দমদমের খামখেয়ালী সংঘের পূজা মন্ডপ
নমস্কার বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে দমদমের আরও একটি পুজো অর্থাৎ খামখেয়ালি সংঘের পুজোমন্ডপ ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই পূজা-মন্ডপটি একেবারে দমদমে রাস্তার উপরেই হয়। যা দেখলে বোঝাই যাবে না রাস্তার উপরে ও এত সুন্দরভাবে একটা থিমকে তুলে ধরা যায় ।
এই পূজা-মন্ডপটি একেবারে দমদমে রাস্তার উপরেই হয়। যা দেখলে বোঝাই যাবে না রাস্তার উপরে ও এত সুন্দরভাবে একটা থিমকে তুলে ধরা যায় ।
এই পূজা মণ্ডপের থিমটা চিঠির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।চিঠি জিনিসটা এখন একেবারেই হারিয়ে গেছে বললেই চলে। এখন সমস্ত কিছুই আমরা ফোনে মেসেজ এর মাধ্যমে বলে থাকি ।যেমন কাউকে মনের ভাব প্রকাশ , কাউকে কোনো বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানানো ।এক সময় এই চিঠির মাধ্যমে সব দেওয়া হতো। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে চিঠি ব্যাপারটাই আমাদের মধ্যে থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সেই চিঠি লেখার ধরনটাই আমাদের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে ।
প্রথমেই চিঠি বলতে আমরা কি বুঝি? এই জিনিসটা আজকালকার জেনারেশন একেবারেই বুঝবে না ।
যে চিঠি হল মানুষের মধ্যে ভাব প্রকাশ ,অনুভূতি, তথ্য, আদান-প্রদানের একটি মাধ্যম। যেটা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তাভাবনাকে কাগজে তুলে ধরতে পারি ।যা সরাসরি কথোপকথনের থেকেও গভীর আর চিরস্থায়ী ,তাই হলো চিঠি ।
চিঠি লেখার সময়ে লেখক এর চিন্তাভাবনা ও আবেগের প্রতিফলন দেখা যায়, যা পড়তে বসলে অন্যদিকে পাঠকের মনে গভীরভাবে স্পর্শ করে। বিশেষত হাতে লেখা চিঠিতে লেখকের হাতের লেখা ,কাগজের ধরন, ভাষার শৈলী সব যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এবং একটা ব্যক্তিগত আন্তরিক বার্তা হিসেবে তৈরি করে ।
চিঠির ধরন ও রীতি যুগের সঙ্গে একেবারেই পরিবর্তিত হয়ে গেছে তবে এখনো সম্পর্ককে দৃঢ় করতে আর দূরত্ব কমাতে কিন্তু বিশেষ মাধ্যম হিসেবে এই চিঠি ব্যবহার করা হয়।
এই মন্ডপটা আমার কাছে এত সুন্দর লেগেছে ।সেই পুরানো ডাক টিকিট ,সেই পুরানো ডাক বাক্স ,সেই পুরানো হাতে লেখা চিঠি সমস্ত কিছু যেন এই মণ্ডপের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে, তাই আপনাদের সাথেও এই মণ্ডপের চিন্তাভাবনা এবং প্রতিমা সবটাই ভাগ করে নিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই থিমের মাধ্যমে কিভাবে হারানো জিনিসকে পুনরুদ্ধার করা যায় তার সুনিপুণ স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে প্যান্ডেলে।দেখে খুবই ভালো লাগলো বৌদি,প্রথম পোস্টমাস্টারের দৃশ্য বেশি ভালো লেগেছে।আর মায়ের মূর্তিটি ভীষণ সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ বৌদি।
দিদি আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে তো মনে হচ্ছে আমি কোন পুরনো সেই যুগের মধ্যে চলে এসেছি। প্রথমত বর্তমান যুগে এরকম নিদর্শন খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। কেননা চিঠি নামক জিনিসটা বর্তমান বিলুপ্তপ্রায়। বর্তমানের জেনারেশন আসলেই ডাক টিকিট নামক বিষয়টা বুঝবেই না। আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো দিনের সেই ইতি কথাগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ক্লাবের নাম অনুযায়ী থিমটাও অসাধারণ৷ রবীন্দ্রনাথের গানের লাইন থেকে বাঙলার চির হিট সিনেমার পোস্টার, ডাকটিকিট, চিঠি সব মিলিয়ে কমপ্লিট প্যাকেজ। দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।
রাস্তার মধ্যে এতো সুন্দর আয়োজন সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়। তাদের থিমটা আসলেই খুব সুন্দর। সবমিলিয়ে খামখেয়ালী সংঘের পূজা মন্ডপ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো বৌদি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলোও জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পূজা প্যান্ডেলের মাধ্যমে, চিঠির যুগকে দারুণভাবে উপস্থাপন করেছে। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো দিদিভাই।