নিমন্ত্রণ বাড়ি
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আরো কিছু মুহূর্ত।
প্রত্যেকদিন জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে আমার খুবই ভালো লাগে। নিজের সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে সময় বার করে তাই লিখতে চলে আসি। যদিও পোষ্টের সময় আজকাল খুব হের ফের হচ্ছে। মানে আজ সকালে দেখছি তো কালকে রাত হয়ে যাচ্ছে লিখতে লিখতে। তাও চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব টাইম এডজাস্ট করা যায়।
কিছুদিন আগেই আমার এক দূর সম্পর্কের মাসির ছেলের বিয়ের কথা আমি তুলে ধরেছিলাম। আমার পরীক্ষা ছিল বলে ঠিকভাবে বিয়েতে মজাও করতে পারিনি এবং বিয়ের দিনের আগের দিন মাকে মাসির বাড়িতে দিয়ে আসতে গিয়েছিলাম সেই নিয়ে আপনাদের সাথে একটা পোস্ট শেয়ার করেছি।।
আজকে তার বিয়েরই বৌভাতের দিনের কথা বলছি। বৌভাতের দিন ছিল আমার পরীক্ষা। দ্বিতীয় পরীক্ষা শেষ করে এসেই বৌভাতে যেতে হবে।। তাই সেই মতোই পড়া প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কারণ তার পরের দিন কেউ পরীক্ষা ছিল। এই অবেলায় কেন যে কলেজ থেকে পরীক্ষা ফেলেছে, এখন মানুষ কোথায় বড়দিন উদযাপন করবে। তা নয় আমাকে দিনরাত্রি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
আমি যদিও কাজে ব্যস্ত থাকতে ভালবাসি কিন্তু এত ব্যস্ততা সত্যিই সয় না। পরীক্ষা দিয়ে এসে ঠিকভাবে রেস্ট করতে পারিনি। কারণ পরীক্ষা শেষ হয় চারটের সময়। বাড়ি আসতে আসতে মোটামুটি পাঁচটা বেজেই যায়। আর পাঁচটা বাজলেই এখন সন্ধ্যে লেগে যায়। মা তাই আমাকে আর ঘুমোতেও দেয় না। ওই অবস্থাতেই ফ্রেশ হয়ে আমাকে সন্ধ্যে দিতে হয়। পরীক্ষার কদিন তো এরকমই হয়েছে।
ঠিকঠাক না ঘুমিয়ে হাপাতে হাপাতে পরীক্ষা দিয়ে এসে ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যে দিয়ে একটুখানি বসে থাকি। কিন্তু সেদিন কে বসে থাকার ও সময় পায়নি। সন্ধ্যার পূজা দেয়ার পর শুরু করে দিয়েছিলাম রেডি হওয়া। প্রথমে মা রেডি হয়ে নিল। মাকে কিছুটা হেল্প করে দিলাম। তারপরে আমি নিজে রেডি হলাম। চোখমুখ পুরো বসেছিল। আর নিজেকে খুবই ক্লান্ত লাগছিল।
তারপরেও নিজের চোখের উপর ফিদা হওয়া আমার স্বভাব। তাই সে চোখ বসা থাকলেও, আমি নিজের চোখ দেখে সেদিনও ফিদা হয়েছি। সত্যিই আমার চোখ দুটো আমার নিজেরও খুব পছন্দের। যাইহোক রেডি হয়ে যাওয়ার পর মা বাবার সাথে একটু ফটো সুট করে নিলাম।
এরপরে রওনা দিতে হবে যেহেতু বেশ দূরের পথ তাই আগে আগেই বেরোতে হবে। আমাদের গাড়ি করেই যাবো, তাই গাড়ি নিয়ে পিসেমশাই চলে এলো। তারপর আমি বাবা মা আর আমার এক দূর সম্পর্কের মামা গাড়িতে উঠে বসে পড়লাম।। মাদ্রাসায় আমার এক পরিচিত বন্ধুর বাড়িতে দেখা করেছি কিন্তু পাঁচ মিনিটের জন্য।
তারপর দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম। গ্রামে দিনের বেলাটা যতটা পরিষ্কার রাতের বেলাটা ততটাই ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। দিনের বেলা সেদিনকে এসে যতটা মজা পাচ্ছিলাম রাতের বেলায় এসে আমি চোখে কানা হয়ে গেছিলাম। তার ওপর চশমা আনতে ভুলে গিয়েছি। সাজুগুজু করতে গিয়ে আসল জিনিসটার কথাই মাথাতে নেই।
কোন রকমে বাড়ি ফিরতে পারলে বাঁচি। দূর থেকে সবাই টাটা ,ভালো আছিস, এসব নানান প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে আর আমি কারোর মুখই ঠিক ভাবে বুঝতে পারছিলাম না। কারণ আমার দূরের সমস্যা। খাওয়া-দাওয়া নিরামিষ ছিল। কারণ ওরা সবাই অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য। আমি যেহেতু নিরামিষ খেতে ভালবাসি তাই আমার সেরকম সমস্যা হয়নি।
যাইহোক সেদিন বাড়ি আসতে আসতে, মোটামুটি সাড়ে দশটা বেজে গিয়েছিল।। তারপর জমিয়ে ঘুম। আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন।
🤗 Hi @isha.ish! Your post is excellent! ✨
Hey friend! 🎉 Come check out your awesome post on my shiny new front-end! It's still a work in progress but I'd love to hear what you think! View your post here ✨
ছাত্র জীবন অনেক সুখের জীবন, যদি পরীক্ষা না থাকতো । আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, আপনার পরীক্ষা চলছে পাশাপাশি আপনার ভাইয়ের বিয়ে, মাঝে,মাঝে এই রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, আমি দাওয়াতে তেমন যাই না, কিন্তু বিশেষ আত্মীয়-স্বজনের দাওয়াতে যেতে হয়। না হলে পরে এই সব বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে সমালোচনা করে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপু আপনার দিনের এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো এত সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পরীক্ষা আর বিয়ের ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য সময় বের করে সবকিছু সামলানোর দক্ষতা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
ক্লান্তি সত্ত্বেও আপনার আত্মবিশ্বাস আর ইতিবাচকতা অনুপ্রেরণাদায়ক। গ্রামে রাতের পরিবেশ আর দূরের সমস্যা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাগুলো খুবই বাস্তব মনে হলো। আশা করি, আপনার পরীক্ষাগুলোও ভালো হয়েছে।
your nose ring looks amazing.. you are from which city ??
পরীক্ষা শেষ করে চলে গিয়েছিলে, বিয়ে বাড়িতে নিমন্তন্ন খেতে। কিছুদিন আগেই শুনেছিলাম এই নিমন্তন্ন খাওয়ার গল্প। শীতের মধ্যে নেমন্তন্ন খেতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। তোমার নেমন্তন্ন খেতে যাওয়ার মুহূর্তটা পরিবেশ ভালো লাগলো।