একটি স্মরণীয় দিন : টিনটিনের বিদ্যারম্ভ শুরু, স্কুলে প্রথম দিন
আজকে আমাদের ফ্যামিলিতে একটা স্মরণীয় দিন । আজ আমার ছেলে টিনটিনের স্কুলের প্রথম দিন । ওর বয়স এখন চার । তাই আমরা সবাই মিলে ওকে স্কুলে ভর্তি করতে ডিসিশন নিয়েছিলাম । যদিও আমি নিজে বাচ্চাদের খুব কম বয়সে স্কুলে পাঠানোর বিপক্ষে । কিন্তু, টিনটিনের একদম কোনো ফ্রেন্ড নেই । তাই চাচ্ছিলাম প্লে গ্ৰুপে ভর্তি করালে অন্তত বেশ কিছু ফ্রেন্ড হবে ওর ।
আমাদের বংশে একমাত্র আমি ব্যাতিত আর সব ছেলেপুলের দেরিতেই স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল । আমার জেঠু-কাকুদের ছেলেমেয়ে অর্থাৎ আমার কাজিনেরাও কেউ ছ'বছরের নিচে স্কুলে ভর্তি হয়নি । আমার দাদা (আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই) শুনেছি সরাসরি ক্লাস থ্রী-তে ভর্তি হয়েছিল । আর আমার ভাইও (ছোট) ক্লাস টু-তে স্কুলে ভর্তি হয় । শুধু আমি ভর্তি হয়েছিলাম কবে মনে নেই । তবে মায়ের কাছে শুনেছি "স্কুলে যাবো..... স্কুলে যাবো" বলে খুব বিরক্ত করতাম বলে মোটে দেড় বছর বয়সে আমাকে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশে যে পাঠশালাটি ছিল সেখানে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলো ।
তখন আমি সবে হাঁটতে শিখেছি । আর আধো আধো ভাঙা ভাঙা কথা বলতে পারতাম । মা কোলে করে পাঠশালায় বসিয়ে দিয়ে আসতো । আবার ঘন্টা দেড়েক পরে বাড়ি নিয়ে আসতো । প্রায় ১ বছর এই পাঠশালায় ছিলাম । শ্লেট চক দিয়ে হিজিবিজি আঁকতাম শুধু ।
এরপরে ভর্তি করিয়ে দেয় বড় পাঠশালায় । আগেরটা ছিল ছোট পাঠশালা । এই বড় পাঠশালায় আমার আসল বিদ্যারম্ভ । এরপরে ছোট ওয়ান, বড় ওয়ান, টু ....।" তো যাই হোক গতকাল টিনটিনকে আমাদের বাড়ির কাছে একটা ইংলিশ মিডিয়াম প্রী-স্কুলে প্লে গ্রুপে ভর্তি করিয়ে দিয়েছি ।
আর আজকে ছিল টিনটিনের জীবনে প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিন । সকাল দশটায় স্কুল । টিনটিন এমনিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠে সাড়ে এগারোটার দিকে । আজ কিন্তু সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে বসেছিল । কি জানি স্কুলে যাওয়ার উত্তেজনায় কি না । এরপরে ওর মা ওকে স্নান করিয়ে ড্রেস আপ করিয়ে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বাক্স, জলের বোতল এসব গুছিয়ে দিলো । আর টিনটিন নিজের প্রিয় বই-খাতা, রং পেন্সিল, ইরেজার আর কাটার যত্ন করে গুছিয়ে ব্যাগে ভরলো ।
ব্যাস স্কুলে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ রেডি । বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে গাড়িতে লাগে মোটে আট-দশ মিনিট । তো স্কুলে গিয়ে যেই মা কে ছেড়ে থাকতে হবে দেখলো সেই মহা কান্নাকাটি জুড়ে দিলো । তবে স্কুলের মিস সামলে নিলেন ব্যাপারটা ।
এরপরে টানা দেড় ঘন্টা ক্লাস করে বাবু বাড়ি ফিরে খেয়েদেয়ে এখন music বাজাচ্ছে মেলোকর্ডে ।
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৬৫ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 3f2d037f20069e4a1b951b8eff8a10f6463ae7e0c59489355aba93d299e4adb9
টাস্ক ১৬৫ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR

