আমার হাতের তৈরি ফুলকপি, বড়ি দিয়ে ট্যাংড়া মাছের ঝোল।
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।গত দুদিনের থেকে আজ খুব বেশি ঠান্ডা পড়েছে।ছুটি বলে আজও একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম।
ঘুম থেকে ওঠার পড়ে মামণি বললো রিয়া চলো আজ আমি তোমার সাথে বাজার যাবো।আমি বললাম তাহলে তো খুব ভালো কথা।
আমি তাড়াতাড়ি মুখ ধুয়ে টিফিন তৈরি করে,সবাই মিলে টিফিন খেয়ে নিলাম।তারপরে জামাকাপড় পড়ে তৈরি হয়ে আমরা তিনজনে(আমি,মামণি,ননদ)মিলে হেটে বাজার গেলাম।
মামণি বললো সব সময় তো রুই,কাতলা খাই আজ একটু অন্য কোনো মাছ খাবো।তো বাজারে দেখি এক জন জ্যান্ত ট্যাংড়া মাছ নিয়ে বসেছে।মামণি বললো চলো আজ ট্যাংড়া মাছ নি।আমরা ট্যাংড়া মাছ কিনলাম।
তাই আজ ট্যাংড়া মাছ কিনে আসার সময় ফুলকপি দেখলাম অনেক কম দাম তাই দুটো ফুলকপি নিয়ে আসলাম।
আজ আমি ফুলকপি,বড়ি দিয়ে ট্যাংড়া মাছ কীভাবে রান্না করলাম তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
ট্যাংড়া মাছ রান্না করার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় উপকরণ লাগে:-
১)ট্যাংড়া মাছ-৪০০ গ্ৰাম।
২)আলু-৫ টা বড়ো সাইজের।( লম্বা লম্বা করে কাটা)
৩)টমেটো-১ টা।বড়ো সাইজের
৪)আদা বাটা-২ চা চামচ।
৫)কাঁচা লঙ্কা-৩ টে।
৬)বড়ি-৯-১০।
৭)জিরের গুঁড়ো-২ চা চামচ।
৮)ধনের গুঁড়ো-২ চা চামচ।
৯)লঙ্কার গুঁড়ো-১ চা চামচ।
১০)তেজপাতা-২ টো।
১১)গোটা জিরে-সামান্য পরিমাণ।
১২)চিনি-স্বাদ মতো।
১৩)নুন-স্বাদ মতো।
১৪)হলুদ-পরিমাণ মতো।
১৫)সরষের তেল-৪ চামচ।
ট্যাংড়া মাছের রন্ধন পদ্ধতি:-
১)মাছগুলো ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে একটা পাএে রাখলাম।
২)মাছগুলোতে নুন,হলুদ,সরষের তেল মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম(কারণ ট্যাংড়া মাছ ভাজার সময় খুব ফাটে,তাই তেল মাখিয়ে রাখলে ট্যাংড়া মাছ ফাটে না)।
৩)ততক্ষণে আমি এইদিকে ফুলকপি, আলু,আদা,টমেটো, কাঁচা লঙ্কা কেটে ধুয়ে নিলাম।
৪)তারপরে আদা,টমেটো, কাঁচা লঙ্কার একটা পেস্ট বানিয়ে নিলাম।
৫)গ্যাস জ্বালিয়ে কড়াই বসালাম।
৬)কড়াই গরম হতে সরষের তেল দিয়ে দিলাম।
৭)তেলটা ভালো ভাবে গরম হলে মাছগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে ভেজে একটা পাএে রাখলাম।
৮)তারপরে বড়ি গুলো ওই তেলের মধ্যে দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিয়ে একটা পাএে তুলে রাখলাম।
৯)ওই অবশিষ্ট তেলের মধ্যে আরেকটু তেল দিয়ে দিলাম।
১০)তেলের মধ্যে তেজপাতা,গোটা জিরে দিয়ে দিলাম।
১১)কিছুক্ষণ পড়ে আলু,ফুলকপি গুলোর মধ্যে নুন,হলুদ দিয়ে ভেজে নিয়ে একটা পাএে তুলে রাখলাম।
১২)কড়াইতে আবার এক চামচের মতো তেল দিলাম।
১৩)তেল গরম হলে তেলের মধ্যে পেস্ট করা মশলাটা,নুন,হলুদ,জিরের গুঁড়ো, ধনের গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।
১৪)মশলাটা একটু কষানোর পরে ভেজে রাখা আলু,বড়ি,ফুলকপি গুলো দিয়ে ভালো করে মিশ্রিয়ে নিলাম।
১৫)তারপরে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
১৬)মশলা কষানোর পরে তিন কাপ জল দিলাম।
১৭)একটা ঢাকণা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিলাম।
১৮)কিছুক্ষণ পরে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
