"বাড়ীতে টিনটিন বাবুর শিক্ষক দিবস পালন"
বন্ধুরা
সবাইকে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এটি প্রাচীনতম একটি ধর্মীয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলে থাকেন।তারা বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে দুষ্টদের দমন করার জন্য সাধুদের রক্ষার করার জন্য অবতার রূপে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ গীতা সেই সাক্ষ্য বহন করে।
আমি বাবুকে সবকিছু বোঝনোর চেষ্টা করি।বাবু
এখনও বোঝে না শিক্ষক দিবস আসলে কি? টিনটিন বাবুর দ্বিতীয় শিক্ষা দিবস। টিনটিন বাবুর স্কুলে তাদের ম্যাডামরা সকল ছাত্র - ছাত্রী কে নিয়ে এই দিনটি পালন করেছে।তবে এবার তার প্রথমবার স্কুলের শিক্ষক দিবসে উপস্থিত হতে পারেনি। সে প্রায় ৪ দিন ধরে অসুস্থ। শিক্ষক দিবসের আগের দিন স্কুলে ক্লাসে থাকা কালীন তার প্রচন্ড জ্বর এসেছিলো। তখন ওদের স্কুলের এক ম্যাডাম আমাকে ফোন করেছিলো। আমি তখনই বাবুকে আনতে চলে যাই। সেই থেকে তার জ্বর।তবে কাল থেকে আর জ্বর আসেনি। কিন্তু প্রচন্ড সর্দি ও কাশি হচ্ছে। তাই আর শিক্ষক দিবসে স্কুলে যেতে পারেনি। তবে ওই দিন ওর স্কুলের প্রতিটা ম্যাডাম ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলো। যাইহোক তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাড়ীতে ওর পড়ানোর ম্যাডাম যাকে আপনারা সকলেই চেনেন পূজা ওকে নিয়ে দিবসটি পালন করবে। তাই আগের
থেকেই একটি কেক অর্ডার করে রেখেছিলাম।
টিনটিন বাবুর জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু পূজা। পূজার হাত ধরেই ওর প্রথম লেখা পড়া শুরু। তাই পূজার জন্য এটুকু সম্মান প্রাপ্য। আর বাবু ও জানুক শিক্ষকদের সম্মান করতে হয়।আমি কাছে থেকে দেখি পূজা কতটা যত্ন করে পড়ান। আর কতটা ধৈর্য শক্তি নিয়ে টিনটিন বাবুকে লেখান। বাবু এতটা দুষ্টুমি করতে থাকে যে কার ও ধৈর্য থাকে না। তারপরও পূজা তার উপর একটু রেগে যায় না। বরং বিনিময়ে তাকে ভালোবেসে কাছে ডেকে নিয়ে আদর করে পড়াতে বসান।
ওই দিন সন্ধ্যায় কেক নিয়ে আসা হলো।এরপর বাবু ওর ম্যাডাম কে শুভেচ্ছা জানালো।তার ম্যাডামকে একটি কলম গিফট করলো। এরপর দুজনে মিলে কেক কাটলো।এরপর একে অপরকে কেক খাইয়ে দিলো। ম্যাডাম আর স্টুডেন্ট দুজনে মিলে ফটোশুট করা শুরু করে দিলো।
শিক্ষকরা বেশি কিছু চায় না। তারা চায় একটু সম্মান। বাবুর শিক্ষক দিবস পালন করা দেখে নিজের সেই ফেলে আসা দিন গুলো মনে পড়ে যায়। সেই দিন গুলো কতটাই মধুর ছিলো। শিক্ষকদের শাসন, ভালোবাসা সবটাই মনে পরে যায়। তবে সেই সময়টায় শিক্ষকরা শাসন করলে রাগ হতো।তবে এখন বুঝি তাদের শাসনের পিছনে ভালোবাসা ও সফলতা লুকিয়ে থাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালো লাগলো বউদি। শিক্ষক দিবসের এত সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করে তো সেই ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। কত ভয় যে পেতাম শিক্ষকদের । কিন্তু তখন কোন শিক্ষক দিবস ছিল না। শুধু ছিল শিক্ষকদের প্রতি ভয় আর শ্রদ্ধাবোধ। টিনটিন বাবুর অসুস্থ্যতার জন্য স্কুলে না যেতে পারলেও বাসায় কিন্তু পুজা দিদিকে নিয়ে শিক্ষক দিবস বেশ আনন্দের সাথে পালন করেছেন। সত্যিই কিন্তু বউদি এখন থেকেই টিনটিনের মত বাবুদের কে শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
বৌদি আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার যে কথাটি আরো বেশি ভালো লেগেছে তা হল শিক্ষকরা বেশি কিছু চায় না চায় শুধু একটু সম্মান। পূজা দিদির মত প্রত্যেকটি শিক্ষকেরই হওয়া উচিত কারণ ভালোবাসা দিয়েই ছাত্রদের মন জয় করতে হয়। টিন টিন বাবুর সুস্থতা কামনা করছি। আসলে প্রত্যেকটি শিক্ষক চায় তার ছাত্র জীবনে সফলতা অর্জন করুক। অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
