"গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই এপ্রিল, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে গিয়ে বেশ ভালো এই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছিলাম গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে। গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে তাইতো সুযোগ পেলেই ঢাকা থেকে গ্রামে ছুটে যায়। ঢাকার এই রোবটিক জীবন যাপন আমার একদমই পছন্দ হয় না। এখানকার প্রতিটি মানুষকে যান্ত্রিক মনে হয় আমার কাছে। চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে ইউনিভার্সিটিতে আমাদের মিড টার্ম পরীক্ষা শুরু তাই আজকে গ্রাম ছেড়ে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ঢাকাতে আসলাম। কয়েকদিন আগে অবশ্য আমরা প্লান করে রেখেছিলাম যে, মঙ্গলবারে সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুই বন্ধু বাইক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। অনেকদিন ঈদের ছুটিতে গ্রামে থাকার কারণে ঢাকাতে আসতে মনের ভেতরে বেশ খারাপ লাগছিলো। কিন্তু বাইরে থেকে লেখাপড়া করতে হলে তো গ্রাম ছেড়ে আসতেই হবে। যাইহোক আজকে দুই বন্ধু বাইক নিয়ে ঢাকাতে বেশ ভালোভাবেই পৌঁছেছি।
আমি আর আমার বন্ধু রাহুল গতকালকেই কথা বলে রেখেছিলাম যে, আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই বন্ধু ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। বর্তমানে প্রচন্ড গরম পড়াতে আমার ইচ্ছা ছিল ভোর পাঁচটা কিংবা ছয়টা দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দেবো। কিন্তু বন্ধু রাহুলের একটু দরকারি কাজ থাকাতে আমরা নয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ বন্ধু রাহুল ফোন দিয়ে বলল যে, আমি রেডি হয়ে নিচ্ছি তুই রেডি হয়ে নে। তারপর ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে গরম গরম ভাত খেয়ে বন্ধু রাহুলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।
তারপর বন্ধু রাহুল বাইক নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে আসলে আমরা আমাদের ব্যাগ বাইকে ভালোভাবে বেঁধে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আমরা যখন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন ঘড়ির কাটায় নয় টা বাজে। আজকের সকালটা একটু মেঘলা মেঘলা ছিলো। আমরা সামনের দিকে কয়েক কিলোমিটার যেতেই আস্তে আস্তে বেশ ভালো সূর্যের আলো দেখতে পেলাম। আমাদের বাইকে তেল কম থাকাতে পাংশা ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নিয়ে দুই বন্ধু রিলাক্সে আবার রওনা দিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাইক জার্নি ভীষণ পছন্দ করি।
আমরা যখনই বাইক জার্নি করি তখনই নিজেদের ইচ্ছামতো পথের মাঝে হালকা ব্রেক দিয়ে নিই। আজকে প্রচন্ড রোদ আর গরম থাকতে রাজবাড়ী ছেড়ে এসে আলিপুরের মাঝে একটি বাজারে কয়েক মিনিটের জন্য ব্রেক দিলাম। একটি দোকান থেকে পানি আর গ্লুকোজ কিনে একসাথে করে মিশিয়ে দুই বন্ধু খেয়ে নিলাম। এমনিতেই বাইক জার্নি করলে প্রচুর পরিমাণে পানি পিপাসা পায়। আমরা কয়েক মিনিটের ব্রেক শেষ করে আবার বাইক নিয়ে রওনা দিলাম। আমরা মোটামুটি দেড় ঘন্টার ভেতরেই ফেরিঘাটে পৌঁছে গেলাম।
আমরা ঢাকায় থেকে বাড়িতে আসি কিংবা বাড়ি থেকে ঢাকাতে যাই সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত বা সময় উপভোগ করে এই নদীর ভেতরে। সত্যি বলতে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। ঈদের পরে গাড়ির চাপ বেশি থাকার কারণে ফেরি ঘাটে আমাদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। আমরা টিকিট কেটে সাথে সাথেই ফেরিতে উঠতে পেরেছিলাম। তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পরেই দৌলতদিয়া থেকে ফেরি পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আমাদের বাইকে আর ব্যাগ নিচে রেখে আমরা ফেরির একদম উপরের অংশে চলে যায়। তবে ব্যাগের ভেতরে প্রয়োজনীয় কিছু থাকলে এভাবেই ব্যাগ রেখে যাওয়া ঠিক নয়।
