আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -১৫steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


আমার সিকিম-দার্জিলিং ট্যুরের আজকের এপিসোড নাম্বার হলো পনের । দেখতে দেখতে একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি । আর বড়জোর ৩-৪ টে এপিসোড বাকি আছে । বাতাসিয়া লুপ থেকে ফিরতে ফিরতে সকাল ন'টা বেজে গেছিলো । দ্রুত হোটেল রুমে ঢুকেই অমনি ব্রেকফাস্ট এর অর্ডার দিলাম ।

তিরিশ মিনিটের মধ্যেই ডাক পড়লো ব্রেকফাস্ট এর জন্য হোটেলের ডাইনিং হলে । খুবই হালকা ব্রেকফাস্ট । হিঙের কচুরি, আলুর তরকারি আর ডবল ডিমের ওমলেট । ব্রেকফাস্ট করছি এর মধ্যে আমাদের হোটেলের ম্যানেজার এসে একটা রিকোয়েস্ট করলেন। তাঁর মেয়ে কলকাতায় পড়াশোনা করছে । covid সিচুয়েশন এর পর থেকে এখন ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে । অনলাইনে কোনো কাজ থাকলে সাজেস্ট করতে বললেন ।

আমি বুঝলাম না যে উনি কিভাবে জানতে পারলেন যে আমি আইটির সাথে কানেক্টেড । যাই হোক পরে ওনাকে স্টিমিট সহ বেশ কয়েকটা ফ্রীল্যানসিং কাজের কথা বিস্তারিত জানিয়েছিলাম কলকাতা ফেরার আগেই ।

যাই হোক, ব্রেকফাস্ট করে দশটার সময় হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম "জাপানি মন্দির ও পীস টেম্পল" দেখার উদ্দেশ্যে । খুব একটা দূরে নয় সেটি । মাত্র মিনিট তিরিশেক লেগেছিলো পৌঁছতে ।

পাহাড়ের ঢালে একটা টিলার উপরে এই মন্দির । এটি মূলত জাপানি বৌদ্ধ মন্দির । মন্দির থেকে আন্দাজ দু'শো গজ দূরে পীস টেম্পল বা শান্তির মন্দির অবস্থিত । বিশাল একটা বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে পীস টেম্পল-এ ।

মন্দিরের ভেতর জুতো খুলে প্রবেশ করলাম । সম্পূর্ণ কাঠের তৈরী মন্দির এটি । ঘরের দেওয়াল, মেঝে, সিলিং, সিঁড়ি সব কিছুই কাষ্ঠ নির্মিত । ভেতরে অদ্ভুত একটা শান্ত সমাহির পবিত্র পরিবেশ । আপনা থেকেই মনে শান্তি চলে আসে । সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে গেলাম । দোতলার দুই কামরার প্রত্যেকটা দেওয়ালে হাতে আঁকা অসাধারণ কিছু শিল্পকর্ম । দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায় । এগুলি মূলত স্কেচ । ব্ল্যাক ইন্ক্ দিয়ে ।

মূল মন্দির গৃহ অপরূপভাবে সজ্জিত । ঘুরে ঘুরে সব দেখে ছবি তুললাম । এরপরে গেলাম পীস মন্দিরে । বিশাল একটা টাওয়ারের উপরে অবস্থিত এই মন্দির । মন্দিরের ঠিক সামনে বিশাল একটা বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে । মন্দিরের টাওয়ারে উঠে দেখলাম উত্তর দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দারুন একটি রূপ দেখা যাচ্ছে ।

বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা অবশেষে বেরিয়ে পড়লাম আমাদের নেক্সট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ।


জাপানি মন্দিরের বহির্বিভাগ । মন্দির প্রাঙ্গনে একটা ধর্মীয় স্তম্ভ রয়েছে । আর মন্দিরে প্রবেশের ঠিক মুখটিতে অর্থাৎ প্রধান প্রবেশদ্বারের দুই পাশে শ্বেত পাথরে নির্মিত দুইটি সিংহের প্রতিমূর্তি রয়েছে ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মন্দিরে ঢোকার পরেই তথাগতের এই পেতল নির্মিত মূর্তিটি রয়েছে । আর মন্দিরের দেয়ালে রয়েছে প্রাচীন জাপানি দেবতা সূর্য্যের মুখায়বয়ের একটা পেতল নির্মিত গোলাকার শীল্ড ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মন্দিরের দোতলায় দেওয়ালে দেওয়ালে রয়েছে অসাধারণ সব শিল্প কর্ম ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মন্দিরের দোতলায় অবস্থিত প্রধান প্রার্থনালয় । দারুন ভাবে সজ্জিত গৃহটি ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১০ টা ৫৫ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এই সেই বিখ্যাত পীস টেম্পল ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১১ টা ১০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পীস টেম্পলে উঠে উত্তর দিকে তাকালেই রোদ ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা যায় দারুণভাবে । বেশ কিছুটা আমরা সময় কাটিয়েছিলাম অনেকটাই উঁচু এই পীস টেম্পল প্রাঙ্গনে ।

