প্রাইভেট কারের ড্রাইভারের মুখে রিক্সার ড্রাইভার এর চড়।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
এ এক চরম প্রতিবাদ উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রাইভেট কারের ড্রাইভারের মুখে রিক্সার ড্রাইভার এর চড়। |
---|
তখন মাত্র আমার বিদেশ যাওয়ার কথা চলছিল।নিজেদের স্থানীয় বাজারের নামার বাজার একটি জায়গায় আড্ডা দিতাম। সেখানে আমার এক বন্ধুর দোকান ছিল। সেখানে যেতাম আড্ডা দিতাম আর চা কফি খেতাম। আর ঘটনাটা ঘটেছিল সেই দোকানের সামনেই।সেদিন বাড়ি থেকে সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু আরাম করে বিকেল বেলায় গেলাম বন্ধুর দোকানে।
সেখানে নাস্তা করলাম,নাস্তা করার পরে রোডের পাশে এসে দাঁড়িয়ে রইলাম।তখন দেখতে পেলাম যে একটা প্রাইভেট কার একদিক থেকে আসতেছে।আর একটি অটো রিক্সা অপর দিক থেকে আসতে ছিল।জায়গাটা কিছুটা সরু ছিল যার কারণে দুটো গাড়ি যেতে কিছুটা সমস্যা বোধ হচ্ছিল। তখন প্রাইভেটকার এর ড্রাইভার সে তার গাড়ি সাইড না করে ওই রিক্সার ড্রাইভারকে বলে সাইট করে নিতে।
পরে রিক্সার ড্রাইভার সাইট করে নিতে তার চাকার লোহার সাথে ওই প্রাইভেটকারের বড়িতে দাগ পড়ে যায়। সাথে সাথেই রিক্সার ড্রাইভার এটা দেখে একদম থ! হয়ে গেল। এক্ষেত্রে যেটা লক্ষ্য করলাম যখন রিক্সার ড্রাইভার সাইট করে নিচ্ছিল,তখন আবার সেই কারের ড্রাইভারও গাড়ি চালাতে শুরু করলো।পরবর্তীতে ড্রাইভার যখন বুঝতে পারে যে তার গাড়ির সাথে লেগে গিয়েছে বা কোথাও সমস্যা হয়েছে। তখন সে দ্রুত গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।
আর সাথে সাথে রিক্সার ড্রাইভারকে দাঁড়াতে বলে আর সাথে সাথে তার কলার চেপে ধরল। এরপর গলা চেপে ধরার সাথে সাথেই দু-একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিল আর সাথে গালাগালি শুরু করলো।তখন এই রিক্সার ড্রাইভার দুই হাত জড়ো করে ক্ষমা চাইতে লাগলো এবং অনেক বেশি নাজুক হয়ে গেল। কিন্তু প্রাইভেট কারের ড্রাইভার তাকে ছাড়ছে না সে গালাগালি করছে আর একটা একটা করে থাপ্পড় দিচ্ছিল।
তখন হঠাৎ আমি রিক্সার ড্রাইভারের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি তার মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। এটা দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তখন সাথে সাথে আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং প্রাইভেটকারের ড্রাইভারকে ধাক্কা দিয়ে বললাম একে ছেড়ে দে। তখন আমি বলতে লাগলাম যে তুই সাইট করে না নিয়ে ওকে কেন সাইট করতে বললি। আর ও যখন সাইট করতেছিল তখন তুই আবার টান দিলি কেন।
যখন আমি সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের সাথে কথা বলছিলাম, তখন পুরো নামার বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে গেল। পুরো রাস্তার চারিদিকে রোড ব্লক হয়ে গেলে। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে ড্রাইভার যেহেতু মানুষ তার ভুল হতে পারে। তাই সে ক্ষমা চাইল এবং অনেক বেশি নাজুক হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও সে ওকে মারতে ছিল এবং রক্ত পর্যন্ত বের করে ফেলছে। তাই আমি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই রিক্সার ড্রাইভার ওই প্রাইভেট কারের ড্রাইভারকে চড় মারবে।
গল্পটা একটু বড় তাই আগামী পর্বে বাকি কথাগুলো শেয়ার করব । যাইহোক কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🏝️🙏🏝️🙏🏝️
https://x.com/Nevlu123/status/1881904085886267752
এটাতে সম্পূর্ণ দোষ ছিলো প্রাইভেট কারের ড্রাইভারের। কারণ রিক্সা চালক তো তার কথা অনুযায়ী রিক্সা সাইট করছিলো। কিন্তু গাড়ির ড্রাইভার যদি গাড়ি টান না দিয়ে রিক্সা সাইট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতো,তাহলে কিন্তু গাড়িতে দাগ পড়তো না। নিজে দোষ করে আবার রিক্সা চালককে মারা শুরু করেছে। লোকটা তো দেখছি বেশ খারাপ। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
লোকটা মূলত উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রাইভেট কারের ড্রাইভার তাই তার একটু পাওয়ার দেখালো আর কি। তবে আমিও বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলাম। কালকে আগামী পর্ব শেয়ার করব আশা করছি ভিজিট করবেন।
এভাবেই কিছু মানুষ রিক্সা ড্রাইভার কিংবা অন্য সব নিরিহ মানুষের প্রতি নির্যাতন করে থাকে।দোষ করেও রিক্সাওলারকেই মারলেন কার চালক ও রক্ত ঝাড়ালেন।কাউকে শারিরীক ভাবে আঘাত করা অপরাধ। আপনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন এবং শাস্তি হিসেবে রিক্সওলাকে দিয়ে চর মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আসলে আপু তখন ওর মুখের রক্ত দেখে আমার মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই কেউ প্রতিবাদ না করলেও আমিই প্রতিবাদ করতে চলে গেলাম।