"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ০৩
"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণের আজ হলো তৃতীয় পর্ব । প্রতিটি পর্বে ২০ টি করে ফটোগ্রাফ শেয়ার করি । সর্বমোট ১৫টি পর্বে জাদুঘর ভ্রমণের এই ধারাবাহিক ফটোগ্রাফি পোস্টটি সমাপ্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার । তার মানে প্রায় ৩০০ বা তার অধিক ফোটো দেখতে পাবেন আপনারা এই সিরিজে ।
জাদুঘর ভ্রমণ আমরা শুরু করেছিলাম নীচতলার বিশাল একটা হলঘর থেকে । এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের আঁকা ছবির একটা সংগ্রহশালা । একটি বিশাল এবং অপূর্ব আর্ট গ্যালারি । দারুন সব আর্ট দিয়ে সাজানো এই আর্ট গ্যালারীটি । অসংখ্য ছোট বড় চিত্রকর্ম রয়েছে এখানে । সব চাইতে ছোট আকারের ছবিটি মোটে দুই ইঞ্চি লম্বা ও এক ইঞ্চি চওড়া । এটি একটি মিনিয়েচার আর্ট । আর সব চাইতে বড় আকারের আর্টটি লম্বায় প্রায় কুড়ি ফিট আর চওড়ায় পাঁচ ফিট । বিশাল আকারের একটি আর্ট ।
এ ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য ফাইন আর্ট, প্রোট্রেট, ল্যান্ডস্কেপ, অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট, জলরঙে আঁকা, ভুষোকালিতে আঁকা, পেন্সিল স্কেচ, তেলরঙে আঁকা, গ্লাসের ওপর আঁকা, কাপড়ের ওপর আঁকা, কাঠের ব্লকের ওপর আঁকা । যেন এক টুকরো রং ঝলমলে স্বর্গ ।
উপরের তিনটি আর্ট তিন রকমের । প্রথমটা হলো জলরঙে আঁকা একটি অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট । দ্বিতীয়টি হলো কালো বলপয়েন্ট আঁকা একটি বাঁশের তৈরী জেটির স্কেচ । আর তৃতীয়টি হলো রং তুলি দিয়ে আঁকা "বাংলা নববর্ষ" ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের আর্ট চারটির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় আর চতুর্থ আর্টটি হলো বিমূর্ত শিল্প । তৃতীয় আর্টটি হলো বল পয়েন্ট পেনে আঁকা কৃষক,মজুর আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের শ্রেণী আন্দোলনের ছবি ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
উপরের আর্ট চারটির মধ্যে সবগুলিই হলো অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট । প্রথমটি হলো শরতের প্রকৃতি আর চতুর্থটি হলো বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ সাজ ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রথম আর্টটি হলো গ্রাম্য এক নারীর গাভী আর বাছুর নিয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্য । দ্বিতীয়টি একটি বিমূর্ত শিল্প, মানুষের জীবনের হাসি-কান্না-দুঃখের মিশ্র অভিব্যক্তি তুলির স্পর্শে ফুটে উঠেছে । তৃতীয়টি মানুষের জীবনের উপর ভিত্তি করে করা আর্ট । আর চতুর্থটি হলো মায়ের কোলে শিশুর আর্ট ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
দ্বিতীয় আর্টটি হলো গ্রাম্য প্রকৃতির উপর আধার করে করা একটি দৃশ্য, গাছ-পালা, নৌকো, পুকুর, খাল-বিল, নদী আর মাছের অবয়ব দৃশ্যমান তুলির স্পর্শে । তৃতীয়টি হলো যুদ্ধবন্দী নর-নারীদের অসহায় দৃশ্য । আর চতুর্থটি হলো দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত একটি কৃষক পরিবারের দৃশ্য ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৭৪ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : e9c8a66a2fb7e09c3e6986eaa6657df63291835ffed75adc61ec3197b9c75c13
টাস্ক ১৭৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দাদা আপনি একজন আর্ট প্রেমী মানুষ। তাই তো দারুণ সব আর্টগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে স্মৃতির পাতায় হয়তো এই ফটোগ্রাফি গুলো সারা জীবন থেকে যাবে। বাংলাদেশে এসে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতেই পারছি দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
No verify my account why
দাদা নমস্কার
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ. পর্ব তিন ৷ আপনি ১৫ টি পর্ব শেয়ার করবেন ৷ না জানি আরও কত কিছু দেখার বাকি আছে ৷ আসলে আপনার ভ্রমন পোষ্ট গুলো দারুন লাগে ৷ কারন নতুন নতুন কিছু দেখতে পারি ৷
যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো ৷
দাদা আপনি বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের আঁকা ছবির একটা সংগ্রহশালা দিয়ে আপনার জাদুঘরের পর্ব শুরু করেছিলেন। আমি আবার এসব আঁকা ছবি বেশি বুঝি না। আপনার আজকের পোস্টের শেষের কয়েকটি ছবি বুঝতে পেরেছি। আর বাকি গুলো তেমন বুঝি নাই। কারন আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এসব ঢোকে না। ধন্যবাদ দাদা।
কি বলেন দাদা ১৫ পর্বের মধ্যে তো তাহলে অনেক কিছুই দেখতে পারব। আসলে আমরা বাংলাদেশে থাকলেও এখনো পর্যন্ত জাদুঘরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাহলে আপনার পোস্টের মাধ্যমেই সবকিছু দেখে নিতে পারব। বল পয়েন্টে আঁকা ছবিগুলো আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। শিল্প গুলো যেন একদম নিখুঁত হাতে করা। পরবর্তীতে নিশ্চয়ই আকর্ষণীয় কিছু দেখতে পারবো।
যদিও আর্ট বিশেষ করে আবস্ট্রাক্ট আর্ট সম্পর্কে কিছুই বুঝি না তবুও শেষ ছবির মধ্যে কেমন অদ্ভুত বাস্তবতা লুকিয়ে আছে। বাস্তবতা আমাদের উপমহাদেশীয় কৃষক শ্রেণীর।
অনেক ধন্যবাদ দাদা এই চমৎকার ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আশাকরি এই ১৫ টি পর্বের মধ্যে অনেক আকর্ষণীয় ছবি দেখতে পাবো। যদিও এতো গভীর চিত্রকর্ম বুঝি না তবুও জাষ্ট দূরদান্ত লেগেছে ছবিগুলো।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
দাদা তাহলে তো আমরা পনেরোটি পর্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবো। তৃতীয় পর্বে যে চিত্রগুলোর ফটোগ্রাফি তুমি শেয়ার করেছ তার ডিপ মিনিং গুলো যদিও আমি ভালোভাবে প্রথমে বুঝতে পারিনি তবে পরে তোমার নিচের লেখা গুলো পড়ে আর্ট গুলো বুঝতে পেরেছি। বলপয়েন্ট আঁকা একটি বাঁশের তৈরী জেটির স্কেচ , রং তুলি দিয়ে আঁকা বাংলা নববর্ষ, অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট গুলোর মধ্যে শরতের প্রকৃতি, বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির অপরূপ সাজ আমার বেশ ভালো লেগেছে।