ঈদ আনন্দ (৩য় পর্ব)

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি এবং আমাদের সবারই নানান রকম পরিকল্পনা থাকে। তবে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন অনেক কমই হয় তারপরও পরিবারের সাথে ঈদ কাটানো মুহূর্তগুলো অনেকটাই চমৎকার এবং উৎসবময় হয়ে থাকে। গত দুই পর্বে ঈদ আনন্দের কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ ঈদের শপিং নিয়ে কিছু কথা বলব।

এবার সৃষ্টিকর্তার রহমতে এসবিটি প্রিটেড ছিল যার কারণে ইনকাম মোটামুটি ভালোই ছিল এবং আমিও চাচ্ছিলাম বাসার সবার জন্যই এবারের ঈদ শপিং আমি করে দেবো। আনুমানিক ১০ রোজার পরেই আমার মায়ের সাথে আমি ফোনে কথা বলি এবং কার কার জন্য কি কি লাগবে একটা লিস্ট করি। সাধারণত আমার নানু বংশ এবং দাদুর বংশের যারা যারা ছিল এবং যারা যারা অনেক কাছের আত্মীয়-স্বজন তাদের সবাইকে এই লিস্টে রেখেছিলাম। লিস্ট করা শেষে প্রায় ৩৮ জনের নাম আমার লিস্টে আসে। এছাড়াও লিস্টের বাইরেও বেশ কিছু মানুষকেও ঈদের জন্য পোশাক কিনে দেওয়া হয়।

প্রথম অবস্থায় আম্মুকে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম এবং আম্মুকে বলেছিলাম আস্তে আস্তে শপিং করার জন্য। আম্মু অনেক কষ্ট করেই সবার জন্য অনেক শপিং করেছেন। যেহেতু আম্মু বাসায় একা রয়েছে তাই একাই সবকিছু করতে হয়েছে। যা সত্যি অনেক কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। তাই আম্মুকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। এই ঈদের মার্কেট করতে অনেকটাই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। আপনাকে আসলে প্রতিটি মানুষের গায়ের মাপ অনুযায়ী এই শপিং গুলো করতে হয়েছে আম্মুকে।

তারপরও আম্মুর সবার জন্যই কেনাকাটা করেছিল এবং এই কেনাকাটা করতেও বেশ কিছুদিন সময় লেগেছিল। এছাড়াও এবার হঠাৎ করেই বাসার ফ্রিজটা নষ্ট হয়ে যায়। আমিও ভাবছিলাম বাসার জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কিনব, কিন্তু কিনে দেব বলে আর কেনা হয়নি, ঠিক ঈদের কয়েকদিন আগেই নতুন ফ্রিজ কেনা হয়েছিল। তারপরও আমি এবার অনেক খুশি, কারণ আমি আমার ইনকামের টাকায় আমার পরিবার-পরিজনদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। আবার আমার বাবা-মা ছোট ভাই এবং যত আত্মীয়স্বজন আছে সবার জন্যই কিছু হলেও করতে পেরেছি। এই দিক থেকে আমি অনেকটাই শান্তি পেয়েছি। এর জন্য আমাদের বড় দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, আসলে দাদা না থাকলে এই বিষয়টি আমি কখনোই করতে পারতাম না।

এইদিকেই আমাদের নীলফামারীতেই একজন শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। তার জন্য একটি থ্রি পিস গিফট করেছিলাম, বিষয়টা সত্যি আমার জন্য অনেকটাই আনকমফোর্টেবল ছিল, হাহাহা। যেহেতু আমি তখন অফিস করতাম, আমার অফিস থেকে বাসায় যেতে প্রায় ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সময় লেগে গিয়েছিল। আমি আমার ছোট ভাইকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম নীলফামারীতে, যাতে করে আম্মুর একটু সুবিধা হয় এবং আম্মু আমার এই ছোট ভাইকে নিয়েই সাধারণত অনেকগুলো শপিং করেছে। মজার বিষয় হচ্ছে আমার ছোট ভাই এবার আমার জন্য বেশ কিছু শপিং করেছেন যা সত্যি অনেক আনন্দদায়ক ছিল।

এছাড়াও এবার সালামি দেওয়ার জন্য বেশ কিছু নতুন টাকা সংগ্রহ করেছিলাম যাতে করে ঈদের দিনে ছোট ছোট বাচ্চা বাচ্চাদের সালামি দিতে পারি। সৃষ্টিকর্তার রহমত যদি আমাদের উপর থাকে তাহলে এবারের কুরবানীটাও আমি দেওয়ার চেষ্টা করব। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধুমাত্র এতোটুকুই প্রার্থনা করি এই তৌফিক যেন আমাকে দেয়। তবে আমি নিজের জন্য বেশ কিছু কেনাকাটা করেছি। যেমন একটি নতুন মোবাইল কিনেছি এই বিষয়ে না হয় অন্য একটি পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি ধন্যবাদ সবাইকে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: ঈদ আনন্দ (৩য় পর্ব)

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......