তারিখ : ১৯ নভেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট

স্থান : দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ৫০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ২য় দিন (500 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 02)




সময়সীমা : ২২ নভেম্বর ২০২২ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ৩০ নভেম্বর ২০২২


টাস্ক ১২৮ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : fb8d647885845cfee94f86bde5dc90c76303418dbcf894b89a9deafed2f56f7f

টাস্ক ১২৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Sort:  

দাদা তোমার লেখা ভ্রমণ কাহিনী গুলো খুব সুন্দর হয়। জানিনা কখনও এই জায়গাগুলোতে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা, তবে তোমার মাধ্যমেই দেখে নিতে পারছি এটাই কম কিসের।

আমি বুঝলাম না যে উনি কিভাবে জানতে পারলেন যে আমি আইটির সাথে কানেক্টেড।

এটা আমার কাছেও বেশ অবাক লাগলো। কোনো ভাবেই তো জানার কথা না।🤔

 3 years ago 

আমি যেয়ে বলে দিয়েছি😜

 3 years ago 

হা হা মজা পেলুম :)

আমিও সেটাই ভাবছিলাম। হা হা হা....

 3 years ago 

দাদা শুনেছি বিচক্ষণ ব্যাক্তিদের নাকি সবসময় আলাদা ভাবে চেনা যায়।তাই আপনি যে বেশ জানা শুনা মানুষ তা বুঝতে সময় লাগেনি।আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে আরকি।ওই পেতলের মূর্তি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।

 3 years ago 

দাদা আপনার ভ্রমনের পর্ব গুলো ভালই লাগতেছিলো। আর মাত্র তিন চারটা আছে, আমি তো ভেবেছিলাম কম পক্ষে পঞ্চাশটা হবে। যায়হোক পীস টেম্পল টা অনেক ‍সুন্দর লাগলো। পীস টেম্পল থেকে ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারন। তবে দাদা হোটেলের ম্যানেজার কিভাবে জানলো যে আপনি আইটির সাথে কানেক্টেড। সেটাই বুঝতেছি না। কেউ কি বলে দিলো না কি। ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

দাদা আপনার ভ্রমণের সবগুলো পোস্টটি আমি পড়েছি।সবগুলো জায়গাই এত ভালো।আমার তো মনে হচ্ছে যেয়ে একটু দেখে আসি😊।পিস টেম্পল জায়গাটাও অনেক ভালো লেগেছে আমার।এখানে আবার কাঠের মূর্তি সত্যি বেশ ভালো।কিন্তু হোটেলের মালিক কিভাবে জানলো,আপনি আইটির সাথে জড়িত এটাই তো প্রশ্নের ব্যপার।তারপরেও তার মেয়েকে কাজের স্টিমিট,ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যপারে বলেছেন।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

সত্যিই দাদা দেখতে দেখতে সব কিছুই এভাবে শেষ হয়ে যায়। আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি দাদা হোটেলের ম্যানেজার কিভাবে জানলো যে আপনি আইটির সাথে কানেক্টেড।যাইহোক দাদা পীস টেম্পল বা শান্তির মন্দির টি অসাধারণ ছিল। দেয়ালের কারুকার্য গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। টিনটিন বাবুকে দারুণ লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 years ago 

দাদা আপনার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমন বিষয়ক সব পোস্টই আমার পড়া হয়েছে।আজকের ফটোগ্রাফি গুলো ও অনেক ভাল লাগলো। পিস ট্ম্পেল জায়গাটাও অসাধারণ লাগলো। দেয়ালের কারুকাজগুলো বেশ ভাল লাগলো। আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। চোখে দেখতে পেলে ভাল লাগাটা পরিপূর্ণ হতো।টিনটিন বাবুকে সুন্দর লাগছে।। 🥰 অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 3 years ago 

ছবি গুলো দেখতেই ইচ্ছে করে যে এখনই ছুটে যাই। কি অপূর্ব লাগছে মন্দিরের ভেতরের এবং বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো। চোখ জুড়িয়ে গেল যেন। আচ্ছা দাদা পিস টেম্পল নাম করণের পেছনে আলাদা কি কোন বিশেষত্ব আছে?

Congratulations!

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

 3 years ago 

আমি বুঝলাম না যে উনি কিভাবে জানতে পারলেন যে আমি আইটির সাথে কানেক্টেড ।

সত্যি দাদা ব্যাপারটা আমার কাছেও বেশ অবাক লেগেছে। আসলে হয়তো উনি কোন ভাবে আন্দাজ করতে পেরেছিলেন না হলে ব্যাপারটি হয়তো কাকতালীয়। যাইহোক দাদা ভ্রমণের এবারের পর্বটি ভালই লাগলো। জাপানি মন্দিরের ভিতরেটা সত্যি অনেক সুন্দর। এছাড়া দেওয়ালের কারুকার্য গুলোও অনেক সুন্দর। আসলে নতুন নতুন জায়গায় গেলে নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়। যদিও আমি অনেক আগে আমাদের বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়েছিলাম। সেখানেও এরকম মূর্তি ছিল। তবে সেগুলো স্বর্ণের মূর্তি ছিল।