"আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২ শে এপ্রিল, সোমবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি গত মাসে আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম। গত বছরে এই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সময়ে সিলেটে থাকার কারণে মিস করেছিলাম। তাই এবারে আগে থেকেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের এই ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানটি দেড়শ বছরের পুরনো। এর আগে আমি ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে শ্রীশ্রী কালী পূজা নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম সেটা অবশ্য আপনারা অনেকেই পড়েছেন। কিন্তু ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ ৪৫ বছর। আজকে আমি ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞের অধিবাসের দিন থেকে শুরু করে মহানাম যজ্ঞের ভোগের দিন পর্যন্ত এই পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ক্যাপশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের মূল ফটক
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২০ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
শ্রীশ্রী মা কালী পূজার পরের দিন ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে ও অধিবাসের সূচনা করা হয়। এবারে অবশ্য বাড়ির কাছে একটু ব্যস্ত থাকার কারণে অধিবাসের সময়ে উপস্থিত থাকতে পেরেছিলাম না। তাই অধিবাসের পরে রাতে আমি আর আমার ভাই অর্ঘ্য গিয়েছিলাম ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে। এটা হচ্ছে আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের মূল ফটক।
ক্যাপশন: অধিবাসের রাতে
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২০ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
আমরা রাতে মহাশ্মশানে গিয়ে দেখি মূল ফটকটি বন্ধ রয়েছে। তারপর আমরা মূল ফটকের চাবি সংগ্রহ করে ফটকটি খুলে ব্যাংগাড়ীয়া মহস্মশানের ভেতরে প্রবেশ করলাম। মহানাম যজ্ঞের অধিবাস হয়ে গিয়েছিল তাই ভেতরে কোন লোকজন ছিল না। সবকিছু সুন্দর করে সাজানো ছিল দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিলো।
ক্যাপশন: প্রথম দিনের মহানামযজ্ঞ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২১ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
অধিবাসের রাত পার হলে সকাল থেকে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আমাদের মহাশ্মশানে প্রথম দিনে ভক্তবৃন্দ এমনিতেই অনেক কম হয়। কারণটা হচ্ছে মহাশ্মশানের পাশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি খুবই কম। আজ সারা দিনে যাও ভক্তবৃন্দ ছিল রাতের বেলাতে ভক্তবৃন্দ একদমই কম থাকে। এই ছবিটি আমি মহানাম যজ্ঞের প্রথম দিনে রাত্রে এ ধারণ করেছিলাম।
ক্যাপশন: দ্বিতীয় দিনের মহানামযজ্ঞ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২২ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
এটা হচ্ছে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের ছবি। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ভক্তবৃন্দ একটু বেশি থাকে। দ্বিতীয় দিন অবশ্য দিনের বেলায় আমি গিয়েছিলাম না। সন্ধ্যার পরে গিয়েছিলাম তবে সেখানে বেশ ভালই ভক্তবৃন্দ ছিলো। তারপর আস্তে আস্তে রাত হয়ে যাওয়ার পরে ভক্তবৃন্দ কমতে থাকে।
ক্যাপশন: মেলার দোকান
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২৩ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
এই ছবিটি মাহাশ্মশানের মেলার দোকানের ছবি। এই ছবিটা আমি ধারণ করেছিলাম মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে তৃতীয় দিনে। প্রতিবছর মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মেলা থাকে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে। কিন্তু এবারের নতুন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানের পিছনের দিকে মেলা করাতে মেলায় দোকানপাট অনেক কম হয়েছিল এবং মানুষের সমাগম কম ছিল।
ক্যাপশন: তৃতীয় দিনের মহানামযজ্ঞ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২৩ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে এ ধারণ করা ছবি। এই ছবিটা অবশ্য আমি রাত্রে ধারণ করেছিলাম। মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে তৃতীয় দিনে সবথেকে বেশি ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে। তবে দিনের বেলা তুলনায় রাতের বেলাতে আস্তে আস্তে ভক্তবৃন্দ কমতে থাকে।
ক্যাপশন: মহানাম যজ্ঞের মহাপ্রসাদ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২৩ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
আমাদের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনের মহাপ্রসাদ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে অবশ্য আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই মহাপ্রসাদ যতক্ষণ পর্যন্ত মহানাম যজ্ঞ চলতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়। অন্যান্য জায়গা গুলোতে অবশ্য একটু রাত হলে মহা ষপ্রসাদ আর বিতরণ করা হয় না কিন্তু আমাদের এখানে সব সময় মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়। এবারের তৃতীয় দিনে মহাপ্রসাদ ছিল ভাত, ডাল আর সোয়াবিনের রসা।
ক্যাপশন: গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগ
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান
তারিখ: ২৪ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
মহানাম যজ্ঞের শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগের দিনে ধারণ করা ছবি। ব্যাংকারিয়া মহাশ্মশানের অনুষ্ঠানের সব থেকে বেশি ভক্তবৃন্দ সমাগম ঘটে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ভোগ অনুষ্ঠানের দিনে। কারণ ভোগ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রীশ্রী ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এবারে এই ভোগ অনুষ্ঠানে অনেক ভক্তবৃন্দর সমাগম ঘটেছিলো।
শ্রীশ্রী ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানের মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের এই কয়দিনে অনেক বেশি সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon