Better Life With Steem || The Diary game || 2/12/2024

in Incredible India24 days ago
1000152529.jpg

হ্যালো গায়েজ

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,আশা করছি সবাই ভালো আছেন,।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে ; আমার আজকের সারাদিনে কার্যক্রম নিয়ে


প্রতিদিনের মতো আজও একই সময়ে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠি,উঠে হাত মুখ ধুয়ে বসে এক মগ ভর্তি ভুসির পানি খেলাম। খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিলাম। ঝাড়ু দেওয়ার পর বেচিনে কিছু থালা - বাসন রাখা ছিল ওগুলো ধুয়ে নিলাম।

1000152494.jpg

মোটামুটি হাতের কাজগুলো শেষ করে তারপর সাহেবকে জিজ্ঞেস করি সকালে রুটি বানাবো না নুডুলস রান্না করবো। আসলে আজকে রুটি বানাবার ইচ্ছা ছিল না, তারপর সাহেব কে জিজ্ঞেস করি সে যেটা খাবে সেটাই বানাবো। সাহেবকে জিজ্ঞেস করার পর বলছে আমার অনেক ক্ষুধা লেগেছে এখন রুটি বানাতে গেলে অনেক লেট হবে শর্টকাটে নুডুলস রান্না করে দাও।

আমিও মনে মনে ভাবলাম আমি তো এটাই চেয়েছিলাম। তারপর চটপটে করে নুডুলসটা রান্না করে বাবা ছেলেকে খেতে দিলাম। আমি আর ওসব খাইনি, রাতে ভাত খাওয়ার পর কতগুলো ভাত রয়েছিল ওখান থেকে কিছুটা ভাত নিয়ে একটা ডিম ভেজে বাসি তরকারি দিয়ে খেয়ে নিলাম।

1000152513.jpg

সকালের খানাটা খেয়ে রান্নার কাজে লেগে পরি। আজকে দুপুরে রান্না করতে নিয়েছি মুরগির মাংস, পানি ডাল, আর মিষ্টি কুমড়া। আমি ডাল আর মিষ্টি কুমড়াটা রান্না করেছি, ভাবি বলছে সে আজকে মুরগির মাংস রান্না করবে।

তাকে রান্না করতে দিয়ে আমি আর বসে থাকিনি, ঘরটা আবার সুন্দর মতন ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। সমস্ত রুমগুলো দু-তিনবার ঝাড়ু দিতে হয়। আমার একপিচ ছেলে আছে সেই সারাক্ষণ খেলা করে আর রুমগুলো একাকার অবস্থা বানিয়ে ফেলে। যাই হোক ছেলেকে গোসল করে দিয়ে আমার গোসলটাও সেরে নিলাম।

1000152520.jpg

এরপর জোহরের নামাজ পড়ে, ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম। ওকে খাওয়াতে গেলে কতটা সময় লাগে তা আজ নাই বলি। ছেলের খাওয়া শেষ হলে তারপর আমি খেলাম খেয়ে ওটা মাত্রই আসরের আজান দিল। আর এদিকে সাহেব এসে পরল। আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় শরীর মেশাতে পারিনি। সাহেব আসার পর গোসল করে নিল তারপর তার খাবার টেবিলে বেড়ে রেখে আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম।

নামাজ পরে চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। এদিকে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে গেল। মেয়ে প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেয়ে তিনটার সময় ঘুমিয়ে যায়।

1000152527.jpg

মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে বসল।এরপর দুই ভাই বোনকে একটা ড্রাগন ফল কেটে দিলাম। ওদের সঙ্গে আমিও এক পিস খেলাম। ড্রাগন ফলটা দেখতে যতটা মিষ্টি ছিল কিন্তু খেতে যতটা ভালো লাগেনি। মেয়ে এক পিচ খেলো ছেলে তো খেতে চাইনি তারপর জোর করে একটু খাইয়ে দিলাম। তারপর বাকি যেগুলো রয়েছে সেগুলো আমি খেয়ে নিলাম। নষ্ট করা তো যাবে না মিষ্টি না লাগলোও নিজের মন থেকে রুচি এনে খেলাম।

মেয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল ওদিকে মাগরিবের আজান দিল অজু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ভাবছি ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসাবো; কালকে নিয়ে বসতে পারিনি। তা আর আজকেও বসাতে পারিনি ওর বাবা আবার গাড়ি এনেছে সেই বিকাল থেকে খেলার ভিতরেই আছে গাড়িটা নিয়ে।এরপর আমি আর কি করবো বসে থাকিনি, পোস্ট লেখার কাজে লেগে পড়ি। ভাবছি আজকে লেখা সামনে আর এগাবো না এখানেই শেষ করতে চাই।

যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...
 23 days ago 

পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগল! আপনার দিনটি কত সুন্দরভাবে কেটেছে এবং কীভাবে আপনি পরিবারের কাজ সামলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে সকালের নুডলস রান্না থেকে শুরু করে দুপুরের খাবার এবং সন্তানের যত্ন নেওয়া, প্রতিটি কাজেই আপনার ভালোবাসা আর যত্ন ফুটে উঠেছে। ড্রাগন ফল নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাটাও বেশ মজার ছিল! আপনার এই ব্যস্ত দিনের বর্ণনা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। ভবিষ্যতে আপনার আরো সুন্দর পোস্টের অপেক্ষায় থাকব। শুভকামনা রইল..

 23 days ago 

প্রতিদিনের মতো আজকেও সারাদিনে সংসারের কাজকর্ম করেছেন। আসলে আমাদের মত সকলকেই ঘুম থেকে উঠেই সংসারের সমস্ত কাজকর্ম করতে হয়। যাইহোক ড্রাগন ফলটা দেখে খুব সুন্দর লাগছে। ড্রাগন ফল আমিও খেতে খুব ভালোবাসি। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম গুলি করে খুব ভালো লাগলো।

 23 days ago 

আপনি আপনার কার্যক্রম খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন৷ পারিবারিক দায়িত্বগুলোর বর্ননা ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্ষুদা লাগলে নুডুলস খুব কার্যকরী কারন এটা দ্রুত রান্না করা সম্ভব ।

ভাবি আর আপনি মিলে রান্না করেছেন। দুজন মিলে রান্না করলে দু'জনেরই কষ্ট কম হয়। ড্রাগন ফল দেখতে সুন্দর লাগছে তবে আমার কাছে কেন জানি খেতে ভালো লাগে না। ভালো থাকবেন।