুন্দর লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই ভীষণ মজার হয়েছিল। ভাই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ সফল হোক এই প্রত্যাশা করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, কালারফুল পিঠাগুলো দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এবারের চলমান প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ করা দেখে খুবই ভালো লাগছে ভাইয়া।আপনি খুব ইউনিক পদ্ধতিতে নকশী পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । আঙ্গুরের স্বাদে পাঁচ ধরনের নকশী পিঠার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে । পিঠাগুলো ভাপ দিয়ে সেদ্ধ করার পর দেখতে বেশি সুন্দর লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, পিঠাগুলো ভাপ দিয়ে সিদ্ধ করার পর দেখতে আসলেই দারুণ লেগেছিল। যাইহোক রেসিপিটা দেখে গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। ভাই আপনি তো অসাধারণ নকশী পিঠা তৈরি করেছেন। আঙ্গুরের নকশি পিঠা চিংড়ি মাছের নকশি পিঠা ও ফুল অসাধারণ হয়েছে। এত মজাদার মজাদার ইউনিক রেসিপি গুলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম।
আসলে এমন মন্তব্য পেলে কাজের গতি অনেকটা বেড়ে যায়। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি তো একেবারে নকশী পিঠাগুলো আঙ্গুর দিয়ে তৈরি করে ফেলেন। অঙ্কুরের সাধের ও নকশী পিঠা রয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমার কাছে কিন্তু এই ধরনের পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু আপনার তৈরি করা এই পিঠা আমার এখনো খাওয়া হয়নি। ডিজাইন গুলো দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। ভাবতেছি একবার আপনার এই নকশী পিঠাগুলো তৈরি করে দেখব খেতে কেমন হয়। বেশ মজা ছিল আপনার এই পিঠাগুলো মনে হচ্ছে।
এই পিঠাগুলো অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু। আশা করি দারুণ লাগবে খেতে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে এভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।