বই পড়ার অভ্যাস আমাকে কী শিখিয়েছে
আমরা মানুষ আমাদের বিভিন্ন ধরনের অভ্যাস গড়ে ওঠে, এটাই স্বাভাবিক। কারো কারো ক্ষেত্রে একটু ভালো অভ্যাস কারো কারো ক্ষেত্রে খারাপ অভ্যাস। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ এই কোন না কোন অভ্যাস এর মধ্যে রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে আমার ছোটবেলা থেকেই একটি অভ্যাস ছিল। বই পড়ার অভ্যাস। তবে আমি সব ধরনের আবার বই পড়তে বেশি একটা পছন্দ করি না। আমি শুধুমাত্র বিজ্ঞানভিত্তিক বইগুলো বেশি পড়ার চেষ্টা করতাম এবং মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক যেসব উপন্যাস রয়েছে, গল্প রয়েছে সেসব গল্প করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম।
একটা সময় ছিল যেই সময়ে আমার পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক ভিত্তিক বইগুলোই আমার টেবিলে বেশি দেখা যেত। আমি বিজ্ঞান বিষয়ে এত পরিমানে বই পড়েছে যেটা আসলে বলা বাহুল্য এবং সে সকল বই আজও আমার লাইব্রেরীতে রাখা রয়েছে। যেহেতু আমার মায়ের একটি লাইব্রেরী রয়েছে এবং সেখানেও প্রায় অনেকগুলো বই আমি পড়ে ফেলেছি। এই বই পড়ার অভ্যাসটা সাধারণ আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি এবং এই বই পড়ার মধ্যে আলাদা একটি উত্তেজনার রয়েছে। আলাদা একটি জগত রয়েছে। যেই জগতের সন্ধান আমি পেয়েছি। তাই তো প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি একপাতা কিংবা দুই পাতা হলেও বই যেন আমি পড়তে পারি।
বই পড়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু শিখতে পারি। একটা হচ্ছে বই পড়ার আগ্রহ এবং বই পড়লে নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারা যায় এছাড়াও রয়েছে অধ্যাবসায়ের একটি বিষয়। যে কাজটা আপনি প্রতিনিয়ত করছেন সেই কাজের প্রতি একটা আলাদা ভালো লাগা কিংবা ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। যেটা আসলে একটা অলৌকিক ঘটনা। এছাড়াও আপনি বই পড়ার মাঝে যখন ব্রেক দিবেন এবং কোন ক্রিটিকাল মোমেন্টে আপনি বাদ দেবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মন সবসময় চাইবে যে পরবর্তীতে কি ঘটছে সেই বিষয়টা একটু পরে দেখি।

