আলসেমির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আমার একটি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে এসেছি, যে সমস্যাটি আমার মনে হয় এতটাই গুরুতর যে এটা শুধুমাত্র আমার নয়, এই সমস্যাটা আরও অনেকেরই রয়েছে। এবং সে কারণেই আমি ভাবলাম, আজকে এই বিষয়টি নিয়ে একটু আপনাদের সাথে লেখালেখি করা যাক। কারণ, কিছু কিছু নিজস্ব সমস্যা নিয়ে যদি সকলের সামনে আলোচনা করা যায় কিংবা নিজস্ব ব্যাপারগুলো, অর্থাৎ নিজের ভুলগুলো যদি উপলব্ধি করা যায়, তাহলে আমি মনে করি একজন মানুষ হিসেবে সেটাই আমার সার্থকতা।
আমি আমার জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি একটি মাত্র ভুলের কারণে, যেটা আমি এখনো করে যাচ্ছি এবং যেটা আমি প্রতিনিয়ত করেছি।সেটা হলো আলসেমি। আসলে আমি যদি আলসেমি না করতাম, তাহলে আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেছি যে অনেক কাজ আমি অনেক সহজভাবে করে ফেলতে পারতাম কিংবা অনেক দ্রুত শেষ করতে পারতাম। শুধুমাত্র আলসেমির জন্যই সে কাজগুলো আর করা হয়ে ওঠে না।
আসলে আমাদের যদি আলসেমির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়, তাহলে হয়তো আমরা অনেক সময় দুর্বল হয়ে পড়ি। কিন্তু যেটা করা যাবে না, সেটা হলো আলসেমির কাছে আত্মসমর্পণ করা। বরং, আলসেমির বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আমাদের জীবনের পরিধি খুব ছোট। যত দিন যাচ্ছে, তত মানুষের গড় আয়ুও কিন্তু কমে যাচ্ছে। আর এই স্বল্প জীবনে যদি আলসেমি করে কাটিয়ে দিই, তাহলে কিন্তু শেষ জীবনে দেখা যায় যে জীবনের কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছি না। এবং তখন মনে হবে জীবনে কী করেছি কিংবা জীবনে কী করা উচিত ছিল, কোনো সমীকরণই মেলাতে পারছি না।
তাই আমার মনে হয়, আমাদের শরীরে কিংবা মনে যখনই আলসেমি জায়গা করে নিতে চাইবে, তখনই একটু সচেতন হয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, এটা আমি খুব ভালো করে খেয়াল করেছি যে আলসেমিকে যদি একবার প্রশ্রয় দেওয়া হয় কিংবা একবার যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে এই আলসেমি জীবন থেকে আর কখনোই সরে যায় না।

