যুবকদের দ্বারায় আগামী উন্নত ভবিষ্যৎ স্থাপন করা সম্ভব
হ্যালো বন্ধুগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন, আমিও আপনাদের দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
Photo edit by canva |
---|
মানুষ যখন পরিশ্রম করে তখন ক্লান্ত হয়ে যায় এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, কিন্তু কিছু কিছু সময় মানুষ ক্লান্ত শরীর নিয়েও বিশ্রাম করতে চায় না বরং বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়ে যায়, বিশেষ করে মানুষ যখন নিজের অস্তিত্ব এবং নিজের দেশকে সুন্দর করার চেষ্টা করে তখন তাদের মধ্যে থেকে সেই ক্রান্তি দূর হয়ে যায়।
ছাত্রদের আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে উচিত ছিল বিশ্রাম করা, কিন্তু তারা নিজেদের ক্লান্তি ভুলে গিয়ে নিজেদের দেশকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়ে গেছে, প্রত্যেকে নিজ উদ্যোগে দেশকে সুন্দর করার জন্য এবং দেশকে গোছানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে।
এই যুবকদের মাধ্যমেই আগামীর ভবিষ্যৎ সুন্দর করা সম্ভব, যে দেশের যুবসমাজ যত সুন্দর সেই দেশটা তত সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়, যুবকদের শক্তির উপরে ভিত্তি করে দল শক্তিশালী হয়, এজন্য যুবকদের একটা গুরুত্ব আছে, সব স্থান থেকে যুবকদের খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়, এজন্য সকল সংগঠন নিজেদের যুবকদের শক্তিশালী করতে চায়।
এই যুবকরা যখন ভাল কাজের উদ্যোগ নেয় তখন দেশ পরিবর্তন হয়ে যায়, যেমন আমাদের বাংলাদেশে কয়েকদিন আন্দোলনের পরে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখান থেকে দেশকে বের করার জন্য দেশের ছাত্র সমাজ এবং যুবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে, সবাই নিজে নিজে স্থান থেকে দেশ সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছে।
আন্দোলন বন্ধ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিভিন্ন ট্রাফিক সার্জেন্টরা কাজে আসে নাই, এজন্য দেশের রাস্তাঘাট এবং বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, মুহূর্তের মধ্যেই ছাত্ররা এবং যুবকরা সেই পরিস্থিতিকে সামাল দেয়, সবাই নিজ উদ্যোগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাজে নিয়োজিত হয়ে যায়, এবং রাত জেগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পাহারা দিতে থাকে।
দেশের ছাত্র এবং যুব সমাজ মাঠে নামার সাথে সাথে দেশটা যেন সুন্দর হয়ে গেছে, সবাই ট্রাফিক সিগনাল মান্য করতেছে, রাস্তায় এম্বুলেন্স চলার জন্য ইমার্জেন্সি লেন রাখা হচ্ছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পাশাপাশি ছাত্র এবং যুবকরা দেশকে পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত হ্য়েছে, তারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং দেশের সকল রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা শুরু করেছে।
আমাদের এলাকা থেকে আমরাও নিজ উদ্যোগে কিছু ছাত্র এবং যুবকদের নিয়ে সেই কাজে অংশীদার হই, গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে পরিকল্পনা করি যে, আমরা নিজেরা আমাদের এলাকাকে পরিষ্কার করব, এবং ট্রাফিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করবো, সেই পরিকল্পনা থেকে আজকে সারাদিন আমাদের বাসস্ট্যান্ড বাজার এবং তার আশপাশে এলাকার রাস্তা এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সামনে পরিষ্কার করি।
যখন পরিকল্পনা নেই তখন আশা করেছিলাম হয়তো খুব কম মানুষ এতে অংশগ্রহণ করবে, কিন্তু আজকে সকালে প্রায় ২০ জন মানুষ আমরা এই কাজে আঞ্জাম দেই, কয়েকজনকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগিয়ে দেই, এবং অবশিষ্ট সবাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত হই, বাংলাদেশের সব জায়গায় এখন ছাত্র এবং যুব সমাজ এই কাজ করছে।
