"আমার বাংলা ব্লগ " প্রতিযোগিতা - ২৫।। মজাদার টক, মিষ্টি, ঝাল হাঁসের চামড়ার আচার
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ দীপাবলির তৃতীয় দিন। আর একদিন পর ভাইফোঁটা। তাই সবাইকে অগ্রীম ভাই ফোঁটার শুভেচ্ছা। আজ আমি এমন একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যার নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে। তাই এত লোভনীয় খাবারের কনটেস্ট আয়োজন করার জন্য আমাদের সবার প্রিয় @hafizulla ভাইয়াকে ধন্যবাদ। হাফিজ ভাইয়ার মতো আমিও খুবই আচার পছন্দ করি। তবে আমি খুব একটা ভালো আচার তৈরি করতে পারি না। আমার মা খুব ভালো আচার তৈরি করে। আর আমি শুধু খেতে পারি। বেশ কয়েকবার আপনাদের দাদা আচার তৈরি করতে বলে। তখনই একটু আধটু চেষ্টা করি।
আচারের রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিলো। এবার এই কনটেস্টের জন্য অনেক নতুন নতুন আচারের রেসিপি শিখতে পারবো।তবে আরো বেশি ভালো লাগতো যদি সেগুলো একবার টেস্ট করার সুযোগ হতো।হা হা হা। তাই মনের কষ্ট মনেই থাকলো।আপনারা জানেন আমি সুযোগ পেলেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। কারণ আমার এটা ভালো থাকা থেকেই করা। তবে এবার কনটেস্টে অংশ গ্রহণ করা খুবই টাপ হয়ে গিয়েছিলো। কারণ আপনারা জানেন এই এক সপ্তাহ আমাদের পূজো ও ভাই ফোঁটা রয়েছে। তাই বুঝতে পারছিলাম না কি ভাবে কি করবো।তারপর ও আমার প্রিয় মানুষটির সহযোগিতায় কিছুটা হলেও পেরেছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো টক, মিষ্টি, ঝাল হাঁসের চামড়ার আচার। এটি অনেক মজাদার একটি খাবার। এই আচার রোধে দেওয়ার ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত খেতে পারবেন। এই আচার যেকোন খাবারের সাথে খেতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ আমার নিজের তৈরি একটি আচার। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.হাঁসের চামড়া -৫ ০০ গ্রাম
২. সরিষার তেল -২ কাপ
৩. তেঁতুলের ক্বাথ - ১ কাপ
৪. পাঁচ ফোড়ন -১ চামচ
৫. গোটা শুকনো মরিচ - ৩ টি
৬. ভাজা জিরা ও ধনিয়ার গুঁড়া -১ চামচ
৭. দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ - ৪ টি
৮.গুর /চিনি - স্বাদ অনুযায়ী
৯. লবণ -২ চামচ
১০. হলুদ - ১ চামচ
১১. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
হাঁসের চামড়া
সরিষার তেল
পাঁচ ফোড়ন, জিরা, ধনিয়া ও শুকনো মরিচ
দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ
তেঁতুলের ক্বাথ
গুর
লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে হাঁসের চামড়া ভালো করে পরিষ্কার করে জল ধুয়ে নিতে হবে। এবং সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে।
২. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে এক চামচ জিরা ও ধনিয়া দিয়ে ভেজে নিতে হবে। জিরা ও ধনিয়া থেকে ভাজা গন্ধ বেরোলে নামিয়ে নিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে।
৩. এরপর করাইতে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে গোটা গরম মসলা, শুকনো মরিচ ও এক চামচ পাঁচ ফোড়ন দিয়ে দিতে হবে। মসলা গুলো হালকা ভেজে চামড়া দিয়ে দিতে হবে।চামড়া গুলো হালকা ভেজে নিয়ে তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে দিতে হবে।
৪. তেঁতুলের ক্বাথ ফুটতে শুরু করলে পরিমান মতো লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এবার কিছুক্ষন জ্বাল দিতে হবে। হালকা একটু গাঢ় হয়ে গেলে স্বাদ অনুযায়ী গুর দিয়ে দিতে হবে।এরপর পাঁচ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রান্না করতে হবে। ঝোল কমে মাখো মাখো হয়ে আসলে সেই পর্যায়ে ভাজা মসলা উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে।এবার খুন্তি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিতে হবে।আর দুই চামচ উপর থেকে সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। এতে করে আচারের স্বাদ অনেক অংশে বেড়ে যাবে ও অন্য রকম একটা গন্ধ আসবে।এবার চুলা বন্ধ করে দিয়ে চুলার উপর ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে।
৫. এরপর নামিয়ে নিতে হবে। আচার ঠান্ডা হয়ে গেলে কাচের বোয়ামে রেখে দিতে পারেন।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার জিভে জল আনা রেসিপি হাঁসের মাংসের আচার। এই আচার আপনারা নরমাল ভাতের সঙ্গে ও বিরিয়ানির সঙ্গে ও খেতে পারেন। আমার আচার আপনাদের দাদা একা খেয়ে প্রায় শেষ করে ফেলছে। এতটা স্বাদের হয়েছে হাঁসের মাংসের আচার।
আজ এই পর্যন্তই কাল আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
আগে কখনো মাথায়ই আসে নি যে এরকম আচার হতে পারে। সত্যিই অসাধারণ লাগলো। আর স্বাদেও অতুলনীয় হয়েছে ,এটা দাদার মুখ থেকে শুনেছি। কি আর বলবো বৌদি , লোভ লাগিয়ে দিলেন।
সমস্যাতো আপনার ভাবির জন্য বেড়ে গেলো বৌদি, দেখেই তো মুখে জল চলে আসছে আর আমিও কায়দা করে তাকে দেখিয়ে দিলাম আর বললাম এই রকম রেসিপি চাই হা হা হা। খুব সুন্দর হয়েছে, যদিও রান্নার প্রসংশা আগেই দাদার কাছে শুনেছি। ধন্যবাদ
ননভেজ আচার সত্যি বলতে মাথাতেও আসে নি। আমি কিছুক্ষণ হাঁ করে ছিলাম দেখে। খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি আলাদা করে কিছু বলার নেই। এটা কি সংরক্ষণ করা যাবে অন্য সব আচারের মত?
