পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যেবেলায় কিছুটা সময়
নমস্কার বন্ধুরা,
প্রথমেই সকলকে জানাই শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।গত পর্বে আমি নববর্ষের দিন বিকেলবেলার কিছু ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে সন্ধ্যেবেলার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
নববর্ষের দিন যেহেতু একটা নতুন বছর শুরু হচ্ছে তাই ওই দিন বাঙালীরা প্রত্যেকেই বিকেল বেলায় নিজেদের মতন করেই সময় কাটায়। সেদিন আমি বিকেল বেলায় শশুর বাড়ির সবার সাথে ঘুরে এসে কলকাতায় এসেছিলাম মা-বাবার সাথে দেখা করতে ,কারণ মা-বাবাও আশা করেছিল যে আমি আসবো। আর যেহেতু এইরকম একটা ভালো দিন তাই আমিও না এসে থাকতে পারলাম না। আমি যখন কলকাতায় এসেছিলাম তখন প্রায় নটা বেজে গিয়েছিল ।তবুও মাকে বলেছিলাম যে রেডি হয়ে থাকতে কাছে কোথাও ঘুরে আসবো। এটা শুনে মা খুব খুশি হয়েছিল। তাই বাড়ি এসেই গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলাম। আমরা গিয়েছিলাম আই আহিরিটোলা গঙ্গার ঘাটে। এখানে মা কখনো আসেনি।
অবশ্যই গঙ্গার ঘাট তো সবারই ভালো লাগে। মায়ের মুখ দেখে বুঝেছিলাম খুব খুশি হয়েছিল এখানে এসে। যেহেতু ওই সময় ভাটার টাইম ছিল, তাই গঙ্গার জল অনেকটাই নিচে ছিল ।তবুও গঙ্গার পরিবেশ সবসময়ই সুন্দর।
অনেক মানুষ সেই সময় আড্ডা দিচ্ছিল। অনেকে গান গাইছিল ।যে যার মতন করে সময় কাটাচ্ছিল । আমরা গিয়েও প্রায় ১৫ মিনিট মতো ছিলাম। সামনেই চায়ের দোকান রয়েছে সেখান থেকে চা অর্ডার করে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করে গঙ্গার ঘাট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম।
এরপর আমাদের ডিনারের প্ল্যান ছিল ।তাই তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্টে চলে গিয়েছিলাম কারণ ওই দিনটা প্রত্যেকটা রেস্টুরেন্টে অনেক বেশি থাকে। তাই নাম লিখিয়ে ও আমাদের প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তবে যাই হোক এরকম একটা নতুন বছরে অপেক্ষা করাটা কোনো ব্যাপার নয় ।মা-বাবার সাথে যে সময় কাটাতে পেরেছিলাম এটাই আমার কাছে অনেক ।তারপর ওখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে আবার শ্বশুর বাড়ি চলে এসেছিলাম।
সত্যি কথা বলতে যে দু'ঘণ্টা সময় আমি আমার মা-বাবার সাথে কাটিয়েছিলাম ।সেই দুঘন্টা যে কি করে চলে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি। আর ওই সময়টা মা-বাবা আমাদের সাথে ঘুরে কি আনন্দ পেয়েছিল তা আমি মুখে বলে বোঝাতে পারবো না ।যাই হোক নববর্ষের দিন পুরো সময়টাই আমরা খুব সুন্দর কাটিয়েছিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি দিদি অবশেষে বাবা মায়ের সাথে সময় কাটাতে পেরেছেন এটাই অনেক বড় পাওয়া। আর শুভ কোন দিনে কিংবা বিশেষ কোন দিনে পরিবারের সবার সাথে সময় কাটাতে না পারলে একটি অপূর্ণতা থেকেই যায়। অনেক ভালো লাগলো দিদি আপনার পোস্ট পড়ে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ বৌদি পহেলা বৈশাখে দাদা এবং তনুজা বৌদি সহ আপনারা সবাই বিকেলে চায়ের আড্ডায় গিয়েছিলেন এবং সেই পোস্টটি পড়েছিলাম। যাইহোক তারপর আপনার মা বাবার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন,এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। উনাদের নিয়ে তো দেখছি দারুণ একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন সন্ধ্যার সময়। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করে আপনারা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। আসলে সুখের মুহূর্ত গুলো কিভাবে কেটে যায়, সেটা আমরা টেরই পাই না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পহেলা বৈশাখের দিন সব মা-বাবাই চায় যে তার সন্তান অন্তত এই দিনটা তার কাছে থাকুক। তবে তুমি দিদি খুব দায়িত্ববান। এজন্য হয়তো যতই ব্যস্ততা থাকুক তারপরও মা-বাবাকে এই দিনটাতে সময় দিয়েছো এবং একসাথে গঙ্গার ঘাটে ঘুরেছো, খাওয়া-দাওয়া করেছ, যেটা অবশ্যই তোমার বাবা-মার কাছে অনেক আনন্দের ছিল। তাছাড়া নতুন বছরের প্রথম দিনে গঙ্গার ঘাটের মত এরকম একটা জায়গায় সময় কাটানোর মজাই আলাদা।