রেসিপি পোস্টঃ ডুমুর ফল ভুনা রেসিপি।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্য বৃন্দ......
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। দেখতে দেখতে আমাদের মাঝ থেকে রোজার বিদায় নিতে চলেছে। যদি রোজা পরিপূর্ণতা পায় তাহলে দুইটা আর যদি না হয় তাহলে একটি রোজা বাকি থাকলো। জানিনা এই রমজান মাস আর ফিরে পাবো কিনা। আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে রমজানে ওছিলায় আমাদের মাফ করে দেন (আমিন)।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তার থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে। আজকে আমি ডুমুর রান্না করা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আমার জীবনের প্রথম আমি ডুমুর রান্না করলাম। এর আগে কখনো রান্না করিনি এবং ডুমুর খাইনি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে কিভাবে আমি ডুমুরের রেসিপি তৈরি করলাম সেটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ | পরিমান |
---|---|
ডুমুর | ২৫০গ্রাম |
আলু | ১পিচ |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টা |
পেয়াজ | বড় সাইজের ১ পিচ |
আদা | পরিমান মতো |
রসুন | ১পিচ |
হলুদ | ১ টেবিল চামুচ |
গুড়া ঝাল | ১ টেবিল চামুচ |
ধনিয়ার গুড়া | ১টেবিল চামুচ |
এলাচ | ২ পিচ |
লবন | পরিমান মতো |
দারুচিনি | পরিমান মতো |
তেজপাতা | ২ টা |
আমি ডুমুর গুলা গোল গোল করে কেটে নিয়েছি। আপনারা চাইলে ডুমুরের বীজগুলো ফেলে দিতে পারেন। অনেকে ডুমুরের বীজ পছন্দ করে না খেতে অনেকটা বালি বালি লাগে। আমি যে ডুমুর রান্না করেছি ডুমুরের ভেতর বীজ তেমন একটা ছিল না যা ছিলো সেগুলা নরম এই জন্য
আমি বীজ সহ কেটে নিয়েছি।
এরপর আমি একটা আলু সুন্দর করে ডুমুরের সাইজে কেটে নিয়েছি
এবার একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তার ভেতরে একটু লবণ ও হলুদের গুড়া দিয়ে ভালোভাবে পানি সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর আগে থেকে কেটে নেওয়া ডুমুর গুলা পানির ভেতরে দিয়ে নাড়াচাড়া করে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি৷ এটা করার কারন হলো যেনো তোর থেকে সব আঠা বের হয়ে যায়।
এরপর ডুমুর গুলা হলুদ পানি থেকে তুলে একটি পাত্রে পানি দিয়ে চুলার উপর বসিয়ে ডুমুর গুলা ৭০% এর মতো সিন্ধ করে নিয়েছি।
এরপর আমি একটি পাত্র চুলার উপর বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে প্রয়োজনীয় সবগুলো মসলা উপাদান গুলা দিয়ে সুন্দর ভাবে নাড়াচাড়া করে মসলা গুলা একসাথে কষে নিয়েছি।
মসলার রঙ বাদামী হয়ে গেলে আমি ডুমুর ও আলু পাত্রের ভেতর দিয়ে সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। এই সময় চুলার আঁচ একটু কমিয়ে রেখেছি। খেয়াল রাখতে হবে যেন ডুমুর এবং আলু কড়াইতে লেগে না যায়। এভাবে অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে।
এক পর্যায়ে সুন্দরভাবে কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে চুলার তাপ একটু বাড়িয়ে দিয়ে জ্বাল করে নিয়েছি। এবার ডুমুর ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ না পর্যন্ত এভাবেই আস্তে আস্তে জ্বাল করে নিয়েছি। এভাবে জ্বাল করে নেয়ার পর ডুমুর গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
এবার খাবারটি পরিবেশন এর জন্য প্রস্তুত। ডুমুরের তরকারি আমি আমার জীবনে এই প্রথম খেলাম। তাও আবার সেটা নিজের হাতে রান্না করে। এর অনূভুতি বলে শেষ করা যাবে না। ভাবছিলাম খেতে হয়তো তেমন একটা স্বাদ হবে না। কারন এর আগে না কখনো খেয়েছি না রান্না কখনো রান্না করেছি।
যাই হোক রান্নাটা বেশ ভালোই হয়েছিলো। যা ভেবেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি স্বাদ হয়েছিলো। যদিও আমি ডুমুরের তরকারি একবারের বেশি খেতে পারি নাই। কারন এই রেসিপিটা রোজার ভেতর করেছিলাম।
পোস্টের ধরন | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
তৈরিকারক | মোঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
