ফিরে যেতে চাই সেই শৈশবে।

লিংক


আসলে বর্তমান আমরা যে সময় বসবাস করছি সেই সময়টাতে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকি। আসলে এই ব্যস্ততার সময়ের মধ্যে যখন আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তখন কিন্তু আমরা আবার ফিরে যেতে চাই সেই শৈশবে। অর্থাৎ সেই শৈশব কাল আমাদের কাছে সবথেকে ভালো ছিল। তখন আমাদের এই জগৎ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা না থাকলেও আমরা সব সময় নিজেদের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আসলে এই সময়টাতে আমরা যেসব জিনিসপত্র পড়তাম সেই সকল জিনিস কিন্তু এখন বর্তমান সময়ের শিশুরা কখনোই করে না। অর্থাৎ এখন বর্তমানে শিশুরা কোন বড় মানুষদের কখনো কোনো সম্মান করে না এবং তারা তাদের নিজেদের মতো করে চলে।


একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি আমাদের সেই পুরনো শৈশবের মতো করে নিজেদের বর্তমান জীবনটা উপভোগ করতে চাই তাহলে সর্বপ্রথম কিন্তু আমাদের সন্তানদেরকে ভালো শিক্ষা গ্রহণ করাতে হবে। কেননা তাদের মধ্যে যদি আমরা আমাদের সেই ছোটবেলার ভালো জিনিস গুলো প্রবেশ করাতে না পারি তাহলে কিন্তু তারা বর্তমান সময়ের খারাপ জিনিসপত্র দেখে সেখান থেকে খারাপ শিক্ষা নিয়ে তারা তাদের নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে এই পৃথিবীতে যদি আমরা সঠিকভাবে বসবাস করতে না পারি তাহলে কিন্তু আমাদের কাছে এই পৃথিবীটা আর মোটেও ভালো লাগবে না। তখন ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছা করবে আবার সেই পুনরায় শৈশবে।


আসলে আমরা যখন আস্তে আস্তে বড় হয়েছি তখন কিন্তু আমাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে এই বাইরের পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করতে পেরেছি। আসলে এই পরিবর্তনগুলো যদি ভালোর দিকে হয় তাহলে তো ঠিক আছে। কিন্তু যদি পরিবর্তন খারাপের দিকে হয় তাহলে কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়। আসলে আমাদের এই পরিবেশের ভালো মন্দ জন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী। অর্থাৎ আমরা যদি ভালোভাবে ভালো পরিবেশ তৈরি করতে না পারি তাহলে কিন্তু সেই পরিবেশটা কখনো ভালো হবে না। আর এজন্য আমরা সর্বপ্রথম নিজেদেরকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করব। আসলে শৈশবের মতো সুন্দর পরিবেশ তখনই আমরা পাব যখন আমরা নিজেদের মতো করে আবার নিজেদের জীবনটা সাজাতে পারব।


এজন্য একটা জিনিস আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা অবশ্যই আমাদের নিজেদের শৈশবে ফিরে যেতে পারি তবে সেই ফিরে যাওয়ার আগে আমাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের শৈশবকালের মতো ভালো মন মানসিকতা যেন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন না হয়। অর্থাৎ মানুষের বয়স বাড়লেও মানুষ যদি তার নিজের মনের বয়স না বাড়ায় তাহলে কিন্তু সে তার শৈশবেই পড়ে থাকে। এজন্য আমাদের মনের বয়সটাকে না বাড়িয়ে আমরা শৈশবের মতো একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করব এবং সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে এক জায়গায় বসবাস করবো। আর এর ফলে কিন্তু আমরা সেই শৈশবকালের মত আনন্দ বর্তমান সময়ে হয়তোবা উপভোগ করতে পারব।

লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।