ঘুগনি রেসিপি🥰

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো,

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।

PhotoCollage_1729843510437.jpg

অনেক দিন থেকে ভাবছিলাম ঘুগনি বানাবো।আসলে আমার কিছু রান্না করতে চাইলে আজ নয় তো কাল কাল নয় তো পরসু এমন এক অবস্থা হয়।
ইদানীং রান্না ঘরে ঢুকি না বল্লেই চলে তাই রেসিপি ও করা হয় না।রেসিপি পোস্ট লিখতে আমার খুব ভালো লাগে।

বাইরের খাবার আমি একদমই খাই বা বল্লেই চলে।কোথাও গেলে আমার প্রধান খাবার আইসক্রিম ও কফি আর যদি খুব ক্ষুধা পেয়ে যায় তবে একটি সিঙ্গারাও সন্দেস খাই।আমার মেয়েও বাইরে তেমন কিছু খায় না তবে ফুচকা খেতেই হবে তার।

আমি যখন খাগরাছরিতে ছিলাম তখন আমার ফ্লাটের ভাবি আমাকে ছারা একপাও কোথাও যেতেন না।ভাবির এক দেবর ছিলেন খাগরাছরি থানায় কর্মরত ওনি সহ আমরা সবাই খাগরাছরি শহর ঘুরতাম আর ওই ভাই আমাদের কে এই ঘুগনি খাওয়াতো।বাংলাদেশে চটপটি বলা হয় ঘুগনিকে।মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে বসে চিতই পিঠা ও নানান রকমের লোভনীয় ভর্তা খেতাম।বিন্নি ধানের চাল থেকে আটা তৈরি হতো এবং সেই আটা দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে পাহারি মেয়েরা যা ভীষণ সুস্বাদু আমার মুখে লেগে আছে এখনো।আমরা পাটিসাপটায় ক্ষির বা নারিলের গুড় দিয়ে পুর তৈরি করে দেই কিন্তুু ওনারা শুধুই নারিকেল কোড়া দিয়ে মজাদার বিন্নি ধানের পিঠা তৈরি করতেন যা ভীষণ চমৎকার লাগে খেতে।খুব মনে পড়ে সেই দিন গুলো।

পূজায় দশমিতে রান্নার জন্য চার কেজি খাসির মাংস এনেছিলো আর তাতে বেশ খানিকটা তেল ছিলো সেখান থেকে হাফকেজি পরিমাণ তেলও তেল যুক্ত মাংস রেখেছিলাম ঘুগনি রান্না করার জন্য আজ তা দিয়ে রান্না করে ফেল্লাম মজাদার লোভনীয় ঘুগনি।

তো চলুন দেখা যাক রেসিপি টি কেমন।

IMG_20241025_110048.png

১.হলুদ মটর
২.খাসির মাংস ও তেল
৩.পেঁয়াজ কুচি
৪.পেঁয়াজ বাটা
৫.রসুন বাটা
৬.আদা বাটা
৭.মরিচের গুড়া
৮.গরম মসলা
৯.লবন
১০.হলুদ
১১.আলু
১২.গোটা জিরা
১৩.গরম মসলা

PhotoCollage_1729834452627.jpg

IMG_20241025_110055.png

প্রথম ধাপ

প্রথমে মটরের ডাল গুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা।

IMG_20241025_122732.jpg

দ্বিতীয় ধাপ

আদা,রসুন,জিরা,পেঁয়াজ বেটে নিতে হবে।

IMG_20241025_122956.jpg

তৃতীয় ধাপ

এখন প্রেসার কুকারে মটরের ডাল গুলো খুব ভালো করে সিদ্ধ করে নিয়েছি। আমি প্রেসারে আট থেকে দশটি সিটি দিয়ে নিয়েছি।

PhotoCollage_1729838024146.jpg

চতুর্থ ধাপ

এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়ে তাতে গোটা জিরাও তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।

IMG_20241025_123653.jpg

পঞ্চম ধাপ

এখন ফোঁড়ন দেয়া জিরা,তেজ পাতায় পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি ও তা হালকা করে ভেজে নিয়েছি।

PhotoCollage_1729838334134.jpg

ষষ্ঠ ধাপ

এখন ভাজা পেঁয়াজে মাংসও চর্বি গুলো দিয়েছি।

IMG_20241025_132305.jpg

সপ্তম ধাপ

এখন মাংসও চর্বি গুলোতে সব গুলো উপকরণ ও আলু ছোট টুকরো করে কেটে তা দিয়েছি।

PhotoCollage_1729841408678.jpg

অষ্টম ধাপ

এখন নারাচারা করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি ও খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি চর্বিও মাংস আলু গুলো।

IMG_20241025_133536.jpg

IMG_20241025_133351.jpg

অষ্টম ধাপ

এখন আগে থেকে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে রাখা মটরের ডাল গুলো দিয়েছি কষানো মাংসে।

IMG_20241025_134207.jpg

IMG_20241025_134241.jpg

নবম ধাপ

এখন মটরের ডাল ও মাংসগুলো একসাথে খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে সিদ্ধ করেছি আর একটু সময়

