"সাধারণ ভাবে ঘরে তৈরি বাদামের মিল্ক শেক "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বাদামের মিল্ক শেক। আমরা মেলায় গেলে প্রায়ই বাদামের মিল্ক শেক খেতাম। আবার মাঝে মধ্যে বাবু কিনে আনতো খাওয়ার জন্য। তাই ভাবলাম বাড়ীতে একদিন তৈরি করা যাক। যেই ভাবা সেই কাজ।দুই দিন আগে দুপুরে বাড়ীতে তৈরি করেছিলাম। হটাৎ করে একদিন আমার প্রিয় মানুষটি বলে একদিন বাদামের মিল্ক শেক তৈরি করবে। বাইরে প্রায়ই খেতাম কিন্তু অনেক দিন হলো খাওয়া হয় না। কিন্তু আসলে কি ভাবে তৈরি করে এটা জানা ছিলো না। কিন্তু খেতে চেয়েছে তৈরি তো করতে হবে। তাই নিজের মতো করেই তৈরি করলাম। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে। তবে মিল্ক শেক তৈরি করে সবাইকে খেতে দিলাম। ওর বাবা খেয়ে বলে একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো খেতে হয়েছে। পড়ে আমি ও খেয়ে দেখি সত্যি অনেক মজার হয়েছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. তরল দুধ - ১ লিটার
২. চিনি - হাপ্ কাপ
৩.গুঁড়ো দুধ - ৩ চামচ
৪. আলমন্ড - ৫/৬ টি
৫. পেস্তা বাদাম - ৭/৮ টি
৬. কাজু বাদাম - ৭/৮ টি
৭. কেশর - ১ গ্রাম
৮. কাস্টার্ড পাউডার - ২ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে তরল দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। ১০/১২ মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর এক কাপ দুধ উঠিয়ে আলাদা করে নিতে হবে। আলাদা করার করার পর এক চিমটি কেশর দিয়ে দিতে হবে। কেশর দেওয়ার পর আবারো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।
২.এবার তিন রকম বাদাম জল দিয়ে ৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পাঁচ ঘণ্টা পর বাদাম ভিজে গেলে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। খোসা ছাড়ানো পর একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৩. এরপর ওই আলাদা করা দুধ ঠান্ডা হয়ে গেলে ৩ চামচ গুড়ো দুধ ও ২ চামচ কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার জ্বাল দেওয়া দুধে পরিমান মতো চিনি ও কাস্টার্ড মেশানো দুধ একসাথে দিয়ে দিতে হবে। আর বার বার নাড়তে থাকতে হবে।নাড়তে নাড়তে ঘন হয়ে আসলে ব্লেন্ড করা বাদাম দিয়ে আবারো নাড়তে থাকতে হবে। বাদাম দুধের সাথে মিশে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৫. এবার মিল্ক শেক ৬ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এরপর বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে। পরিবেশনের আগে উপরে অল্প করে কেশর ও বাদাম কুচি দিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারেন। তবে আমি বাবুর জন্য পারিনি। বাবু খাওয়ার জন্য পাগল দিচ্ছিলো ।তাই বাদাম কুচি না দিয়ে খাওয়া হয়ে গেলো।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু বাদাম মিল্ক শেক। এটি আপনারা খুব সহজে বাড়ীতে তৈরি করে বাচ্চাদের দিতে পারবেন। এই মিল্ক শেক বাচ্চা থেকে বড় সকলে অনেক পছন্দ করে। এমনকি বাড়ীতে আত্মীয় স্বজন আসলেও তৈরি করে দিতে পারবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাদামের মিল্ক শেক খেতে খুব ইয়াম্মি লাগে। যদিও কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া হয়। আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে বৌদি। খেতে মনে হচ্ছে দারুণ হয়েছে। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। দেখে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় বৌদি অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে বাদামের মিল্ক শেক তৈরি করেছেন।বাদামের মিল্ক শেক তৈরির প্রক্রিয়াটি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বাদামের মিল্ক শেক তৈরির ক্ষেত্রে ৪ নাম্বার ধাপটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। নিশ্চয় বাদামের মিল্ক শেক খুবই মজাদার ছিল।
রেসিপিটি দেখে বুঝা যাচ্ছে আপু একদম রেস্টুরেন্টের সাথে তৈরি করা হয়েছে। আপনি না জেনেও এত সুন্দর ও এত সুস্বাদু করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। প্রস্তুত প্রণালী একদম ভালোভাবে দেখে নিলাম। বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করব।
আপু প্রথমে আপনাকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি পোস্ট আপনি আজ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।সাধারণ ভাবে ঘরে তৈরি বাদামের মিল্ক শেক । সাধারণ বললেও এটি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক আইটেমের বাদাম কাঠ বাদাম কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম সহ আরো অনেকগুলো বাদাম। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
সত্যি বলতে বাদাম মিল্কশেক কখনো বাসায় তৈরি করে খাওয়া হয়নি তাছাড়া এটা কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে কোন ধারণাও ছিল না। আপনি পর্যায়ক্রমে কিভাবে মিল্ক শেক তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যদি একটু টেস্ট করতে পারতাম তাহলে যেন মনের তৃপ্তি মিটতো হি হি হি।
বাদামের মিল্ক শেক আমার খুবই ফেভারিট আমি প্রায় তিন মাস আগে একবার আপুর বাসায় গিয়ে খেয়েছিলাম ।
এই জাতীয় খাবার যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টিকর হয়ে থাকে।।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খেতে খুব মজা করেছিল মনে হচ্ছে দেখে।।
ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য।।
বৌদি ভাই সত্যি আপনি হলেন আমার বাংলা ব্লগের একজন রোল মডেল ৷ কারন প্রতিনিয়ত আপনি ইউনিক কিছু শেয়ার করেন ৷ এতো ব্যস্ততার পরেও এমন সুন্দর কিছু পোষ্ট দেখি সত্যি অনেক ভালো লাগে ৷ বাদামের মিল্ক শেক দেখে মনটা ভরে গেল ৷ অনেক ধন্যবাদ দিদি পরিবার নিয়ে ভালো থাকুন এমনটাই প্রতার্শা করি৷
দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাদামের মিল্ক শেক তৈরি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আপনি রেসিপি মধ্যে কাজুবাদাম এবং কাঠবাদাম দিয়ে তৈরি করেছিলেন এই কারণে খেতে সবথেকে সুস্বাদু লাগবে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আপনার গুনের প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি আপনি কিন্তু খুবই গুণবতী একজন মানুষ। প্রিয় মানুষটি খেতে চেয়েছিল বলে আপনি প্রথমবার এটা বাসায় ট্রাই করেছেন দেখে ভালো লাগলো। প্রথমবারই তো একেবারে বাজিমাত করেছেন বৌদি। বাদামের মিল্ক শেক রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমিও বাসায় ট্রাই করে দেখব।