আমরা যখন এই কাজের জন্য রাস্তায় বাড়াই তখন সব শ্রেণীর মানুষ আমাদেরকে সহযোগিতা করে, আমরা এই কাজের পাশাপাশি মানুষকে এই কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করি, তাদেরকে এ কথা বুঝাই যে, দেশটা আমাদের আমাদেরকে দেশের সংস্কার করতে হবে, দেশটা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের, এবং সকল ট্রাফিক সিগনাল মানা আমাদের নিজেদেরই দায়িত্ব।
সকল মানুষ আমাদেরকে সমর্থন দেয় এবং আমাদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিতে থাকে, অনেকেই আমাদের জন্য ঠান্ডা পানি এর ব্যবস্থা করেছে, অনেকে বিস্কুট এর ব্যবস্থা করেছে, অনেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছে, আমাদের এই কাজের সকল মানুষ অনেক খুশি হয়েছে, এবং সকলেই একথায় সম্মত হয়েছে যে নিজেদের সামনের দিকগুলো পরিষ্কার রাখবে এবং সবাই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলবে।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট পড়ার জন্য। |
---|
যুবই কি সবসময় সঠিক টাই বুঝে ভাই কিছুটা হুজুকে বাঙালী ৷ তবে এটা সঠিক যে যুবকের দ্বারা ভবিষ্যৎ উন্নতি সম্ভব ৷ তবে এই সম্ভব টা যেন সঠিক পথের হয় ৷ ধন্যবাদ 😍
কারো দ্বারাই সব কিছু সম্ভব না, আমাদের সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে, যুবকরা যেটা করছে সেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার, ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
প্রশংসা যখনই করা হয় যখন তারা সঠিক পথে সঠিক কাজ করে থাকে ৷ একদিকে সঠিক থাকলে সেটা প্রশংসা হয় না যখন চারপাশ দিয়ে সঠিক পথে হাঁটবে তখন সেটা প্রশংসার দাবিদার বলা যেতে পারে ৷ ধন্যবাদ 😍
শিক্ষার্থীরা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে অভিনন্দন। আর এই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাদের জীবন দিতে হয়েছে।
অথচ এই জীবন যারা নিয়েছি অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্র ও আক্রমণের মাধ্যমে তারা এখন বিভিন্ন দফা দাবি আদায়ের জন্য স্থান ত্যাগ করেছে আমি কাজের কথা বলতেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন অর্থাৎ পুলিশ 👮।
যখন তারা অন্যায় ভাবে অবিচার এর মাধ্যমে ন্যায় সংগত আন্দোলনকারীদের জীবন নিয়ে ছিল, তখন কি তাদের মনে পড়ে নাই যে, আমি যে কাজটি করতেছি অর্থাৎ আমাকে দিয়ে করানো হচ্ছে, এই কাজটি কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাজ নয়! তখন কেন সেই পুলিশ 👮 বাধা দেয়নি বা কাছ থেকে বিরত থাকেনি বরং অবিরত গুলি বর্ষন করতেই আছে করতেই আছে।
আর যখন ছাত্রদের এই আন্দোলন সফল হয়েছে তখন তারা বুঝতে পড়ে গেছে তাদেরকে ছাত্র সমাজ ছেড়ে কথা বলবে না ছেড়ে দেবে না, প্রত্যেকটি হত্যার বিচার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আদায় করবে তখন তারা ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে দিয়েছে। ছাত্ররাইহা বোঝে, এখন তারা ট্রাফিক সহ বিভিন্ন দায়িত্ব এড়িয়ে তাদের দফা নিয়ে হাজির হয়েছে।
আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই এবং আপনাদের এই কাজ দেখে সত্যিই আমার আনন্দ লাগতেছে ভালো লাগতেছে দেশ গড়ার লক্ষ্যে এভাবে তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে দেশকে অগ্রসর করতে হবে। ধন্যবাদ জানাই উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। বাংলাদেশ চিরঞ্জীবী হোক। সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ সর্বদাই প্রস্তুত 💪🤝💪
আপনি ঠিক বলেছেন, অবশ্যই তারাই কাজগুলো ঠিক করে নাই, কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে তারা শুধু তাদের দায়িত্ব পালন করেছে এবং হুকুম পালন করেছে, কিছু আছে যারা অতিরিক্ত করেছে সেটা কখনোই কাম্য ছিল না, ভুল মানুষেই হয়, অতিরিক্ত করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে বাকিদের কাজে ফেরানো প্রয়োজন, কারণ দেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন আছে, ধন্যবাদ আপনি সুন্দর মন্তব্যের জন্য।