এপেক্স শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি ।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা , আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে এপেক্স শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমাদের সবারই জানা আছে যে, জুতা আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। রোদ বৃষ্টি গরম সব সিজনে আমাদের জুতা পায়ে দিতে হয়। ঘরের ভিতরে বাহিরে সব জায়গায় জুতা পড়ে যাতায়াত করতে হয়। এখন তো শীতকাল চলে এসেছে, ঘরের মধ্যে ফ্লোরে জুতা পায়ে চলাচল করতে হয়। কারণ ঘরের ফ্লোর অনেক ঠান্ডা। এই সিজনে ঘরের ফ্লোরে জুতা পায়ে না দিলে ঠান্ডা সর্দি কাশির মত অনেক ধরনের রোগ হতে পারে।তাছাড়া জুতা আমাদের শরীরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রধান একটি অংশ। সেজন্য কিছুদিন আগে জুতা কিনতে মার্কেটে গিয়েছিলাম।
আমার ইচ্ছা ছিল দুই জোড়া জুতা কিনবো। একজুড়ো স্যান্ডেল জুতা, যেগুলো বর্তমান সময়ে ঘরের ফ্লোর এর মধ্যে পড়া যায়। আরেক জোড়া জুতা নিবো ঘরের বাহিরে কোথাও গেলে পড়ার জন্য। সাধারণ দোকান থেকে আমি একজোড়া স্যান্ডেল নিলাম, আর আমার হাজবেন্ড এক জোড়া সেন্ডেল নিলো। যেহেতু এই জুতাগুলো ২-৩ মাস পড়বো, সেজন্য সাধারণ দোকান থেকে নিলাম। কারণ প্রতিবছর শীতের সময় ২-৩ মাসের জন্য এক জোড়া করে জুতা কিনতে হয়। সেন্ডেল জুতা কেনার পরে আমরা সোজা চলে গেলাম এপেক্স শোরুমে।
আমাদের বাসা থেকে মার্কেটে যেতে খুব বেশি একটা সময় লাগে না। ১০ টাকা অটোভাড়া হলেই মূল মার্কেটে চলে যাওয়া যায়। আমরা মূলত গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু রোডে। সেখানে এপেক্স এর তিন চারটি শোরুম রয়েছে। আমরা প্রথমে বাটার একটি শোরুমে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার জুতা তেমন পছন্দ হয়নি। তারপর আমরা এপেক্সের ছোট একটি শোরুম এ গিয়েছিলাম। সেখানেও জুতার তেমন নতুন কোন কালেকশন পায়নি। আসলে এসব শোরুমগুলোতে অনেক পুরাতন মডেলের জুতা থাকে। লেটেস্ট মডেলের জুতা খুবই কম পাওয়া যায়। ঈদ অথবা কোন উৎসব ছাড়া তারা মার্কেটে তেমন কোন নতুন কালেকশনের জুতা ছাড়ে না। এটা হয়তো পুরাতন জুতা গুলো বিক্রি করার কৌশল, তাদের ব্যবসায়ী কোন পলিসি।
যাইহোক তারপর আমরা সোজা এপেক্স এর বড় একটি শোরুমে চলে গেলাম। এই শোরুমটা নারায়ণগঞ্জ শহরের এক নম্বর রেলগেটে যেতে হাতের বাম পাশে। এটা বিশাল বড় একটি শোরুম। এখানে মহিলা পুরুষ ছোট বাচ্চা সবার জন্যই বিভিন্ন কালেকশনের জুতা রয়েছে। এখানে যারা যাবে তাদের অবশ্যই জুতা পছন্দ হবে। এই শোরুমটি দুই তালা, উপরে শুধু বাচ্চাদের জুতা। আমরা নিচতলার মধ্যে থেকেই একজোড়া জুতা পছন্দ করে ফেললাম। জুতাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর পড়তে অনেক আরাম। আমি সব সময় বেল সিস্টেম জুতা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা আমি একটু দ্রুত হাঁটি। যদি বেল্ট ছাড়া জুতা পড়ি তাহলে আমার পা থেকে প্রায়ই জুতা খুলে যায়। এই বিষয়টা একটু হাস্যকর হলেও আমার জন্য এটা একটু কষ্টকর। তাই আমি যেই জুতাই হোক না কেনো বেল্টের না হলে পছন্দ করিনা। আর এই জুতাগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর তা ছাড়া আবার বেল্ট করা সিস্টেম, পিংক কালারের এই সুন্দর জুতা গুলো আমার পায়ে মানিয়েছে বেশ। আমি আমার হাসবেন্ডকে বললাম আমার এই জুতোগুলো ভালো লেগেছে, তিনি আমাকে এই জুতা গুলো কিনে দিয়েছেন।
এই পিংক কালারের জুতা গুলো আমার কাছে যেমন পছন্দ হয়েছে আমার স্বামীর কাছে তেমনি পছন্দ হয়েছে। তিনি বলেছেন এই জুতাগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে, তুমি পড়লে পড়তে পারো। দুইজনের ইচ্ছেতেই আমি এই জুতোগুলো কিনে নিলাম। জুতার বিল দিয়ে আমারা আরো কিছু শপিং করলাম। তারপর মনের আনন্দে কিছু খাবার খেয়ে বাসায় ফিরলাম।
বন্ধুরা আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমাকে এখান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | এপেক্স শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি ।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৪-১১-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপনি ঠিক বলছেন আপু শীতকালে ঘরের ফ্লোর অনেক ঠান্ডা থাকে। তাই শীতকালে আলাদা স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হয়। আর আপনারা স্যান্ডেল নিলেন সেই সাথে এপেক্স শোরুম থেকে খুব সুন্দর জুতা নিলেন। আপনার জুতার কালার দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু কেনা কাটার মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
শোরুম থেকে অনেক সুন্দর জুতা কিনেছেন আপু। ১০ টাকা ভাড়া হলে আপনি মূল মার্কেটে চলে যেতে পারেন যেন ভালো লাগলো। তবে আমাদের মার্কেট করতে গেলে যেতে ৫০ টাকা লাগে। তবে বাড়িতে মোটরসাইকেল থাকায় খুব সহজে চলে যেতে পারি আপনার ভাইয়ের সাথে। যাইহোক দারুণ অনুভূতি তুলে ধরেছেন। জুতাটা ভালো লাগলো আমার কাছে।
জুতোটা দেখতে ভালো হয়েছে আপু। এপেক্সের শোরুম থেকে জুতো কেনবার একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। আপনি ঠিকই বলেছেন শীতকালে ঘরে জুতো পড়ে চলাফেরা করতে হয়। না হলে পায়ে খুব ঠান্ডা লাগে। এত সুন্দর জুতো কিনেছেন বলে এবং আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো। আরো এমন হাজার হাজার জিনিস কেনা হোক আপনার।
Mandatory Task:
১. নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট:
https://x.com/home
২. CMC তে কমেন্ট এবং Bullish অথবা Bearish ভোট:
https://coinmarketcap.com/currencies/pussfi/
৩. প্রতিদিন একবার Dexscreener-এ ঢুকে 🚀 বাটনে একটি করে ক্লিক:
https://dexscreener.com/tron/th95pufvckttytg6drlsyghwanx24feejb
Tags: #PussFi, #PUSS, #Steemit $PUSS
স্ক্রিনশট প্রতিদিন কমেন্ট এ উল্লেখ না থাকলে পোস্ট নমিনেশন এ যাবেনা
Daily Task done