এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪৪৪ || ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

Fun Cover-2.png

আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।

আজকের প্রশ্নঃ

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

প্রশ্নকারীঃ

@shuvo35

প্রশ্নকারীর অভিমতঃ

আমি জানি না, আপনাদের কাছ থেকে জানতে চাই।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
  • অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
  • উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
  • এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner_3_years.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

8Prrv7p5W83L7oFHxvWZQ5rzoJj7rUGVWQREWBaRkivXoXuxpyVgyWD4umDqVsAAVk5KAoa88GdG3FYbewvzyUiCsbptcQSdE41ogG2Tb1...Cj2Mnk7Y3hrk3PsQUEUpm2FCBc4DVTbWMwmxRKiGDt6LJGp4gL3MTQe7Lcj1Pwf2HSKS3MoHu8pVJ7f7BSfttQdCxDne5kgxLAsHnzyngPTRTsM121ZHG9j47p.png

Sort:  
 2 months ago 

অন্যতম মহাকাব্য রামায়ণের কাহিনী অনুপাতে বিভীষণ ছিলেন রাবণের ভাই। রাবণ সীতাকে অপহরণ করে ভুল করেছিলেন যে ভুলটা বিভীষণ সমর্থন করেননি এবং রাম রাবণের যুদ্ধে রামের পক্ষ নিয়েছিলেন। সেটা লঙ্কাপুরিতে থেকেই। কিন্তু মানুষ সাধারণত আশা করে পরিবারের মানুষ পরিবারের পাশেই থাকবে সে অন্যায় করুক বা অন্যায় করুক। তাকে পূর্ণ সমর্থন করবে।

বর্তমানে এরকম অনেক পরিবারেই দেখা যায় যেখানে ন্যায়ের বিরুদ্ধেও পরিবারের আপন লোকজন বিরুদ্ধাচরণ করে। কিংবা ন্যায় অন্যায়ের বিচার না করেই করে থাকে। যা অনেকাংশে ঘরের বা আপন পরিবারের শত্রুতা হয়ে দাঁড়ায়।

যেহেতু বিভীষণ প্রথম পুঁথিগত ভাবে লিখিত উদাহরণ হিসেবে পারিবারিক বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন তাই এই প্রবাদটা প্রচলিত "ঘর শত্রু বিভীষণ"।

 2 months ago 

দারুন সত্য কথাটা তুলে ধরেছেন দিদি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

ঘরের কথা পরের জানার কথা না। আর অন্য কে বলাও ঠিক না। এমন যখন ঘটে তখনই টেনে নিয়ে আসা হয় এই উদাহরণ টা। ঘরের শএু বিভীষণ।।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

কথাটি দিয়ে ঘরের মধ্যে অবস্থানরত মীরজাফরকে বোঝানো হয়েছে। আসল কথা হচ্ছে ঘরের গোপন কথাগুলো পরিবারের সদস্যের মধ্যে যে বাইরে অপপ্রচার করে নিজেদের মধ্যাকর গোপন কথা বাইরে প্রকাশ্য করে তাকেই মূলত বোঝানো হয়েছে। তাকেই ঘরের শত্রু বিভীষণ বলা হয়।

 2 months ago 

আপনার কমেন্টে পড়ে ভালো লাগলো। তাহলে ঘরের শত্রু মীরজাফর আপনি বুঝিয়েছেন।

 2 months ago 

ঐরকম এই তো আপু, মীরজাফর মার্কা মানুষগুলোই তো কাছের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে তাই নয় কি আপু?

