ইঞ্জিনিয়ার্স ডে

ইঞ্জিনিয়ারিং এর জীবন মানেই হচ্ছে রোবটের অর্থাৎ সবকিছুই টাইম টু টাইম করতে হবে। প্রত্যেকটা সেমিস্টারে বিভিন্ন ধরনের এক্সাম থাকবে, ভাইভা, ল্যাব প্রেজেন্টেশন, আরো কত কিছু তা হিসাব মেলানো দ্বায়। সারা রাত জেগে ভাইবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা, এসাইনমেন্ট লেখা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা কিন্তু নাম্বারের সময় কোনমতে পাস করিয়ে দেয়, এই হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের অবস্থা। ইঞ্জিনিয়ারদের জীবনে শুধু মাত্রই অতিষ্ঠ তা কিন্তু নয়। বরং এই জীবনটা অনেকটাই আনন্দের, যদি এই জীবনটা উপভোগ করা যায়।

বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ধরনের ছাত্র রয়েছে তবে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র কথাই আলাদা। এরা সব থেকে আলাদা কারণ এদেরকে আপনি ড্রেস কোড দিয়ে বিচার করতে পারবেন না। যারা ডাক্তার উপরে তাদের জন্য আলাদা পোশাক রয়েছে। কিন্তু যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে তাদের জন্য আলাদা কোনো ড্রেস কোট নেই, সামান্য একটি টি-শার্ট এবং জিন্স পরলেই তাদের হয়ে যায়। ডাক্তারদের বিভিন্ন ধরনের হাসপাতালে কিংবা চেম্বারে পাওয়া যায়। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রদের প্রায় সম্ভবত পাওয়া যায়। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অলিতে গলিতে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রের বসবাস।

আমি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। আসলে ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরো বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স রয়েছে। এবং এসব কোর্সগুলো অতিক্রম করার পরেই একজন ছাত্র ভালো মানের ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। তবে বর্তমানে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের যা অবস্থা, তাদের প্রতি ভরসা করা বোকামি হয়। যদি আমার বন্ধু বান্ধবের কথাই বলি, যারা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ রয়েছে। তারা যদি কোন বাড়ি বানায় তাহলে সেই বাড়িতে কোনদিন আমি ঢুকব না, হাহাহা। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে।

Source

অনেক মজাই আপনাদের সাথে করলাম। এখন কিছু বাস্তবতা তুলে ধরি। আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াটা চারটি খানি কথা নয়। বরঞ্চ এই ইঞ্জিনিয়ারিং যারা করছে তাদের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। আপনারা তো সুই সুতা অনেকেই দেখেছেন। এই সুতা নিয়ে আবার ইঞ্জিনিয়ারিং হয় না কি! এটাও আপনারা অনেকেই কখনো ভাবতেই চান না। কিন্তু এই সুতার পিছনে এতো এতো সাইন্স রয়েছে এগুলো যদি আপনি জানতেন তাহলে হয়তো সুতাকেও তুচ্ছ করে দেখতেন না। আপনি আপনার চারিপাশে যা কিছুই দেখতে পারেন না কেন কোন না কোন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সে সবগুলো ইঞ্জিনিয়াররাই তৈরি করেছেন। তাই ইঞ্জিনিয়ারদেরকে শ্রদ্ধা করুন, তারা যদি কিছু করতে চায় তাদের উৎসাহ দিন।

এই ইঞ্জিনিয়ারিং দিবসে পৃথিবীর সকল ইঞ্জিনিয়ারদের মন থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি। তারা না থাকলে হয়তো পৃথিবীতে এত তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হতো না। আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো এত সহজ হতো না। আজকের মত এখানে শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ইঞ্জিনিয়ার্স ডে

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......