সম্পর্ক স্থায়ী এবং সুদীর্ঘ হয় উভয়ের সম প্রচেষ্টায়।
প্রিয় বন্ধুরা,
লেখার শুরুতেই আন্তরিকভাবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী মাঝের দিনগুলোতে না লিখতে পারার কারণে।
জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে, যেটা দ্বারা উপলব্ধি করা যায় সেই সম্পর্কে আপনার গুরুত্ব কতখানি।
আমি অনেক সময় দেখেছি, বিনা প্রতিবাদে সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়।
বিষয়টি একটু বিস্তারিত ভাবে বলি, একটি সম্পর্কে যখন একজন বিনা প্রতিবাদে অপরজনের সমস্ত অন্যায় মুখবুজে মেনে চলে তখন সেই সম্পর্ক টিকে থাকে।
একজন অপরজনের সমস্ত বিচারব্যবস্থা নতশিরে মেনে নিলেই সংসার, সম্পর্ক সুখের হয়।
একজন পুরুষ দেরি করে বাড়ি ফিরলে, বন্ধুদের সাথে ছুটির সময় অতিবাহিত করলে বা ছুটির দিনে তাদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানে মেয়েদের প্রতিবাদ কর চলবে না।
কিন্তু সেই মেয়েটি যদি একই কাজ করে তাহলে বহু প্রশ্নের সন্মুখীন তাকে আজও হতে হয়।
প্রত্যাশা সেখানেই থাকে, যেখানে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং অধিকার থাকে।
সবসময় একটি সম্পর্কে এক তরফা একজন সব মেনে নেবে এটা সত্যি কি সমীচীন। আমরা আজও হিসেব করে সম্পর্ক চালাই।
মানে কোন সম্পর্ককে কতটুকু মর্যাদা দেওয়া যাবে আর কোন সম্পর্ককে সেই তালিকাভুক্ত করা হবে না, সেটাও কিন্তু আজও পুরুষ নির্ধারিত করে।
আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমি কিছু কথা লিখতে বসেছি। তাই প্রথমেই আমি ক্ষমাপ্রার্থী যদি আমার লেখা কাউকে আহত করে থাকে।
আজকাল পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক প্রায়শঃই চোখে পড়ে। আমি এই বিতর্কে যাবো না এটা সঠিক না ভুল, কারণ ভারতীয় আইন এই সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আমার বক্তব্য অন্যত্র, যদি কোনো সম্পর্ক কেউ জড়িয়ে পড়েছেন, সেক্ষেত্রে সেই সম্পর্ককেও সমান মর্যাদা দেবার চেষ্টা করা উচিত।
কারণ কেবলমাত্র স্বাদ বদলানো কোনো সম্পর্কের পরিভাষা হতে পারে না, সাময়িক মোহের বসে আপনি একজন মানুষের অনুভূতি, বিশ্বাস বা ভরসা নিয়ে খেলা করতে পারেন না।
এমনটা হতেই পারে একজন নিজের অনেক খানি অভাবের তাড়নায় অপরজনকে আকড়ে ধরেছে, সবসময় যে সবাই মহের বশবর্তী হয়ে এই ধরনের সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট হয় এমনটা কিন্তু নয়।
এই কথাগুলো আমি অনেক উদাহরণ চাক্ষুষ করার পরেই লিখতে বসেছি।
একটি পুরুষ যদি স্ত্রী থাকাকালীন কোনো মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হন, তাহলে বুঝে নিতে হবে হয় তিনি নিজ সংসারে সন্তুষ্ট নন; অথবা তিনি সেই মহিলার শূন্যতাকে ভরানোর প্রচেষ্টায় সামিল হতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
উপরিউক্ত বিষয়গুলোর গ্রহণযোগ্যতা আছে, তবে যদি কেউ সাময়িক সময়ের জন্য স্বাদ বদলাতে কেবলমাত্র এই ধরনের সম্পর্কে জড়াতে চান তাহলে সেটা নিছক চারিত্রিক স্খলনতা।
একই বিষয় মহিলাদের ক্ষেত্রেও হতে পারে, কিন্তু আমার লেখার বিষয়বস্তু হলো সন্মান, এবং মর্যাদা।
যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুটো বিষয় উভয় মানুষের প্রাপ্য। কেউ হয়তো বলবেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো উচিত নয়, আমি শুরুতেই বলেছি সেই বিতর্কে আমি যাবো না।
জীবন নিজের কাজেই সিদ্ধান্ত নিজের নিজের, তবে যদি কখনো পরিস্থিতি সেরকম হয় তাহলে সেই মানুষটিকে এবং সম্পর্ককেও যোগ্য মর্যাদা দেওয়া উচিত।
এমন অনেক মানুষ আছে যারা জীবনে সমস্ত সম্পর্কে হারিয়ে একটু ভালবাসার ঠাই পেতে সামনে আসা খড় কুটো আকড়ে ধরে।
সেক্ষেত্রে তার অসহায়তা কে নিয়ে তাকে প্রবঞ্চনা করা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।
আরো অনেক কিছুই বলার ছিল, কিন্তু কিছু কথা এই ধরনের প্ল্যাটফর্মে লেখা সঠিক নয় বা লিখলেও কতজন বুঝবেন সেটা নিয়ে আমি সন্ধিহান।
তাই আজকে এখানেই লেখা শেষ করে বিদায় নিলাম, ভালো থাকবেন সবাই।
ঠিক এরকমটাই অনেক মেয়েরা সহ্য করতে পারে না। এর প্রতিবাদ তাদের না করলে পেটে খাবার হজম হয়না। কিন্তু এমনটি করা একদমই ঠিক নয় প্রতিটা মেয়ের। দুজন দু'জনের প্রতি আনুগত্য ও অনুগ্রহ থাকা চাই।
একটা কথা আছে না? এক হাতে তালি বাজে না। দুজনের একজন যদি চায় সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার, আরেকজন যদি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা না করে, তাহলে কিন্তু টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন। আপনি খুব সুন্দর কথা বলেছেন, আপনার পোস্টে। অনেক ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন।
সত্যিই ভাই আপনার লেখা লাইনগুলের একটাকেও আমরা অস্বীকার করতে পারবো না।প্রতিটি লাইনই বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী।
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ খুব সহজেই জড়িয়ে যাচ্ছে খারাপ সম্পর্কে।