 2 months ago 

"ঘরের শত্রু বিভীষণ" বলা হয়, কারণ শত্রু যখন বাইরের বদলে নিজের ঘরেই লুকিয়ে থাকে, তখন বিপদ দ্বিগুণ! বিভীষণ রাবণের ভাই হয়েও তাকে ফাঁসিয়ে দিল, তাই এই প্রবাদ। যেন বলছে, 'কথা শুনে সাবধান হও! পিঠে চাপড় দিলেও ভাবো, ছুরি লুকিয়ে আছে নাকি!' ঘরের বিভীষণ থাকলে বাইরের শত্রু আর কী দরকার? 😄

 2 months ago 

তাহলে তো আমাদের ঘরেই আমাদের শত্রু লুকিয়ে থাকে ভাইয়া। আমাদের সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।

 2 months ago 

আপু,মাঝে মাঝে ঘরের মানুষই বেশি বিপদজনক হয়ে থাকে। যে কেউ যেকোনো সময় ছোবল মারতে পারে।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি

আসলে ঘরের শত্রু আঘাত করলে সেটা বুঝে ওঠা যায় না এবং সহ্য করা বেশ কঠিন।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া আমিও এটা মনে করি।

 2 months ago 

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঘরের শত্রু আঘাত করলে সেই আঘাত সহ্য করা যায় না। সেটা মৃত্যুর চেয়েও অনেক কঠিন হয়ে যায়।

 2 months ago 

কারণ ঘরের লোকই জানে নারী-নক্ষত্রের হিসাব।তাই খুব সহজেই ক্ষত বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে নুনের ছিটাও দিতে পারে বারেবারে।এইজন্য ঘরের শত্রু বিভীষণ বলা হয়।

 2 months ago 

এটার সাথে আমি নিজেও একমত।

 2 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

বাহিরের শত্রু আঘাত করলেও এত কষ্ট হয় না, যতটা না ঘরের শত্রু আঘাত করলে হয়🤺। হাজার গুণ বেশি কষ্ট এতেই থাকে। ঘরের শত্রু প্রতিটা পদে পদে আমাদের আঘাত দেয়। বাইরের শত্রু একবার। এইজন্যই ঘরের শত্রু বিভীষণ।

 2 months ago 

আপনি এখন ঠিক বলেছেন আপু নিজের কাছের মানুষ থেকে যদি আঘাত পাওয়া যায় সেটা কোনদিনই ভোলা যায় না।

 2 months ago 

আপু ঘরের শত্রু খুব ভয়ঙ্কর হয়। আর এই শত্রুগুলো দুর্বলতা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানে।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

আসলে বাহিরের শত্রু আপনার সাথে তেমন ভাবে লেগে থাকবে না, যেমন ভাবে আপনার ঘরের শত্রু লেগে থাকবে। ঘরে শত্রু থাকলে বাহিরের শত্রুর আর প্রয়োজন হয় না।

 2 months ago 

ঘরে শত্রু থাকলে বাহিরের শত্রুর আর প্রয়োজন হয় না।

একদম ঠিক বলেছ।

 2 months ago 

"ঘরের শত্রু বিভীষণ" কথাটি সাধারণত ওইসব মানুষদের নির্দেশ করে, যারা নিজেদের ঘর, পরিবার বা সংগঠনের মধ্যে থেকেই ক্ষতি করেন। রামায়ণের বিভীষণ চরিত্রকে এই অর্থে উল্লেখ করা হয়, কারণ তিনি নিজের পরিবার (রাবণের) বিরুদ্ধে গিয়ে সঠিক পথে দাঁড়িয়েছিলেন এবং রামচন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, কখনও কখনও ঘরের শত্রুরা বাইরে থেকে নয়, বরং নিজের দলের মধ্য থেকেই আসতে পারে।

 2 months ago 

ঘরের শত্রু বিভীষণ, কেন বলা হয় কথাটি।

ঘরের মানুষ যখন পিছনে লাগে, তখন যেকোনো মানুষকে নাকানিচুবানি খাইয়ে দেয়। আর ভুক্তভোগী সেটা মৃত্যুর আগেও ভুলতে পারে না। আর সেজন্যই বলা হয় ঘরের শত্রু বিভীষণ।