১৯)ফুলকপি,আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিলাম।
শীতের দুপুরে গরম গরম ভাত দিয়ে ট্যাংড়া মাছের ঝোল খেতে দারুন লাগে।আমার রান্নাটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।আজ এখানেই শেষ করলাম।
শুভ রাএি।
@sanchita96 আপনার রান্না করা রেসিপি দারুণ হয়েছে। এবং ছবি গুলি ও খুব সুন্দর ভাবে তুলেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
দেখেই ইচ্ছে করছে বাড়ি পৌঁছে যাই, কেবল আমি হলে একটু ধনেপাতা দিতাম, এই শীতকালে বেশিরভাগ রান্নায় আমি ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকি।
হ্যাঁ দিদি ধনে পাতা দিলে আরো ভালো লাগতো জানি।কিন্তু ধনে পাতা ছিলো না গো সেই জন্য দিতে পারিনি।হ্যাঁ চলে আসুন আমাদের বাড়িতে।অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @steemdoctor1
অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবই ঠিকঠাক আছে আপনারা তিনজন মিলে বাজারে গিয়েছেন টেংরা মাছ কিনেছেন কম দামে ফুলকপি কিনেছেন কিন্তু আমি তো চিনতে পারলাম না বড়ি কি?
বড়িটা হলো ডাল বেটে শুকনো একটা কাপড় রোদে পেতে দিয়ে তার ওপর বেটে রাখা ডালটা গোল গোল করে দেওয়া হয় সেটা শুকিয়ে যায়।এবার সেটা আমরা বিভিন্ন রকমের তরকারি তে দিতে পারি।
আপনাকে ধন্যবাদ উত্তরটি দেওয়ার জন্য।
বাহ, চমৎকার কালার এবং ফটোগ্রাফি। ট্যাংরা মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। শীতের মৌসুমে বাহারি সবজি বাজারে পাওয়া যায় এবং বাড়িতে গৃহিণীরা রান্নাঘরে মজাদার রান্না তৈরি করেন। খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে? আপনাদের এরিয়াতে কি বড়ি পাওয়া যায়? আমাদের বাংলাদেশের রাজশাহী ইহা বেশ জনপ্রিয়। সম্পূর্ণ রেসিপি পোস্টটি আমাদের মাঝে স্টেপ অনুসারে উপস্থাপন করেছেন যা যে কেউ একবার দেখে বাড়িতে রান্না করতে পারবেন।
হ্যাঁ স্যার খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে।আমাদের এখানে বড়ি কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু এই বড়িটা আমার স্বামীর একটা ছাএীর মা তৈরি করে পাঠিয়েছে।আমার জানা ছিলো না রাজশাহী নাম আছে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মন্তব্যর জন্য।
আপনাকে স্বাগতম। হ্যাঁ, রাজশাহী নামে আমাদের জেলা রয়েছে বাংলাদেশে। বড়ি খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার ইহা সত্যি দারুন খেতে। বাড়ির মহিলারা এই মৌসুমে সকলের জন্য বাহারি খাবার তৈরী করেন যার প্রশংসা করতেই হয়। যাইহোক, আপনার হাতে তৈরি পরবর্তী রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।
মাছের ঝোলের রঙটাই মন কেড়ে নিলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, রান্নাটি কতটা সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপিটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ দিদি দারুন হয়েছিলো।অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
@sanchita96 আপনার রান্নাটা বেশ মজার হয়েছে দেখছি। নিশ্চয়ই খেতেও দারুণ হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি ভাগ করে নেবার জন্য। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।