অবশেষে দিদিভাই স্পেশাল রেসিপি নিয়ে হাজির 😊। আপনি যে শেষমেষ পার্টিসিপেট করলেন এটাই বড় কথা। ভীষণ খুশি হয়েছি সত্যি। আর আপনার তৈরি আচার কতটা টেস্টি হয় সেটা না হয় আর নাইবা বললাম। পুরো ইউনিক ছিল আজকের রেসিপিটা। হাঁসের চামড়া দিয়ে যে এমন কিছু হতে পারে ! ভাবা যাচ্ছে না একদম। জিভ দিয়ে জল পরছে একদম। ইস্ একটু যদি টেস্ট করতে পারতাম!!! আক্ষেপ থেকে গেল দিদিভাই। দূর্দান্ত ছিল পুরো আয়োজন টা 👌👌👌
অবশেষে বৌদি চমৎকার একটি আচারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন।এরকম ভাবে হাঁসের চানড়া দিয়ে আচার বানানোর কথা কখনো ভাবতে পারিনি।সত্যি বৌদি এবারের কনটেন্ট অনেক ভালো লেগেছে ।তবে আরো বেশি ভালো লাগতো যদি সেগুলো একবার টেস্ট করার সুযোগ হতো।হা হা হা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এতক্ষনে নতুন একটি আচারের রেসিপি দেখলাম তাও আবার মাংস জাতীয়।বৌদি আপনার রেসিপি মানেই সেরা ও বেস্ট হবেই।যদিও আমি কোনো মাংস খাইনা তবুও অন্য আচার খেতে পছন্দ করি।তাছাড়া আপনার আচারের কালার দুর্দান্ত হয়েছে।তবে সকলের আচার রেসিপি দেখে একটি বিষয় বুঝলাম তেঁতুল ছাড়া আচার হয় না।ব্যস্ততার মধ্যেও বেশ ছিল রেসিপিটা, ধন্যবাদ বৌদি।
প্রথমে জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি। আপনার রেসিপিটি অসাধারণ এবং ইউনিক একটি রেসিপি যা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানায় হাফিজ ভাইকে। যে আচার রেসিপি আয়োজন করেছিল। যার কারণে আজকে এত একটা ইউনিক আচার রেসিপি দেখতে পেলাম। যা কখনোই মাথায় আসেনি এবং কল্পনার বাইরে ছিল। হাঁসের চামড়া দিয়ে যে আচার রেসিপি তৈরি করা যায়, এটি সত্যিই খুব ইউনিক হয়েছে বৌদি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই মজাদার ইউনিট আচার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। জানিনা খেতে কতটা মজা হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য, আমি অবশ্যই এই রেসিপিটা তৈরী করার চেষ্টা করব।
আমিষ দিয়ে আচার সম্ভব এটা কারো মাথাতেই আসবে না।অসাধারণ ক্রিয়েটিভ একটি রেসিপি দিয়েছেন দিদি। এভাবে কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। অনেক শুভ কামনা ও ধন্যবাদ রইল।
বৌদি এত ব্যস্ততার ভেতরেও আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আপনি এত সুন্দর করে হাঁসের চামড়ার আচার তৈরি করেছেন আর বলেন যে আচার তৈরি করতে পারেন না। এই আচার দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। চামড়া এমনিতেই আমার খুব পছন্দ। তারপরে যদি এভাবে আচার বানানো যায় তাহলে তো কথাই নেই। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।