PhotoCollage_1729842699992.jpg

এবং ঝোল কমে গা মাখা হয়ে গেছে ও পুরাপুরি ভাবে আমার ঘুগনি রেসিপিটি রান্না হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ

ঝোল কমে গা মাখা হয়ে গেছে ও পুরাপুরি ভাবে আমার ঘুগনি রেসিপিটি রান্না হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি

IMG_20241025_135508.jpg

পরিবেশন

IMG_20241025_135709.jpg

IMG_20241025_135759.jpg

IMG_20241025_135829.jpg

এই ছিলে আমার আজকের মজাদার ঘুগনি রেসিপি। ঘুগনি রেসিপি টি আমি লুচি দিয়ে খেয়েছি। মেয়ে পায়েস খেতে চেয়েছে জন্য পায়েসও করেছিলাম।আজকেই মতো এখানেই শেষ করছি।
আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20241017_142024.jpg

IMG_20241025_141203.png

Sort:  

খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার রেসিপি। লুচি আর ঘুগনি রান্না হলে আমার আর কিছু লাগেনা। ঘুগনি খেতে আমি খুব ভালোবাসি। আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এলো।

 last year 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ঘুগনি রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এ ধরনের রেসিপি নাম আমি প্রথম শুনলাম। তবে রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

বাঙালির চিরন্তন একটি প্রিয় পদ তুমি রেসিপির মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে আনলে। মাংসের ঘুগনি আমার বরাবরের প্রিয়। আমাদের এখানে একটা দোকানে এই খাবারের জন্য লম্বা লাইন পরে। দারুণভাবে তুমি এই কিমা দিয়ে ঘুগনি রান্না করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে রীতিমত লোভ বাড়িয়ে দিলে। আমার এখন সেই দোকানটায় যেতে ইচ্ছে করছে। এবার কি হবে এই বৃষ্টির দিনে?

 last year 

হাহাহাহা বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে খেয়ে আসুন জ্বর হলে আমার দোষ নাই।

 last year 

আপু বিন্নি ধানের পাটিসাপটা পিঠা আমিও খেয়েছে। বেশ মজা খেতে। তবে আপনার বানানো ঘুগনী রেসিপিটি কখনও খাওয়া হয়নি। রেসিপির রং দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাই হবে। ধন্যবাদ রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনি বিন্নি ধানের পাটিসাপটা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ঘুগনি খেয়ে দেখবেন বানিয়ে বেশ মজাদার খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ঘুঘনি রেসিপি আমি আমার বাসায় অনেক বার খেয়েছিলাম। আমার মা ঘুগনি রেসিপি বেশ দারুন ভাবে তৈরি করেন। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ঘুগনি রেসিপি‌ তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর এরকম রেসিপি গুলো দেখলে লোভ লেগে যায়।

 last year 

আন্টি ঘুগনি দারুণ তৈরি করে জেনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

খাগড়াছড়িতে কখনও যাওয়া হয়নি তবে আপনার কাছে সেখানের এমন লোভনীয় খাবারের নাম শুনে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে বিন্নি চালের পায়েস খেতে ইচ্ছে করছে। যাই হোক আপনি আজ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপু চটপটি একটু অন্যরকম হয়। তবে আপনি যেই নাম দিয়েছেন এটাই হয়তো বলে এই রেসিপিকে। যদিও এই ঘুগনি কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার লুচির সাথে ঘুগনি রেখেছেন দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। খাসির মাংস ও তেল দেওয়াতে হয়তো এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

খাসির মাংস দিয়ে ঘুগনি তৈরি করা হয়নি কখনো। আপনার রেসিপিটা দেখেই তো লোভ লেগে গেল। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার এই খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

খাসির মাংস দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জমা।

 last year 

আমার বাইরের খাবার একটু বেশিই খাওয়া হয়। এর অবশ‍্য কারণ আছে বেশ কিছু । যাইহোক খাসির মাংস এবং তেল দিয়ে ঘুগনি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপনি। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। লুচি দিয়ে খেলে খুবই সুস্বাদু লাগবে।

 last year 

বাইরে বেশি খাওয়া হয় আপনার জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ঘুগনি রেসিপি টা আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে আপনি এর ভিতরে চর্বি ব্যবহার করেছেন বিধায় এটি দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে আর খেতেও মনে হয় খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আপনা কে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

একদমই ঠিক বলেছেন চর্বির কারণে দেখতে যেমন সুস্বাদু হয়েছে খেতে তেমনি মজাদার।

 last year 

হ্যাঁ আপু আমাদের এদিকে এগুলোকে আমরা চটপটি বলি। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে ঘুগনি রেসিপি করেছেন । তবে মাংস ও ভালো করে মসলা দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে এই রেসিপি। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। এবং রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 last year 

হ্যাঁ চটপটি বলে তবে বেশিভাগ চটপটি মাংস ছারা করে থাকে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।