কক্সবাজার ভ্রমন স্মৃতি - পর্ব ০৮ - শামলাবিচ ও পাটোয়ারটেকের পথে

in #coxbazar7 days ago

কক্সবাজার ভ্রমন স্মৃতি - পর্ব ০৮ -
"শামলা বিচ ও পাটোয়ারটেক এর পথে"

আমরা ছিলাম মোটামুটি বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে ১৩ জন। কয়েকটা গাড়ী থেকে একটা দামাদামি করে ঠিক করা হলো। মোটামুটি সারা দিনের জন্যই গাড়ি রিজার্ভ করা হলো। সুন্দর ছাদ খোলার গাড়ি। সবাই মিলে গাড়িতে উঠে বসলাম। গাড়ি ছেড়ে দিল। মোটামুটি আশেপাশে যতগুলো স্পট ও বিচ আছে সবগুলোতেই ঘোরার ইচ্ছা।

20241030_120113.jpg

সর্বপ্রথম চলে গেলাম একেবারে শেষ প্রান্ত "শামলা বিচ"। অনেক নিরিবিলি ওর সঙ্গে একটা সৈকত। একেবারে নিরিবিলি ও জনশূন্য। কিছু জেলে এবং তাদের নৌকা ছিলো। বড় লম্বা নৌকাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কাটালাম। মুলত গতকালকে যে বিচে আমরা গোসল করেছিলাম অনেক মানুষজন ছিল, তো সেই দিক থেকে এই বিছাক একেবারে কোন মানুষজন নেই, এজন্য জায়গাটা খুবই উপভোগ্য ছিল। বেশ কিছুক্ষণ বিচে হাটাহাটি করলাম। একটু পানিতেও নামলাম। তারপর বেশ কিছু ছবি তুললাম নৌকাগুলোর সাথে।

20241030_112640.jpg

মোটামুটি আধা ঘন্টা কাটিয়ে সেখান থেকে অন্য জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আজকে সারাদিনে অনেকগুলো স্পটে বা বিচে যেতে হবে এজন্য এক জায়গায় বেশিক্ষণ থাকলে সবকিছু কাভার করা সম্ভব না। এবার আমাদের গাড়ি রওনা দিল পাটোয়ারটেক এর উদ্দেশ্যে। এই পাটোয়ারটেক জায়গাটা গত বার অনেক ভালো লেগেছিল। এজন্য এইবার প্রথম থেকেই অপেক্ষা করছিলাম এখানে আসার জন্য। তো গাড়ি মোটামুটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট চলার পর আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত পাটোয়ারটে বিচে।

ডিভাইসস্যামসাং এস ২১
ফটোগ্রাফার@surzo
লোকেশনকক্সবাজার, বাংলাদেশ

গত বছর ঠিক এই সময়ে এখানে এসেছিলাম। সবকিছু আগের মতই আছে কোন পরিবর্তন নেই। আসলে গত বছর এইখানে খুব অল্প সময় থেকে চলে গিয়েছিলাম, এজন্য এই বছর শুরু থেকেই অনেক ইচ্ছে করছিল এখানে আসার। গাড়ি থামার পর পাটোয়ারটেক বিচ চোখের সামনে আসতেই মনটা খুশি হয়ে গেলো।
মনে হচ্ছিল জায়গাটা খুবই চেনা ও পরিচিত।