"চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়ার সামনে পৌঁছানোর গল্প"
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে।
গতকাল আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার বান্ধবী এবং তার পরিবারের সাথে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত পৌঁছানোর গল্প। আজকের পোস্টে শেয়ার করবো, সেখানে কাটানো কিছু মুহূর্তের পাশাপাশি চিড়িয়াখানা থেকে বেরিয়ে প্রথমবার সামনাসামনি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দর্শনের অভিজ্ঞতা।
খুব সত্যি কথা বলতে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না আমার। তবে হ্যাঁ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখার ইচ্ছে ছিলো বহুদিনের। যেহেতু চিড়িয়াখানায় এর আগেও গিয়েছি এবং সম্পূর্ণ জায়গাটা পায়ে হেঁটে হেঁটে দেখতে আমার বেশ কষ্টই হয়। ফলতো দেখা জিনিস আরও একবার পায়ে হেঁটে দেখার বিশেষ ইচ্ছে ছিল না।
কিন্তু রিমির বাচ্চারা শুধুমাত্র চিড়িয়াখানায় যাওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী ছিলো, যেটা খুব স্বাভাবিক। কারণ বাচ্চারাই চিড়িয়াখানায় গিয়ে সব থেকে বেশি আনন্দ পায়। যখন সামনাসামনি এতো রকমের পশুপাখি দেখে, তখন তাদের আনন্দের সত্যিই সীমা থাকে না।
![]()
|
|---|
রিমির ছেলে মেয়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হলো না। তবে একটা জিনিস দেখে ভালো লাগলো পার্কের একেবারে শুরুতেই একটা নতুন রেস্টুরেন্ট ওপেন হয়েছে। যেটা এর আগে ছিলো না, বা থাকলেও হয়তো আগেরবার খেয়াল করা হয়নি। তবে এবার যেহেতু সেখানে ঢুকেই রিমির হাজব্যান্ড তার ছেলে মেয়েকে কিছু খাইয়ে নিতে চাইছিলো, তাই মূলত রেস্টুরেন্টের খোঁজ করা।
![]()
|
|---|
যাইহোক আমি আর রিমি ওয়েট করলাম। আর বাচ্চারা বাবার সাথে গিয়ে সেখানে থেকে খাবার খেলো এবং জলের বোতল কিনে নিয়ে এলো। ততক্ষণে আমরা বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাঘের মর্নিং ওয়ার্ক দেখছিলাম। কিছুক্ষণ বাদে বাচ্চারা এসে বাঘ দেখে চিৎকার করে উঠলো। বিশেষ করে রিমির ছেলের সে কি আনন্দ। রীতিমতো বাঘকে ডাকছিলো, এমন একটা বিশ্বাস নিয়ে যেন বাঘটা ওর কথা শুনতে পারছে এবং ওর কথায় সারাও দিচ্ছে।
![]()
|
|---|
যাইহোক অনেকক্ষণ ধরে বাচ্চারা বাঘ দেখলো, তারপর সেখান থেকে জিরাফ দেখার জন্য বায়না ধরলো। তবে জিরাফ দেখতে যাওয়ার পথেই সেখানে প্রচুর হাঁস দেখতে পেলাম। বেশ বেশ বড়ো হাঁসগুলো আমি নিজেও এর আগে দেখিনি। কিছু কিছু হাঁসের লেজের অংশে গোলাপি রং ও ছিলো।
![]()
|
|---|
যাইহোক সেখান থেকে আমরা খুঁজে খুঁজে জিরাফের জায়গায় পৌঁছালাম এবং জিরাফ দেখে বাচ্চারা ভীষণ খুশি হলো। প্রথমে একটাই জিরাফ দেখা হলো, পরে পিছনের দিকে গিয়ে আরো অনেকগুলো জিরাফ একসঙ্গে দেখে, বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে দিল জিরাফের সাথে কথা বলতে বলতে।
![]()
|
|---|
যাইহোক এরপর আরও অনেক কিছুই দেখেছে ওরা। কারণ আমি এবং রিমি ততক্ষণে গাছের তলায় বসার জায়গায় বসেছিলাম। আসলে ওর শরীরটা একটু খারাপ লাগছিলো। তাই ও একটু বিশ্রাম নিতে চাইছিলো। প্রচন্ড ভিড় ছিল এদিন চিড়িয়াখানাতে। কারণ এই শীতকালেই মূলত এই সকল জায়গায় মানুষের আনাগোনা সবথেকে বেশি হয়।
এছাড়া বহু মানুষ বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে এনে, সেখানে বেডশীট, মাদুর সমস্ত কিছু পেতে রীতিমত পিকনিকের আয়োজন করে নিয়েছিলেন। যাইহোক এই সমস্ত কিছু দেখা শেষ করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সত্যি বলতে থেকে বেরিয়ে যখন আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস ধরলাম, আমার ভিতরে তখন থেকেই এক অন্য ধরনের এক্সাইটমেন্ট শুরু হলো।
![]()
|
|---|
চিড়িয়াখানা থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর দূরত্ব খুব বেশি নয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। এরপর রাস্তা ক্রস করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশের লেন দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম মেন গেটের উদ্দেশ্যে। ততক্ষণে আমাদের বেশ খিদে পেয়েছিলো।
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম একজন ফল বিক্রেতা বিভিন্ন ধরনের ফল দিয়ে সাজিয়ে প্লেট আকারে বিক্রি করছেন। যদিও সেখানকার সব ফল আমার প্রিয় নয়, তবে রিমির হাজব্যন্ডের ফল ভীষণ প্রিয়, তাই বলার অপেক্ষা রাখেনা তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং সকলে সেখান থেকে ফল খেলাম।
![]()
|
|---|
ঠিক তার পাশে রাস্তা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেকগুলো ঘোড়ার গাড়ি। যেগুলো খুবই সুন্দরভাবে সাজানো। অনেকেই আছেন যারা এখানে ঘুরতে এসে ঘোড়ার গাড়ি চড়েন। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজেদের প্রি ওয়েডিং শুটিং এখানে এসে করেন। যাইহোক ফলন বিক্রেতা কাকুর কাছ থেকেই জানতে পারলাম, এক থেকে দুই কিলোমিটার ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই চালকেরা মোটামুটি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
![]()
|
|---|
যাইহোক ফল খাওয়া শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছালাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সামনে। প্রথম দেখাতেই সব বাঙালির মতন আমার মনটাও অদ্ভুত আবেগে ভরে উঠলো। এমন সৌন্দর্য্য, এমন স্থাপত্য কলকাতায় মধ্যেই রয়েছে, এটা ভেবেই ভালো লাগছিলো।
যদি এতো বছরে সামনাসামনি গিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি, তবুও বিষয়টা ভাবতেই ভালো লাগে। প্রচুর মানুষের ভিড় ছিলো সেখানেও। আমরাও প্রথমে টিকিট কাটার লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লাম।
পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ভিতরের সমস্ত কিছু ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতার কথা। আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।