দাদা আপনি যেখানে দেড় বছরে স্কুলে গিয়েছেন সেখানে টিনটিনের তো চার বছর অনেক দেরি হয়ে গেল😛। আগেকার দিনে বাচ্চারা যেমন অনেক দেরি করে স্কুলে যেত এখনকার দিনের বাচ্চারা আবার তত দ্রুত স্কুলে যায় । কারণ এখন ওয়ান এর আগে অনেকগুলো ক্লাস পড়তে হয়। যাই হোক এগারোটায় ওঠা বাচ্চা স্কুলের আনন্দের সকাল সকাল উঠেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। হয়তো স্কুলে যাওয়ার উত্তেজনায় এত সকালে ঘুম থেকে উঠেছে।যাক ঘুম থেকে উঠানোর ঝামেলা থেকে তাহলে বেঁচে গিয়েছেন আপনারা। টিনটিনের জন্য অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
The Tin Tin series started on January 10, 1929 and it marks the beginning of
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
স্কুলের প্রথম দিন যারা জীবনে লেখাপড়া করেছে এই প্রথম অনুভুতিটাই থাকে অন্যরকম। নতুন পরিবেশ সবকিছুই নতুন যেটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে। টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। তার পাশাপাশি দাদার এবং ছোট দাদা বড় দাদা সবার ইস্কুল জীবনের পদার্পণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমিও ছোটবেলায় স্কুলে গিয়েছি যখন স্কুলে ভর্তি হতে নির্দিষ্ট বয়স লাগতো। এখন বাচ্চাদের কথা বলার শুরু থেকেই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় এই সময়ের অনুভূতিটা জীবনের শ্রেষ্ঠতম অনুভূতি। টিনটিন তাহলে অনেক কেঁদেছি আবার স্কুল শেষ করে বাড়িতে এসে মিউজিক বাজাচ্ছে দারুন ছিল বিষয়টি।💖💖💖
টিনটিন বাবুর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।এমনিতেই তার ঘুম ভাঙে১১ টার পর আর আজ স্কুলে যাওয়ার আনন্দই ৮ টায় উঠে পড়েছে। মা কে ছেড়ে থাকতে হবে তাই কান্না জুড়ে দিয়েছিল।কিছুদিন পর বন্ধু হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।সবারই এরকম হয়।আপনি তো দেড় বছর বয়স এই ছোট পাঠশালায় গিয়েছেন দাদা,এজন্যই তো বই এর নেশা আপনার।তারপর ছোট ওয়ান,বড় ওয়ান।আপনার পরিবারের সবার স্কুল জীবনের কথা জানতে পারলাম পোস্টটির মাধ্যমে।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য দাদা।
একদিন অনেক বড় হবে আমাদের টিনটিন বাবু। অনেক শুভকামনা।
টিনটিনের জন্য শুভেচ্ছা রইল। ও বড় হয়ে ওর বাবা আর কাকুর মতো মানবিক মানুষ হউক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল টিনটিন সোনামণির জন্য, আনন্দময় হয়ে উঠুক তার স্কুলের দিনগুলো এই প্রত্যাশা করছি।
দাদা আপনার কথা শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেছি দেড় বছরের স্কুলে গেছেন শোনে।তবে আপনার কথাগুলো শুনে যতটুকু বুঝতে পেরেছে আপনার বেশ প্রতিভা ছিল।আপনি যখন হ্যাংআউটে উঠেকথাগুলো বলেন তখন একদম চুপ করে শুনে থাকি অনেক কিছু জানার থাকে আপনার কথাগুলো থেকে।টিনটিনকে স্কুলে ভর্তি করায় দিছেন অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন সেখানে অনেক বন্ধু-বান্ধব পাবে আশা করি ভালো লাগবে টিনটিন বাবুর থেকে।
দেড় বছর বয়সে স্কুলে গিয়েছেন ভাবতেই অবাক লাগছে দাদা। এটা শুধু আপনার দ্বারাই সম্ভব দাদা। যাইহোক আমাদের আদরের ছোট্ট মিষ্টি সোনা টিনটিনের নতুন জীবন শুরু হয়েছে এজন্য টিনটিনের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। সে যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে এই প্রত্যাশাই করি। মাকে ছাড়া থাকতে টিনটিনের অনেক কষ্ট হয়েছে বুঝতে পারছি। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।