স্পোর্টসঃ হায়দ্রাবাদের ইতিহাস সৃষ্টি করা ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হার।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি দুর্দান্ত একটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ আপনাদের মাঝে রিভিউ নিয়ে এসেছি। আইপিএলে এটাই আমার দেখা সবথেকে সেরা ইনিংস বলে আমি মনে করি শুধু আমার কাছে নয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে সবথেকে অবিস্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে। এত উত্তেজনা পূর্ন ম্যাচ আমি কখনো দেখিনি এক ইনিংসে ২৮৭ রান হওয়ার অনেক বড় একটা ব্যাপার।
টসে রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু জিতে যায় এবং তারা ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেই।
প্রথম দিক থেকে হায়দ্রাবাদ বেশ ভালোই শুরু করেছিল। ট্রাভেজ হেড এবং অভিষেক খুব ভালোই খেলছিল। তারা প্রথম থেকে বেশ আমার মুখে ভঙ্গিতে ব্যাটিং করেছিল।
খেলার একপর্যায়ে ৪.৫ ওভারে তারা ৫০ রানের দেখা পাই। যদিও এর আন্টি ছিল আইপিএলের স্বাভাবিক রান এর থেকেও বেশি রান আইপিএল হয়ে থাকে।
পরবর্তীতে ৮ ওভারে আগেই হায়দ্রাবাদ ১০০ রান করে ফেলে। ৮.১ ওভারের ২য় বলে অভিষেক আউট হয়ে যায়। কিন্তু তখনও খেলার অনেক বাকি ছিল। বাকি ছিল অনেক নাটকীয়তার।
মাত্র ৩৯ বলে ট্রাভেস তার আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক রান নিজের করে নেন। এই সময় ১১.৪ বলে রান এসে দাঁড়ায় ১৫৬ রান। যা আইপিএলের জন্য বিরাট কিছু নয়। অভিষেক আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে আসেন ক্লাসেন।
সে মাঠে আসার পর থেকেই মাঠে রূপ বদলতে থাকে। এই প্লেয়ারটা আমার কাছে এত যে কেনো ভালো লাগে আমি সেটা জনি না। মাঠে আসার পর থেকেই অন্যরকম এক উত্তেজনা মাঠের ভেতর সৃষ্টি হয়। সে মাত্র ৩১ বলে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। যার ফলে হায়দ্রাবাদ অনেক বড় রানের দেখা পায়। তিনি টিনে আউট হয়ে যাওয়ার পরে মাঠে আসেন সামাদ।
ইতিহাস গড়তে যে আরও বাকি ছিল তার বলার থাকে না। মার্কারাম ও সামাদের অগ্নিঝরা ব্যাটের মাধ্যমে হায়দ্রাবাদ ২০ ওভারে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের টার্গেট দেয়। যা আইপিএল এ এই বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ।
হায়দ্রাবাদের টার্গেটে খেলতে নেবে রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু বেশ ভালোই খেলছিল। বিরাট কোলি ও ডুপ্লেসিস এর ব্যাটে বেশ ভালোই রান আসছিলো। তাদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিলো তারা খুব দ্রুত রান তাড়া করে জয় লাভ করবে।
৬ ওভারের মাথায় তারা ৮০ রান পুর্ন করে ফেলে। কিন্তু ৬.১ ওভারের মাথায় ভিরাট আউট হয়ে যায়। বিরাট আউট হয়ে যাওয়ার পরও দলের ওপরে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে অনেক ভালো ভালো প্লেয়ার খেলা খেলে।
কিন্তু এমনটা হবে কেউ ভাবতে পারেনি। বিরাট কোহলির ডুপ্লেসিস আউট হয়ে যাওয়ার পরে কেউ আর মাঠে তেমন ভালো পারফরমেন্স করতে পারেনি। যার কারনে ১০ ওভারে মাত্র ১২২ রানের বিনিময় তারা পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে।
ওই সময় রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু ১০ ওভারে ১৬৬ রানের দরকার ছিল। এরপরে মাঠে আসেন দীনেশ কার্তিক। তিনি প্রাণপণ দিয়ে চেষ্টা করছেন দলকে জয় নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু এক হাতে আর কতক্ষণ লড়াই করবেন তিনি।
রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু তার ব্যাটের মাধ্যমে অনেক গুলা রান সংগ্রহ করে। তিনি মাত্র ৩৫ বল খরচ করে ৮৩ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন। যদিও তার এই ভালো পারফারেন্স দলের জন্য জয়ের দ্বার প্রান্তরে পৌঁছাতে পারেনি।
অবশেষে সানরাইজ হায়দ্রাবাদ ২৫ রানে জয় পায়।
ম্যাচটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এখানে খারাপ কিছুই বলার নেই। দুই দলই যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আমি এই ম্যাচটি কখনোই ভুলবো না কারনে ম্যাচটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে আমি মনে করছি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আমি কোন টিমকে এত বড় রানের টার্গেট দিতে দেখে নি। শুধু আমি না সারা বিশ্বে হয়তো এমন খেলা আগে দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। তবে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের জন্য আমার একটু মন খারাপ হচ্ছে কারণ তারা ভালো ভালো ব্যাটিং নেওয়ার পরও তারা ম্যাচ জিততে পারেনি।
শ্রেণী | স্পোর্টস |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 11 |
চ্যানেল | টি স্পোর্টস |
স্ক্রিনশট | ইউটিউব |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতরাতের ক্রিকেট ম্যাচটি ছিল অসাধারণ একটি ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদ যে পরিমাণ রানের পাহাড় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল সেটা সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহলি যখন ঝড়ো গতিতে ব্যাট করছিল তখন মনে হচ্ছিল যেন ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচটি জিতেই যাবে। কিন্তু পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়। শেষের দিকে দীনেশ কার্তিক আশার আলো জ্বাললেও সেটা ছিল অপর্যাপ্ত। তাই দিন শেষে হায়দ্রাবাদ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। যাহোক অত্যন্ত উত্তেজনাকর একটি ক্রিকেট ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। ভালো মানের প্লেয়ার থাকার পরও তারা ম্যাচ জিততে পারে না। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
গতকাল হেড এর খেলাটা বেশ উপভোগ করেছিলাম যা এককথায় অসাধারণ। মাএ ৩৯ বলে সেঞ্চুরি। যদিও এর পরেই আউট হয়ে যায় হেড। বেশ ভালো একটা রানে টার্গেট দেয় হায়দরাবাদ। এর জবাবে ব্যাঙ্গালুরু বেশ ভালো খেলেছে। এই ম্যাচে ২৫ রানে হারা খুব একটা খারাপ না। আর যাইহোক এতো রান চেজ করা টি টুয়েন্টিতে রীতিমতো অসম্ভব।
জ্বি ভাই এত রান করাটা সত্যি অনেক কঠিন ছিল। তারপরও তারা যথেষ্ট রানের ব্যবধান কমিয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠন মূলক মতামতের জন্য।
এবারের আইপিএলে প্রতিনিয়ত রেকর্ড গড়ছে আর ভাঙছে
এর আগে ২৭৭ রানের ইনিংস দেখেছিলাম গতকাল 287 রানের স্কোর সত্যিই যেটা আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর। বিপরীত দল ভালো স্কোর করেছিল কিন্তু এত রানের তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। গতকাল সাড়ে পাঁচশ রানের একটি ম্যাচ হয়ে গেল যেটা ভালই উপভোগ করেছি। আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া গত কালকের হায়দ্রাবাদ আর রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর খেলা দেখে দর্শকরা অবাক। ২০ অভারে এত রান করা কিভবে সম্ভব। দুই দল মিলে ৪০ অভারে ৫৪৯ রান করেছে। এত ছয় চার আর কোন ম্যাচে দেখি নাই। এটি দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মতামত শেয়ার করার জন্য।