নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংসের রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে হাঁসের মাংসের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করবো। হাঁসের মাংস তো আমরা বিভিন্নভাবে রান্না করে খাই। সব রকম ভাবে খেতে খুব মজা লাগে। বিশেষ করে শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে খুব মজা। শীতকালে কেন যে হাঁসের মাংস খাওয়ার এত প্রচলন বুঝি না। আমার তো সব সময় হাঁসের মাংসও খেতে ভালো লাগে। কিন্তু যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা হাঁসের মাংস তেমন একটা খেতে চায় না। হাঁসের মাংসে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে। যাই হোক বেশ বড় সাইজের একটি হাঁস আমার হাজবেন্ডের কলিগ তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে এনে দিয়েছিল। প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ছিল হাঁসটি। একবারে এত বড় হাঁস খাওয়া সম্ভব হয়নি জন্য দুইবারে রান্না করেছিলাম। প্রথমে রসুন দিয়ে রান্না করেছিলাম। তাই ভাবলাম আবার যেহেতু খাব একটু ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করি। এর জন্য এবার নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না করেছি। এর আগে কখনো আমি নারকেলের দুধ দিয়ে রান্না করিনি। নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংস খেতে যে এত মজা তা খেয়ে বুঝতে পারলাম। রেসিপির কালার দেখে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


IMG20240226120005.jpg




হাঁসের মাংস--১ কেজি
পিঁয়াজ--৫ টি
কাঁচা মরিচ--৫ টি
টমেটো--১ টি
চিনি --১ চা চামচ
এলাচ-- ৩টি
লং-- ৩টি
দারুচিনি-- ১ টুকরা
তেজপাতা-- ২টি
আদা বাটা--১.৫ টেবিল চামচ
রসুন বাটা--১ টেবিল চামচ
পিঁয়াজ বাটা-- ৩ টেবিল চামচ
হলুদের গুড়া-- ২ চা চামচ
মরিচের গুড়া-- ২ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া--১.৫ চা চামচ
স্পেশাল গরম মসলার গুড়া --২ চা চামচ নারিকেলের দুধ-- ১ কাপ
লবণ --পরিমাণমতো
তেল --পরিমাণমতো


PhotoCollageMaker_20240320_225726475.jpg



প্রথমে নারকেল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছাকনি দিয়ে সেকে নারকেলের দুধ বের করে নিয়েছি।


IMG20240226102128.jpgIMG20240226102910.jpg

চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ দিয়েছি। পিঁয়াজ একটু ভেজে নিয়ে গরম মশলা দিয়েছি।


IMG20240226103151.jpgIMG20240226103309.jpg

সবকিছু ভালো মতন নেড়েচেড়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর বাটা মশলাগুলো কিছুক্ষণের তেলে ভেজে গুঁড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240226103401.jpgIMG20240226103526.jpg

সামান্য একটু পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি। তারপর টমেটো দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240226103619.jpgIMG20240226103819.jpg

মাংসগুলো মসলার সঙ্গে মাখিয়ে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।


IMG20240226103851.jpgIMG20240226105212.jpg

বেশ কিছুক্ষণ কষানোর পর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য। মাংস প্রায় সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।


IMG20240226105239.jpgIMG20240226114356.jpg

এ পর্যায়ে নারিকেলের দুধ দিয়ে আবারও বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি।


IMG20240226114409.jpgIMG20240226114434.jpg

তারপর এক চামচ চিনি দিয়ে এবং কিছু আস্ত কাঁচা মরিচ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করেছি।


IMG20240226114453.jpgIMG20240226115142.jpg

ঝোল কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।


IMG20240226115850.jpg


IMG20240226120011.jpg


IMG20240226120000.jpg


এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 years ago 

হাঁসের মাংস খেতে আমি অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসি৷ এই হাঁসের মাংস অনেকটাই সুস্বাদু হয়ে থাকে৷ তবে কখনোই নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংস তৈরি করা খাওয়া হয়নি৷ এই প্রথম আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেলাম৷ যেভাবে আপনি এই ইউনিক রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে এটিকে এখনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে৷ অবশ্যই চেষ্টা করব এরকম ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে দেখার৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 2 years ago 

