জয়ের উল্লাসে ভরা স্কুল জীবনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

in আমার বাংলা ব্লগ18 hours ago

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।

woman-792162_1280.jpg

source

স্কুল জীবনের অসংখ্য স্মৃতির ভিড়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো ছিল সবচেয়ে রঙিন ও আনন্দময়। বন্ধুদের সাথে সেই মাঠে দাঁড়িয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখা, অনুশীলনের ক্লান্তি ভুলে যাওয়া আর শেষ পর্যন্ত বিজয় অর্জনের মুহূর্ত,সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আজও সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে হৃদয় ভরে যায় গর্ব আর আনন্দে।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু হতো অনেক আগে থেকেই। প্রতিদিন ক্লাস শেষ করে মাঠে নেমে পড়তাম আমরা বন্ধুরা। কেউ দৌড়ের অনুশীলন করত, কেউ লং জাম্প, কেউ আবার রিলে রেসের কৌশল নিয়ে ব্যস্ত থাকত। রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে গেলেও কারও মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকত না। বরং একে অপরকে উৎসাহ দেওয়া, মজা করা আর একসাথে স্বপ্ন দেখাই ছিল আমাদের শক্তি। শিক্ষকরা পাশে থেকে সাহস দিতেন, ভুল ধরিয়ে দিতেন এবং শিখিয়ে দিতেন শৃঙ্খলা ও দলগত কাজের মূল্য।

অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত দিনটি এলো। স্কুল প্রাঙ্গণ সাজানো, চারপাশে রঙিন পতাকা আর ব্যানারে উৎসবের আমেজ। মাঠে পা রাখতেই বুকের ভেতর উত্তেজনার ঢেউ উঠল। গ্যালারিতে সহপাঠীদের চিৎকার, শিক্ষকদের উৎসাহ আর প্রতিযোগীদের দৃঢ় চোখ,সব মিলিয়ে পরিবেশ ছিল রোমাঞ্চকর। প্রতিটি ইভেন্টে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম, কারণ জানতাম আমরা শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো দলের সম্মানের জন্য খেলছি।আমাদের দলের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটি আসে রিলে রেসে। শেষ রাউন্ডে আমরা ছিলাম পিছিয়ে, কিন্তু বন্ধুদের চোখে ছিল অদম্য বিশ্বাস। ব্যাটন হাতে নিয়ে যখন শেষ দৌড়টা শুরু করলাম, তখন চারপাশের সব শব্দ যেন থেমে গেল। শুধু লক্ষ্য আর বন্ধুদের চিৎকার,দৌড়াও, তুমি পারবে! শেষ লাইনে পৌঁছে যখন প্রথম স্থান নিশ্চিত হলো, তখন আনন্দে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই উল্লাসের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

পুরস্কার বিতরণীর সময় যখন আমাদের নাম ঘোষণা করা হলো, তখন গর্বে বুক ভরে উঠেছিল। হাতে ট্রফি তুলে নেওয়ার মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, এই জয় শুধু একটি প্রতিযোগিতার নয়,এটি ছিল আমাদের বন্ধুত্ব, পরিশ্রম আর একসাথে থাকার জয়। শিক্ষকরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন, আর বন্ধুদের চোখে দেখলাম সত্যিকারের সুখের ঝিলিক।আজ অনেক বছর পেরিয়ে গেছে। আমরা সবাই জীবনের ভিন্ন পথে এগিয়ে চলেছি। তবু স্কুল জীবনের সেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয় মুহূর্ত আজও মনে হলে হৃদয় আনন্দে ভরে ওঠে। কারণ সেই জয় আমাদের শিখিয়েছিল,একসাথে চেষ্টা করলে, পরস্পরের উপর বিশ্বাস রাখলে আর কখনো হাল না ছাড়লে, সাফল্য একদিন ঠিকই ধরা দেয়।

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFZw7HFjCLMfDJx3zXx3jXPRfJr7otFtoRfKMmN9rJzpemZGKH1sKHrmfJREqyC...9xLrN7kkzEr3nKpRPcTj6NSZrBzYGbr93rAK2CAinZaxUP2fFhka9ZrPQeMBYoU2r2avcVEfb5m3uJAqvfZ4UMDVMeWvTdncVc9TonRvS2kneML5dvyoyUQZKC.png

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণগল্প ✨
মডেলএম-৩১
ক্যাপচার@alif111
অবস্থানসিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