||প্রতিযোগিতা -৬১ || মজাদার টুনা মাছের পাকোড়া ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ যেমন আছি, বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। ঢাকায় আজও বেশ বৃষ্টি বৃষ্টি আবহাওয়া। আর এমন বৃষ্টির সময়ে-অসময়ে কিছু - মিছু ঝাল ঝাল বা ভাজাপোড়া খাওয়ার ক্রেভিং আমাদের সকলেরই হয়তো কম - বেশি তৈরি হয়। তারউপর প্রিয় কমিউনিটিতে তো হোমমেড স্ন্যাকসের প্রতিযোগিতা চলমান... আর বাঙালির হোমমেড স্ন্যাকস মানেই আবেদনের প্রথম কাতারেই থাকে নানা স্বাদের পাকোড়া! আজ তেমন ই একটি মজাদার হোমমেড স্ন্যাকস হিসেবে টুনা মাছের পাকোড়ার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।
টুনা মাছ এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। প্রোটিনের পাশাপাশি এই মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের দারুণ উৎস। অন্যান্য মাছের তুলনায় টুনা মাছের স্বাদও আমার কাছে বেশ অন্যরকম লাগে। টুনা মাছের এই পাকোড়া খেতে ভীষণ ই মজার হয়। এটি নাস্তার টাইমেও যেমন দিব্যি চলে, তেমনি ভাত/ পোলাও এর সাথেও দারুণ লাগে। স্বাস্থ্যকর ভাবে হোমমেড খাবার হিসেবে এই পাকোড়ার জুড়ি মেলা ভার!
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ-
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
টুনা মাছ | ২ টুকরা |
আলু | ২ টি |
ডিম | ১ টি |
চালের গুড়া | ৩ চামচ |
রসুন | বড় ৪ কোয়া |
পেয়াজ | মাঝারি ৩ টে |
কাচাঁমরিচ | ঝাল অনুযায়ী |
লবণ | স্বাদ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া, জিরে গুড়া, আদা বাটা | হাফ চামচ মতোন |
গরম মসলা গুড়া | হাফ চামচ |
ধনিয়া পাতা | সামান্য |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে দু টুকরা টুনা মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে অল্প জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিবো। সেদ্ধ করার সময় আমি এপিঠ- ওপিঠ উলটে ভালো ভাবে দুদিকেই জল টেনে নিয়েছি। এরপর একটু ঠান্ডা হলে চামড়া ও কাটা বেছে নিয়েছি।
ধাপ-২ :
এবারে দুটি আলু কেটে ভালো ভাবে সেদ্ধ করে, কিছুটা ঠান্ডা হলে মেখে নিবো।
ধাপ-৩:
এখন পেয়াজ, কাচা মরিচ, রসুন, ধনিয়াপাতা ভালো করে কুচি করে নিবো।
ধাপ-৪ :
এখন একটি বাটিতে সমস্ত উপকরণ গুলো দিয়ে ভালো করে মেখে নিবো। মাখা হয়ে গেলে অল্প অল্প করে নিয়ে পাকোড়ার শেইপ দিয়ে নিবো।
ধাপ-৫ :
এখন একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে তাতে তেল গরম করে নিবো। গরম তেলে পাকোড়া গুলো দিয়ে দিবো। দুপাশে ভালো করে ভেজে তুলে নিবো। ব্যাস, গরম গরম ঝাল ঝাল মজাদার টুনা মাছের পাকোড়া একদম তৈরি! এটা এত মজার যে সাথে কোন সসের ও প্রয়োজন হয় না!
পরিবেশনঃ
আমি অবশ্য চায়ের সাথে টা হিসেবে বিকেলে করেছি। তবে ওই যে বললাম,এই পাকোড়া নাস্তা হিসেবে চায়ের সাথে হিট, আবার সাইড ডিশ হিসেবে ভাত/ পোলাও এর সাথেও হিট!! বাসায় একদিন বানিয়ে খাবেন অবশ্যই!
