"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড # ৮৪২ [ তারিখ : ১৫-১২-২০২৫ ]

Todys_Featured_Articles_2.png

Banner Credit @alsarzilsiam


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


রেসিপি পোস্ট ||| মজার চিকেন ফ্রাই by @saymaakter


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম- মোছাঃ সায়মা আক্তার। জাতীয়তা - বাংলাদেশী। তিনি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা। উন কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে তার খুব ভালো লাগে। তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখতে চান। বর্তমানে স্টিমিট জার্নির বয়স ২ বছর চলমান।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

Screenshot 2025-12-15 195500.png

Screenshot 2025-12-15 195542.png


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


ফটো.jpg

রেসিপি পোস্ট ||| মজার চিকেন ফ্রাই by @saymaakter (১৫/১২/২০২৫ )

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছিএকটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। সব সময় চেষ্টা থাকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সেরা কিছু উপহার দেওয়ার জন্য। তাই আজ আপনাদের মাঝে হাজির হলাম "চিকেন ফ্রাই" রেসিপি নিয়ে।চিকেন ছোট বড় সকলের পছন্দ। বিশেষ করে শীতের এই সময়টা এই ধরনের ভাজাপোড়া খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে।মুখে রুচি এনে দেয় এবং খেতেও অন্যরকম স্বাদ।চিকেন ফ্রাই আমার ছেলে অনেক পছন্দ তাই চেষ্টা করি চিকেনগুলো পিস পিস করে আলাদা আলাদা বক্সে রেখে ফ্রিজ আপ করার জন্য।যখন খেতে ইচ্ছে করে তখনই বাচ্চাদের করে দেই।আমার আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।এই খাবারগুলো বাসায় তৈরি করে বাচ্চাদের খাওয়ালে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাচ্চারা অনেক তৃপ্তি সহকারে খেতে পারে---


এটা সত্য যে, বর্তমান প্রজন্ম বাহিরের খাবারের প্রতি একটু বেশী আসক্ত, তারা বাহিরের খাবার ছাড়া অন্য কিছু কল্পনাই করতে পারে না। অবশ্য এর জন্য তারা না যতটা দায়ী তারচেয়ে বেশী দায়ী আমরা, মানে অভিভাবকরা। কারণ আমরা আমাদের সন্তানদের সেভাবে গড়ে তুলতে পারি নাই, বাহিরের খাবারের প্রতি তাদের যে আকর্ষণ সেটাকে ফিরিয়ে বাড়ির খাবারের দিকে আনতে পারি নাই। আমরা নিজেরাও অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাহিরের খাবারের প্রতি উৎসাহ দিয়েছি। যার কারণে তাদের আগ্রহটা পরিবর্তন হওয়ার পরিবর্তে বেড়ে গিয়েছে।

বাহিরের খাবার শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং তাদের স্বাভাবিক মানসিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। আজকাল স্বাস্থ্য বিষেজ্ঞরা প্রায়ই বলে থাকেন, শিশুদের বাহিরের খাবার না দেয়ার জন্য, বিশেষ করে ভাজাপোড়া কিংবা ফাস্টফুড জাতিয় খাবার। কিন্তু আমরা সেগুলোর প্রতি খুব একটা কর্ণপাত করি না। অথচ আমরা যদি একটু বেশী করতাম, বাড়িতেই নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরী করতে পারতাম, তাহলে অন্তত স্বাস্থ্য সম্মত কিছুর প্রতি তাদের দৃষ্টি ধরে রাখতে পারতাম।


ফটো.jpg

ফটো- @saymaakter আপুর পোষ্ট হতে নেয়া হয়েছে।


যাইহোক, আজকে ফিচারড পোষ্ট বাছাই করতে গিয়ে সায়মা আক্তার আপুর রেসিপি দেখলাম, বেশ সুন্দর ও স্বাদের একটা রেসিপি উনি উপস্থাপন করেছেন। বড়দের সাথে সাথে বাচ্চারা এই জাতীয় রেসিপি দারুণ পছন্দ করেন। আমার কাছে দারুণ লেগেছে এবং দেখেই মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো ফ্রাইগুলো। আশা করছি আপনাদের কাছেও রেসিপিটি দারুণ লাগবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner 4 years.png

Banner PUSS0.png

Sort:  
 15 days ago 

ফেসবুক খুললে বিভিন্ন রকমের এই ধরনের ফাস্টফুড গুলো দেখে মনের মধ্যে ভয় ধরে গেছে। ভেজাল খাবার, যেটা খাওয়ার উপযোগী নয় সেই ধরনের জিনিস দিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে যার কারনে একটু কষ্ট হলেও চেষ্টা করি বাচ্চাদেরকে বাসায় তৈরি করে দেওয়ার জন্য। আর এই কষ্টটি যখন সার্থক হয় তখন আনন্দের আর সীমা থাকে না। রেসিপি তৈরি করে বাচ্চাদের মনে যেমন আনন্দ দিতে পেরেছি এবং ফিচার্ড আর্টিকেলে যখন পোস্টটি সিলেক্ট হয়েছে তখন দেখে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য।