আমাদের ব্যাগে তেমন প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল না তাই রেখে গিয়েছিলাম। ফেরির উপরে গিয়ে ভীষণ ভালো লাগছিলো। চারপাশে প্রচন্ড রোদ থাকলেও নদীর বাতাস ভীষণ ভালো লাগছিলো। আমাদের ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছানোর একটু আগে আমরা উপর থেকে নিচে নেমে আসলাম। ঈদের পরবর্তী সময় হওয়া থেকে ফেরিতে বেশ ভালই ভিড় লক্ষ্য করলাম। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসতে আমাদের ৩০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিলো।
তারপর পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পৌঁছানোর পর আমরা বাইক নিয়ে আবার রওনা দিলাম। আমরা মানিকগঞ্জ পর্যন্ত হাইরোড হয়ে গেলাম তারপরে মানিকগঞ্জের ভেতরে দিয়ে হেমায়েতপুরের যাওয়ার একটি রাস্তা আছে সেই রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করলাম। আমরা অবশ্য বেশিরভাগ সময়েই হাইরোড ব্যবহার না করে এই রোডটা ব্যবহার করি। হাই রোডে থেকেও মানিকগঞ্জ টু হেমায়েতপুর এর ভেতরে রোড সেভ মনে হয়। কারণ হাইরোডে প্রচুর পরিমাণে গাড়ির চাপ থাকে। আমরা ভেতরের রাস্তার একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিই। এই হোটেলে অবশ্য এর আগেও একবার খেয়েছি এখানকার রান্নার টেস্ট দারুন হয়। তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পাটুরিয়া ঘাট থেকে মোটামুটি দুই ঘণ্টার ভিতরে আমরা আমাদের বাসায় চলে আসি। আজকে নির্বিঘ্নে ঢাকাতে পৌঁছাতে পেরে আমরা খুশি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৬ ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
বাইক নিয়ে জার্নি করলে নিজের ইচ্ছে মত জায়গাতে দাঁড়িয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করা যায়। আমরা বাসে কিংবা অন্য গাড়িতে করতে পারিনা। ভাইয়া আপনি গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
বাইকে জার্নি করতে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য বাইকে জার্নি করাটাই বেটার তবে একটু রিক্স আছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া গ্রামে থাকলে আসলে শহরেই ফিরতে ইচ্ছে করে না। শহরের বন্দী জীবন আর গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ অনেক বেশি ভালো লাগে। আমিও যেহেতু বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামে আছি ভীষণ ভালো লাগে গ্রামের পরিবেশে থাকতে। যেহেতু পড়ালেখার জন্য চলে যেতে হচ্ছে মায়া রেখে কোন লাভ নেই ভাইয়া হা হা হা। সবকিছুকে উপেক্ষা করে আবারও চলে যেতে হবে। আবারও ফিরে আসতে হবে এই হচ্ছে জীবনের মায়া।
গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে থাকতে ভীষণ ভালো লাগে তাই তো শহরে যেতে ইচ্ছা করে না। আসলেই আপু লেখাপড়ার জন্য শহরে তো আসতেই হবে গ্রামের মায়া করলে তো আর হবে না। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা সুন্দর একটি পোস্ট আপনি ঘুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে আমার পোস্ট। সত্যি বলতে গ্রামের মতো পরিবেশ এবং আনন্দ কোথাও পাওয়া যাবে না। যাইহোক গ্রামে আসলে শহরে ফিরতে মন চায় না। এক ধরনের মায়া জড়িয়ে থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
গ্রামীণ পরিবেশ সবসময় অনেক বেশি ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৫০ স্টিম পাওয়ার আপ এর মাধ্যমে আপনার শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল। এভাবে আপনি এগিয়ে যাবেন। নিজেকে ক্ষমতাবান করতে হলে পাওয়ার আপ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দুঃখিত ভাই আমার পোস্টটি পাওয়ার আপ সম্পর্কিত নয়।