প্রথমে টিনটিন বাবুর সুস্থতা কামনা করছি। বৌদি এটা কিন্তু অনেক ভালো বিষয়, শিক্ষক যে একটা ছাত্রের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়টি আপনি ছোটকাল থেকে তার মধ্যে শিক্ষাটা দিচ্ছেন। শিক্ষকরা চায় সম্মান আর সম্মান টুকু একটা ছাত্র দিলে তার অনেক খুশি হয়ে থাকে। আর শিক্ষককে সম্মান দেয়ার জন্য প্রথম পরিবার থেকে সে শিক্ষাটা দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই সুন্দর কাজটি আপনি এখন থেকে করছেন খুবই ভালো লাগলো বৌদি। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
@tanuja দিদি আপনি দারুন লিখেছেন।আমার
মা ও শিক্ষক।মাকে দেখি সারা বেলা তার ঐ স্টুডেন জজ, ডঃ ,ম্যাজিস্ট তাই বলে বেড়ায়।আসলে একজন শিক্ষকের মূল পরিচয় তার হাতে গড়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে।আপনি শিক্ষক দিবস পালন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।মা ই সন্তানের বড় শিক্ষক।আপনি নিঃসন্দেহে এক জন আদর্শ মা। আপনার আদরের টিনটিন বাবুর জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর একটা ব্লাগ উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাবা,মায়ের থেকেও বেশি যার অবদান তিনি হলেন শিক্ষা গুরু,শিক্ষক তাদের ঋণ কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ করা যাবে না।শিক্ষক দের শাসন,ভালোবাসা দিয়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী তার জীবনের আলো দেখতে পায়।পোস্ট টি পড়ে খুব ভালো লাগলো যে শিক্ষক কে সন্মান জানিয়ে শিক্ষক দিবসে আয়োজন করা হয়েছে, কেক কাটা হয়েছে এতে করে শিক্ষক ও ছাত্রের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে সারাটি জিবন।
টিনটিনের অসুস্থতার খবর শুনে বেশ ব্যথিত হলাম বৌদি। ওর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি । তবে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে, টিনটিন যে বাড়িতে ওর শিক্ষকের সঙ্গে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছে, তা আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পারলাম।
শুভেচ্ছা রইল বৌদি 🙏
প্রথমেই আমাদের টিনটিন বাবুসোনার সুস্থতা কামনা করছি। শিক্ষক যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ছোটবেলা থেকে টিনটিন বাবুকে বুঝাচ্ছেন এটা খুবই ভালো বিষয়। আমাদের সবারই উচিত শিক্ষকদের সঠিক সম্মান দেওয়া। আসলেই শিক্ষকরা বেশি কিছু চায় না সম্মানটাই তাদের মূল প্রাপ্য। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো বৌদি।
ছোট থেকে বাচ্চাদেরকে সব ধরনের শিক্ষা দিতে হয় সবসময়। তাহলে তারা ধীরে ধীরে সবকিছু শিখতে পারে। আপনি টিনটিন বাবুর ব্যাপারে খুবই সচেতন বৌদি। এই ব্যাপারটা সত্যিই খুব ভালো লাগে। যাইহোক টিনটিন বাবু বাসায় শিক্ষক দিবস পালন করেছে পূজা আপুকে নিয়ে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
আপনাদের বাড়িতে টিনটিন বাবুর শিক্ষক দিবস পালন উপলক্ষে, আপনার এত সুন্দর একটি সাজানো গোছানো লেখাটি পড়তে সত্যিই খুব ভালো লাগলো বৌদি। আসলেই টিনটিন বাবুর সাথে সাথে আমিও দিনটি খুব উপভোগ করেছিলাম। তবে টিনটিনের শরীর যদি সুস্থ থাকতো , তাহলে সে স্কুলে গেলে আরও বেশি দিনটি উপভোগ করতে পারত বন্ধুদের সাথে। আপনার মত আমারও, পুরনো দিনের শিক্ষকদের কথা খুব মনে পড়ে যাচ্ছিল, ওই দিন টিনটিন বাবুর শিক্ষক দিবস পালন দেখে।