স্বরচিত কবিতাঃ "মোর দীপাবলি"

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে অনেকদিন পর চলে এলাম একটি স্বরচিত কবিতা নিয়ে।আর না বললেই নয়,এটাই হলো আমার পোস্ট করার সবচাইতে সবচাইতে সবচাইতে পছন্দের টপিক।কারণ,কবিতা লেখা আর কবিতা পড়ে ভাবার মধ্যে আলাদা রকমের ই শান্তি কাজ করে আমার মনে।কোনো কিছু তৈরির মাঝে সবসময় যেনো আলাদা আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়,ঠিক তেমনটাই আরকি।

আজকের কবিতাটি আসলে বিশেষ একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।অর্থাৎ বাংলাদেশী মানুষজন কমবেশি সকলেই মুনজারিন আর আয়মান এর বিয়ের কথা জানেন।আসলে ভালোবাসা সুখের সংসার এ রূপ নিলে তা দেখার মতো শান্তি আর কিছুতেই নেই।তো এক টুকরো শান্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম সাধু ভাষায়।কিছুটা সাধু চলিত মিক্স ই হয়ে গিয়েছে।কারণ সাধু ভাষাটা একটু কঠিন ই আছে,যাকে বলে গুরুচন্ডালী।তাও চেষ্টা করলাম আরকি।আশা করছি আপনাদের বিশেষ মন্দ লাগবেনা,ভালোই লাগবে।তাহলে চলুন শুরু করি,

স্বরচিত কবিতাঃমোর দীপাবলি

পরাণ আমার বাঁধিয়া রাখি,
ছুটে যায় কোন সে রণে!
পরাণ তোমায় দেখিতে চাহে,
পরাণ পোড়ে খুব গোপনে।

যদি দেখা নাহি পাই,যদি ছুঁতে নাহি পাই?
পরবে কি সে চরণধূলি মোর আঁধার নিকষ ঘরে!
করবে সে আলোয় আলোকময় মোর উঠান জুড়ে,
দীপ জ্বালাবে আমার বহ্নি আমার নিকষ কালো ঘরে।

দীপ জ্বালিয়ে দীপমালা জড়িয়ে,
বহ্নির রূপে আমার দীপাবলি।
আমি এক সে তুচ্ছতম,
খুঁজিয়া মরি মনের মন্দিরের অলগলি।
লালপেড়ে শাড়ি,পেঁচার জ্বলজ্বলে আঁখি,
পেঁচারাণী কহিয়া বহ্নিকে উসকানো ভারি।

রক্তিম সে গালে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে মন কোথায় যেনো হারায়!
আলতা পরা পায়ে নুপুর ধ্বনি আমার উঠোন মাতায়।
লাল পেড়ে শাড়ি, আমার ঘর আলোকিত রজনী,
কোমল সে স্পর্শে আমি জানি আমি হারি।

বারেবারে আমি হেরে যাই নয়ন জোড়ার প্রেমে,
বারেবারে আমি হেরে যাই আমার প্রিয়ার রূপে।
বারেবারে আমি হেরে যাই আমার হৃদয় টানে,
বারেবারে আমি হেরে যাই উষ্ণতার সে শিশির ভোরে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।