ভ্রমন পোস্ট - " অবশেষে কক্সবাজারের পথে "

in আমার বাংলা ব্লগ6 hours ago

প্রিয় বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।

আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আমি আজ শেয়ার করবো একটি ভ্রমণ পোস্ট।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

অবশেষে কক্সবাজারের পথেঃ


বন্ধুরা,গতকাল শেয়ার করেছিলাম গতকাল রাতে আমি আর আমার চাচা শ্বশুরের পরিবার মিলে কক্সবাজার ভ্রমনে বের হবো।আমরা ঝালকাঠি থেকে ঢাকায় ফেরার আগেই কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার বাসের টিকিট অনলাইনেই কেটে ফেলি।আমরা মোট আট জন ছিলাম।তাই শ্যামলী পরিবহনে আমরা আগে থেকেই আটটি টিকিট কেটে ফেলি।এরপর আমরা রাতে হালকা খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই রাত ৯ ৪০ মিনিটে।আমরা একটা অটো রিকশা নিয়ে পান্থপথ থেকেই বাসে উঠে পরি।বাস যথা সময়ে ১০ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়।আর আমার চাচা শ্বশুরের পরিবার আমার ফুপু শ্বাশুড়ি অর্থাৎ চাচা শ্বশুরের বোনের বাসায় মালিবাগ উঠেছিলেন।তাই আরামবাগ সেখান থেকে কাছে বলে তারা আরাম বাগ থেকে বাসে উঠেন।

এরপর বাস টানা চলতে শুরু করে।আমরা যে যার মতো বসে পরলাম।আমার ছেলেতো চাদর গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে গেলো।কারন আমরা এসি বাসেই টিকিট কেটেছিলাম।বাস একটানা চলে চৌদ্দ গ্রাম নামক জায়গায় রাত আড়াইটার সময় বিরতিতে থামে।আমরা সবাই তখন সেখানের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসি।এরপর সবাই হালকা কিছু খেয়ে কফি পান করলাম।সেকানে বাস ২০ মিনিটের বিরতি দিয়েছিল।আমি রেস্টুরেন্টে বসে কিছু ফটোগ্রাফি তুলে নিয়েছিলাম।

২০ মিনিট পর বাস আবার চলতে শুরু করে।এরপর চট্টগ্রামে এসে আবার কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেয়।তখন আমরা আর বাস থেকে নামিনি।যখন চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে দিয়ে বাস কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন আমাদের প্রিয় @nusuranur আপু ও @moh.arif ভাইয়ার কথা মনে পরছিল আমার।আমাদের প্রিয় দুজন মানুষ এই শহরেই বসবাস করেন।তাই তাদের কথা খুব মনে পরছিল বসে।বাসে বসে কখন ও ঘুমাতে পারিনা আমি।তাই এলোমেলো অনেক ভাবনাতে সময় গুলো খুব ভালো ভাবেই কেটে যাচ্ছিল।

যখন ভোর হতে শুরু করেছিল।তখন বাইরে আলো ফুটতে শুরু করেছিল,তখন চলন্ত বাস থেকে চোখের সামনে সবুজ প্রকৃতি ও ছোট ছোট পাহাড় এসে পরছিল।আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম।কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে বাসের গ্লাসে এতো ময়লা ধুলা পরেছিল,আমার ছবি গুলো ঘোলা ঘোলা আসছিল।তাই মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।তবে ছোট ছোট পাহাড় দেখে বুঝলাম কক্সবাজারের খুব কাছেই রয়েছি আমরা।হে বন্ধুরা,সকাল ৮ টার সময় আমাদের বাস কক্সবাজারে এসে থামলো।আমরা নেমে অটো রিকশা নিয়ে হোটেলের খোঁজ করতে করতে হোটেল ও পেয়ে গেলাম।কক্সবাজারের যাত্রা পথ খুবই ভালো কেটেছিলো।আমি যদিও অনেকবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলাম।তবে এবার এসেছি চাচা শ্বশুরের পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে।তারা এই প্রথম এসেছেন।কারন আমার চাচা শ্বশুর ভীষণ ধার্মিক মানুষ।তিনি তার পরিবারকে নিয়ে বাইরে কোথাও বের হন না খুব একটা।ননদদের কথা চিন্তা করে আমার এই উদ্যোগ গ্রহন।আমি বলাতে চাচা শ্বশুর না করতে পারেননি।ননদদেরকে ঘুরানোর জন্য ই এবার আমার কক্সবাজারের ভ্রমন।আর কথা অন্য পোস্টে শেয়ার করে নেবো ইনশা আল্লাহ।আজ এ পর্যন্তই।কক্সবাজারের সুন্দর সময়গুলো আশা করছি আপনাদের কাছে শেয়ার করে নেবো।কক্সবাজারের ভ্রমন বিষয়ে বেশকিছু সুন্দর অনুভূতি আজ শেয়ার করে নিলাম। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

পোস্ট বিবরন


শ্রেণীভ্রমন পোস্ট
ক্যামেরাGalaxy A16
পোস্ট তৈরি@shimulakter
লোকেশনকক্সবাজার,বাংলাদেশ

আজ আর নয়।এখানেই আজ ইতি টানছি, নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

আমার পরিচয়


আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি)কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।

53.png

55.gif

17001.png