ঠাকুর দেখা নিয়ে জেদ

in Incredible India22 days ago

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে বেশ অনেকদিন পর আমি আপনাদের সাথে পুজোর ঘোরাঘুরি নিয়ে হাজির হয়েছি। সেই কবে দুর্গাপূজা চলে গেছে। দুর্গাপূজা নিয়ে লিখতে লিখতে হঠাৎ করে স্টপ হয়ে গিয়েছিলাম। যতদূর সম্ভব আমি বেশ অনেক কিছুই বাদ দিয়েছি। তাই যে মুহূর্তগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরিনি ,সেগুলো নিয়েই আজকে লেখালেখি।

20241010_213808.jpg

আমি আপনাদের বলেছিলাম দুর্গাপূজায় ঠাকুর দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে। এটাও বলেছিলাম যে আমি, মা, ভাই, মৌসুমী বৌদি এবং মৌসুমী বৌদির বর সবাই মিলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। টোটো করে মাত্র দুটো তিনটে ঠাকুর দেখার পরে টোটো ওয়ালা বেশ ভালো মতো টাকা পয়সা নিল। কিন্তু এদিকে আমাদের ওই টাকাতে মাত্র তিনটে ঠাকুর দেখে কিছুতেই মন ভরলো না।তাই খুব রাগারাগি করছিলাম।

20241010_213521.jpg

সন্ধ্যেবেলা থেকে বাবার সাথে জেদ ধরেছিলাম, কিন্তু বাবা কাজের ব্যস্ততাতে নিয়ে যেতে চাইছিল না। তার ওপর বাবার এত ভিড়ভাট্টা পছন্দ না ।তাই কোন মতেই ঠাকুর দেখতে নিয়ে যেতে চায় না সন্ধ্যেবেলায়। যাইহোক বৌদি আর দাদা তো শেষ দিকে অর্থাৎ যে মন্ডপে আমার টোটো করে ঠাকুর দেখা শেষ করেছিলাম।। সেখান এ থেকে গেল।সেই জায়গার নাম হল তরুণ সংঘ। ওখানে তখন রীতিমত প্রচন্ড ভিড়। আর সাথেই ওখানে স্টেজে গান-বাজনা হচ্ছে।

20241010_213703.jpg

তরুণ সংঘের পুজোটা একদম মেইন রোডের ধারে হয়।। তাই মেইন রোড পুরো জ্যাম হয়ে থাকে। তার মধ্যে জোরে জোরে গান-বাজনা ওই পরিবেশটা একদম উদ্ভ্রান্তের মতন করে তোলে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভীষণ বিরক্ত লাগছিল। রাস্তার দু'পাশ জুড়ে প্রচুর খাবার স্টল এবং বাচ্চাদের খেলনা স্টল ছিল। মৌসুমী বৌদি, দাদা আর আমরা সবাই খাবার জায়গা খুঁজছিলাম। কিন্তু মন মত কোথাও কিছু পাচ্ছিলাম না। মা ,ভাই আর মৌসুমী বৌদি মিলে অল্প করে ফুচকা খেয়ে নিল। ফুচকা খেতে আমার যেহেতু অতটা ভালো লাগে না, তাই আমি ফুচকার দিকে তাকালাম না।।

20241011_212236.jpg

আর ওই ক্লাব থেকে আমরা অর্থাৎ আমি, মা,ভাই টোটো নিয়ে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। বাড়িতে এসে দেখি বাবা আর আমার পাশের বাড়ির কাকা মিলে গল্প করছে। এদিকে আমার তো মুখ হাড়ি হয়ে আছে। কারণ সামান্য কয়েকটা ঠাকুর দেখা হয়েছে। মন একবারে ভরেনি। ওই মুহূর্তে চেঁচামেচি করতে করতে কাকা রাজি হয়ে গেল বেরোনোর জন্য। কাকা বলল আমার বাবাকে যে, আমার বাবা বাইকে মাকে নিয়ে আর আমি আর ভাই কাকার বাইকে উঠি। আর মোটামুটি এক ঘণ্টার মধ্যে কৃষ্ণনগরের বেশ অনেকগুলো ঠাকুরই দেখে ফেলতে পারব এইভাবে।

20241011_212444.jpg

প্রথমত মা তো কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না ।কারণ রাত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি আর ঈশান প্রচন্ড পরিমানে জেদ করছিলাম। বাবাও এসব ঠাকুর দেখা বেশি পছন্দ করে না বলে রাজি হতে চাইছিল না।। কিন্তু কাকা আর আমার আর ভাইয়ের টানাটানিতে ওরাও রাজি হয়ে গেল।। যে কাজটা প্রথমেই সন্ধ্যাবেলা করলে ভালো হতো। সেটা হলো রাত দুপুরে।সন্ধ্যেবেলায় যদি এভাবে বাইকে করে ঠাকুর দেখা যেত। তাহলে আর টোটো ভাড়া করতে হতো না। টোটো নিয়ে মাত্র অল্পই দেখা যায়।

20241011_212247.jpg

এরপরে কত কত ঠাকুর দেখলাম ,সেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। আজ এখানেই শেষ করছি।

Sort:  
Loading...
Loading...

Jai Maa dugra... may maa shower her blessings to everyone..

 22 days ago 

যাইহোক অনেকদিন পর আবার দুর্গাপুজোর পোস্ট করে ভালো লাগলো। সেদিন সত্যিই ঠাকুর দেখে একদমই আনন্দ পাওয়া যায়নি। তুমি তো আমাকে না নিয়ে আবারো বেরিয়ে পড়েছিলে ঠাকুর দেখতে। সেদিন আমারও খুব মন খারাপ করছিল কারণ মাত্র তিনটে ঠাকুর দেখে কারোরই ভালো লাগেনা। তুমি সেদিন রাত্রেই বেরিয়ে পড়েছিলে ঠাকুর দেখার জন্য। আর আমি পরের দিন রাত্রে সারারাত ঘুরে ঘুরে মোটামুটি সারা কৃষ্ণনগরের ঠাকুর দেখে ফেলেছিলাম।