আমার কাছে থেকে প্রথম নারকেলের দুধ দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না শিখেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু আমিও বুঝিনা শীতকালে কেন হাঁসের মাংসের এত প্রচলন রয়েছে। আমার কাছেও সব সময় হাঁসের মাংস খেতে ভালো লাগে। তবে এটা ঠিক শীতকালে নাকি হাঁসের মাংসের স্বাদ একটু বেশিই থাকে। যাই হোক আপনার কথা অনুযায়ী বুঝতে পারলাম হাঁসটি অনেক বড়সড় ছিল। হাঁসের মাংস এভাবে নারিকেলের দুধ দিয়ে রান্না করা যায় তা জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। আপনিও প্রথম প্রথমবার তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার কাছে ভালো লেগেছে তার জন্য অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর এসেছে। মজাদার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। আপু খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এখন কি করবো বলেন?

 2 years ago 

শীতকালে নাকি হাঁসের মাংসে অনেক বেশি তেল থাকে। এজন্য শীতকালে খেতে বলে। আপনিও এভাবে বাসায় রান্না করে খেয়ে ফেলুন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

লোভনীয় একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আপু।
এভাবে কখনো হাঁসের মাংস খাওয়া হয়নি, নারিকেলের দুধ দিয়ে। এটা নিঃসন্দেহে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রান্নার ধাপগুলো দেখিয়েছেন এবং পরিবেশন বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় খাবারের রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

ভাইয়া বাসায় রান্না করে অবশ্যই একদিন খেয়ে দেখবেন। খুব ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

এভাবে লোভ লাগানো ঠিক না আপু। আপনার রেসিপিটা অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। হাঁসের মাংসটা আমার অনেক প্রিয়।আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

লোভ কোথায় লাগালাম। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করলাম যাতে রান্না করে খেতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলে শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার বেশি ধুম পড়ে যায়। আপনার হাঁসের মাংস এত পছন্দ আপনি সবসময় খেতে চান। তবে হাঁসের মাংস আমার খেতে খুব একটা ইচ্ছা করে না। কারণ হাঁসের মাংস খেলে আমারও এলার্জি বেড়ে যায় আপনি ঠিকই বলেছেন যাদের অ্যালার্জি রয়েছে এবং ঠান্ডা রয়েছে তাদের হাঁসের মাংসে প্রবলেম হয়। যাই হোক আপনি নারিকেল দুধ দিয়ে অসাধারণ এই রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খুবি সুস্বাদু মনে হচ্ছে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খাসির মাংস না খাওয়াই ভালো। এলার্জিতে খুব প্রবলেম হয়। এজন্যই আপনার হাঁসের মাংস খেতে ভালো লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

শীতকালে হাঁসের মাংস দিয়ে অনেকবার পিকনিক করেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে হাঁসের মাংস কিন্তু এলার্জিজনিত কারণে যেটা খাওয়া নিষেধ । তবুও সকল বাধা অতিক্রম করে মাঝে মাঝে খেয়ে থাকি। আপনি আজকে নারিকেলের দুধ দিয়ে খুব সুন্দর করে ভিন্নভাবে হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন । সবসময়ই হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

এলার্জি থাকলে না খাওয়াই ভালো। জোর করে খেলে তো সমস্যা পড়ে আপনারই হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

হাঁসের মাংস খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি টা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটা দেখে একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আমার রেসিপি তো টেস্ট করতে পারছেন না। এই রেসিপি ফলো করে বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

রসুন দিয়ে রান্না করলে বেশি মজা লাগে নাকি নারিকেলের দুধ দিয়ে রান্না করলে বেশি মজা লাগে?? যদি ভুল না বলি তাহলে আমার মনে হয় নারিকেলের দুধ দিয়ে রান্না করা হাঁসের মাংসের রেসিপি বেশি সুস্বাদু ছিল। তাছাড়া রেসিপি দেখেই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আমার কাছে তো মনে হলো নারকেলের দুধ দিয়ে রান্না করলেই বেশি মজা লাগে। রসুন দিয়ে অনেকবার খেয়েছি। যাই হোক ধন্যবাদ গঠনমূলক।

 2 years ago 

হাঁসের মাংস আমার প্রিয় খাবার। খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। নারিকেল এর দুধ দিয়ে ইউনিক ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন।‌ ভিন্ন রকম করে রান্না করলে খেতে একটু বেশি সুস্বাদু লাগে। অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন আপু। যে কেউ দেখলে কিন্তু খেতে চাইবে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে কোন রেসিপি ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।