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
টুনা টুনির গল্প শুনেছি আর এখন দেখছি টুনা মাছও রয়েছে 😲। আমি এই প্রথম টুনা মাছের নাম শুনেছি আর এই মাছ কখনও দেখেছি বলে মনে হয় না। যাই হোক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপু আপনি ইউনিক একটি মাছের পাকোড়া তৈরি করেছেন। আপনার পাকোড়া দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি আপু, টুনা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ, যার গঠন ও স্বাদ অন্যান্য মাছের চেয়ে বহুগুণে আলাদা। বাহিরের দেশ গুলো তে এই মাছ টাই বেশি চলে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাছের পাকোড়া সেভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি এত সুন্দর করে মাছের পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। আশা করছি ভালো ফলাফল অর্জন করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসা নিবেন ❤️
টুনা মাছ এতোকাল শুধু ক্যানের মধ্যে দেখেছি৷ এই প্রথম দেখলাম বাজারে পাওয়া যায়।
টুনা মাছ খেতে দারুণ লাগে। তবে এমন পকোড়া খাইনি৷ এর পরে কিনে আনলে করে দেখব। অন্য মাছের পকোড়া খেয়েছি।
দারুণ রেসিপি। অভিনব৷
জি আপু। ক্যান টুনা টাই বেশি চলে। তবে আমাদের এখানে বাজারে গোটা টুনা মাছ পাওয়া যায়, তবে সেগুলো কিছুটা ছোটোই বলা চলে। বাহিরের সামুদ্রিক টুনা তো আকৃতিতে মানুষের চেয়েও বড়!
অনেক অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য।টুনা মাছের এই চপটি খেতে কিন্তু বেশ মজা। টুনা মাছের অন্য ধরনের একটি স্বাদ আছে। আর তাই এই মাছের চপ খেতে বেশ লাগে। আমিও করি মাঝে মাঝে। এটা অবশ্য ঠিক এই চপ বিকালের নাস্তায় যেমন হিট, ভাত বা পোলাউ এর সাথে তেমনই হিট। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু। টুনা মাছের স্ট্রাকচার ও যেমন ভিন্ন, এর স্বাদ টাও বেশ ভিন্ন। আমার কাছেও দুই ভাবেই মজা লাগে এই টুনা মাছের পাকোড়া টা।
দিদি দু এক পিছ থাকলে রেখে দিবেন। কাল অফিসে যাওয়ার পথে খেয়ে যাবো। আর খেয়ে দেয়ে রিভিউ দিবো। দারুন একটি রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছেন। বেশ স্বাদ হযেছে সেটা বুঝাই যাচেছ। এমন একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনার জন্য রইল শুভ কামনা।
ওরে আপু! বিকেলের নাস্তায় করে ছিলাম। বৃষ্টিময় ওয়েদারে চায়ের সাথে এমন মজাদার টা কি আর থাকে! আমার কোন দোষ নাই, জিনিসটাই এমন মজার.. 😋
মানি না মানবো না ।
মজাদার টুনা মাছের পাকোড়া দেখেই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে, মজাদার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
মজাদার টুনা মাছের পাকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ রায়হান ভাই পাশে থেকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
টুনা মাছের পাকোড়া দেখিয়ে তো খিদে বাড়িয়ে দিলেন। এবার কে রেঁধে খাওয়াবে? তাছাড়া টুনা মাছ তো আমাদের এদিকে পাওয়াই যায় না। হাহাহা। যাইহোক ভীষণ সুন্দর রেসিপি শেয়ার করলেন। একেবারে যথাযথ ব্যাখ্যার মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে পোস্টটিকে সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন। যদি কখনো টুনা মাছ পাই নিশ্চয়ই এই পকোড়া তৈরি করে খাব। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল।
ওদিকে অন্তত ক্যান জাত টুনা মাছ তো পাওয়া যাওয়ার কথা ভাই, খুঁজে দেখতে পারেন। ক্যান জাত টুনা মাছ ই সব জায়গায় বেশি চলে। লোভ দেখানোর জন্য দু:খিত 😅 তবে আমার কোন দোষ নাই। আপনার বার্ড নেস্ট দেখে আমারও লোভ লেগেছিলো। কাটাকাটি 🤭
হা হা হা৷ কাটাকাটি হয়ে গেল তবে। ভালো বললেন। খুব ভালো থাকুন।