ওয়াও আপনি আমাদের মাঝে আজকে নতুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডুমুর ফলের কোনদিন ভুনা খাইনি। আজকে প্রথম আপনার পোস্টে এই রেসিপি দেখতে পেলাম। ডুমুর ফলের ভুনার কালার দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধাপ গুলোও সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মুল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ডুমুর ফল রান্না কখনো খেয়েছি বলে মনে হয় না। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। দেখি এভাবে একদিন অবশ্যই রান্না করে খাব।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু অবশ্যই রান্না করে খাবেন। ভালো করে রান্না করতে পারলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ডুমুর খেকে অনেক রক্ত হয় নাকি।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ডুমুর ফল ভুনা রেসিপি তৈরি করে। আসলে মামা আমি কখনো এই ডুমুর ফলের রেসিপি তৈরি করে খাইনি তাই তৈরি দেখেই বেশ অবাক হলাম। আপনার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে মামা। এত সুন্দরভাবে ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মামা।
একদিন রান্না করে খেয়ে দেখতে পারো। আশা করি খারাপ লাগবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ মামু তোমার সুন্দর গঠন মূলক মতামতের জন্য।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা কেউই জানিনা আগামী রমজান আমরা পাব কিনা ।যাইহোক আপনার আজকের ডুমুরের ফল ভুনা রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ইউনিক লেগেছে। ডুমুরের ফল খাওয়া যায় এটি আমি জানতাম না ।আজই আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। যদিও আপনি এই প্রথম রান্না করেছেন এবং খেয়েছেন ।তবে এটি যে সত্যিই খাওয়া যায় আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ।যাই হোক আপনার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
হ্যা আপু এই ফল সত্যি খাওয়া যায়। এবং এর অনেক উপকাররিতা রয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ডুমুর ফলের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ডুমুর ফল কাঁচা খেতে ও ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ডুমুর ফলের ভুনা তৈরি করেছেন। রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রশংসা মূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডুমুর ফল গ্রাম অঞ্চলে অনেক পাওয়া যায়। সাধারণত এই ফল গুলো খাওয়া হয় না। তবে অনেকে কাঁচা অবস্থায় লবণ মরিচ দিয়ে খেয়ে থাকে। ডুমুর ফল ভুনা রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। লেখার ভেতর একটু ভুল আছে আশা করি দেখে ঠিক করে নিবেন।
আপনি অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। ডুমুর ফল তো এখন দেখা যায় না বিলুপ্ত হয়ে গেছে প্রায়। এর আগে কখনো ডুমুর ফল খাওয়া হয়নি স্বাদ কেমন সেটা জানি না। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হ্যা ভাই মোটামুটি ভালই লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ডুমুরের ফল ভাজি, অনেকদিন খাওয়া হয়নি। আমার মনে আছে অনেক ছোটকালে তোমারে ফল ভাজি খেয়েছি। তবে ডুমরে ফল ভাজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলায় যে ডুমরে ফল ভাজি খেয়েছি সেই স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। আপনি আজকে খুব চমৎকার করে ডুমুরের ফল ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি ধাপ গুলো সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ছোট কালে কার হাতের ডুমুরের রান্না খেয়েছেন ভাই? ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রশংসা মুখরিত মতামত শেয়ার করার জন্য।
খুবই দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ডুমুরের ফুল ভুনার দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।যদি কখনো খাওয়া হয়নি তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।প্রতিটা ধাপ খুবই নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার প্রশংসা মুখরিত মতামত শেয়ার করার জন্য। আপনার মূল্যবান মতামত আমাকে কাজের প্রতি আরও যত্নশীল করে তুলবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডুমুর ফল অনেক উপকারী একটি ফল।আমি কখনো এই ফলের এভাবে ভুনা খাইনি তবে সবজি তরকারিতে খেয়েছি অনেক বছর আগে এবং চাটনি খেয়েছি খুব ভালো লেগেছিলো খেতে।আপনার ডুমুর ফুল ভুনা রেসিপিটি দেখে মন চাচ্ছে এভাবেই একদিন বানিয়ে খেতে হবে।অনেক লোভনীয় হয়েছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করার জন্য।