বরফে ঢাকা পাহাড় আমাদের ধৈর্যের শিক্ষা দেয়।
প্রিয় বন্ধুরা,
আরো একবার আমার সপ্তাহের প্রিয় দিনটি হাজির, আজ শনিবার এবং সারা সপ্তাহের মধ্যে এই দিনটি আমার সবচাইতে প্রিয়। আমার বিশ্বাস আমার মত আরো অনেকের যাদের রবিবার ছুটি থাকে।
আজ আমি লাদাখের কিছু ছবি নিয়ে হাজির হলেও তার পিছনে কিছু বিশেষ বার্তা আছে যেটা হয়তো আমার লেখার শীর্ষক দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন।
সেই বিষয়ে কথা বলার আগে বলি আজ আমি সেই
ছোটবেলার স্কুল ফাঁকি দিয়ে পালাবার মত অফিস থেকে পালিয়েছি। এই ষাঠ বছর বয়সে চাকরি চালিয়ে যাচ্ছি এটাই কি কম কথা! তার উপরে আজ আবার শনিবার।
এখন ঘড়িতে প্রায় পৌনে ছটা বাজতে যায়, বিকেলের চা খাওয়া সাড়া, এরপর বেরোব আড্ডা দিতে এবং সেখান থেকে সুনিতার কাছ থেকে ভাড়া নিতে।
তাই তার আগে নিজের লেখাটা শেষ করে যেতে চাই, জানিনা ফিরতে কত সময় লাগবে।
আজকের লেখা লিখতে গিয়ে অন্যান্য দিনের চাইতে একটু বেশি উৎসাহ পাচ্ছি কারন বেশ অনেক মাস বাদে আমার লেখা মর্যাদা পেয়েছে।
অনুপ্রেরণা সব কাজেই প্রয়োজন, ঠিক তেমনি সফলতা পেতে গেলে ধৈর্য্য ধরাতাও ততটাই প্রয়োজন।
আমি জানিনা ভবিষ্যতে আমার লেখা সমাদৃত হবে কিনা, বা অতীতে আমি সমর্থন পাই নি বলে কখনো লেখা এড়িয়ে যাই নি।
কারণ আগেই বলেছি, আমার প্রধান শিক্ষক হলো প্রকৃতি এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরতে গিয়ে জীবনের অনেক শিক্ষা আমায় পেয়েছি এই প্রকৃতির কাছ থেকে।
যেমন ধরুন আপনাকে যদি একমুঠো বরফ হতে ধরিয়ে দেওয়া হয়, আপনি কতক্ষন সেটা ধরে দাড়িয়ে থাকতে পারবেন?
খুব বেশি হলে কিছু মুহূর্ত তারপর আপনি সেটা ফেলে দিতে বাধ্য হবেন, কিন্তু আজকের ছবিগুলোকে পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারবেন এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে পাহাড় কিন্তু সারাবছর বরফ তারমধ্যে ধরে রাখে।
একজন পর্যটক হিসেবে ছবি তুলে আমরা হয়তো ফিরে আসি, কিন্তু যদি আপনি অন্তর দৃষ্টি দিয়ে দেখেন বুঝবেন, মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে জীবনে এমন অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয় যেখানে ধৈর্য্য ধারণ করে রাখাটাই আসল পরীক্ষা।
ঠিক যেমনি এত বরফে আবৃত থাকা সত্বেও পাহাড় কিন্তু সবসময় মাঠ উঁচু করেই দাড়িয়ে থাকে অবিচল ভাবে।
জীবনের পথের শেষ টুকু পৌঁছতে হলে সমস্ত বাধাকে ধৈর্যসহকারে পার করতে হবে। অনেকেই এই পথ চলতে গিয়ে অসৎ পথ অবলম্বন করেন, কিন্তু সেটা কেবল ক্ষণিকের সফলতা বয়ে আনলেও, কখনোই সেটা দীর্ঘমেয়াদি হয় না।
সবকিছু তাড়াতাড়ি শেষ করবার তাড়া, হাতের মুঠোয় এখন জগৎ হয়ে গেছে, আধুনিক টেকনোলজির কারণে; কিন্তু তাই বলে নিজের কর্মদক্ষতা অগ্রাহ্য করে অসৎ পথ বেছে নিলে সেই সফলতা কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
কালকের কমিউনিটি করা এইরকম একটি বিষয় নিয়ে লেখা পড়ে সত্যি ভালো লাগলো কারণ লেখাটিতে খুব সুন্দর বাস্তব কিছু উদাহরণ লেখা আমার বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
দেখুন অধৈর্য্য হয়ে হেরে যাওয়াটা কিন্তু সহজ কাজ, কাজেই সহজ কাজ বা পথ না বেছে জীবনের লড়াইটা চালিয়ে যান এবং শেষ লক্ষ্যে পৌঁছে জেতার আনন্দ উপভোগ করুন।
আজ এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন।
*I can learn a lot about life from your writing sir. Thank you very much for sharing such a beautiful article.
We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also like to inspire you to participate in the engagement by visiting others post and make insightful comments .
Regards
@sampabiswas(Moderator)
Incredible India
আপনার লেখা শুধু আমাকেই নয় এখানের অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, কাজেই আশা করবো ভবিষ্যতেও আপনি আপনার অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা আমাদের সাথে ভাগ করে নেবেন আপনার অমূল্য ছবি গুলোর পাশাপাশি।