ফেসবুক থেকে প্রেম (প্রেমের গল্প )
ফেসবুক থেকে প্রেম
জীবনের সময় গুলো খুব দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। দেখতে দেখতে স্কুল পেরিয়ে কলেজ চলে আসলাম। কিন্তু আমার কাছে কোনো স্মার্ট ফোন নেই। এই যুগের জন্য বিষয়টা একটু অবাক করার মতো। বাসায় মায়ের কাছে একটা বাটন ফোন তাও এটা সারাদিন ঘরের এখানে সেখানে পরে থাকে। যদি কখনো টিং টিং করে রিংটোন বেজে উঠে তখন কথা বলা ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না। মাস খানেক হয়ে গেছে কলেজে গিয়ে ক্লাস করছি। কলেজের সবার হাতে স্মার্ট ফোন দেখে আমার খুব ইচ্ছা জাগলো ফোনের প্রতি। কিন্তু একটা স্মার্ট ফোনের অনেক দাম এত টাকা আমাকে কখনো পরিবার থেকে দিবে বলে মনে হয় না। কেটে গেলো বেশ কিছু দিন। এর মধ্যে আমি দুইটা টিউশনি করিয়ে কয়েক হাজার টাকা পেয়েছি আর আগের কিছু জমানো টাকা একসাথে করে কম দামের মধ্যে একটা স্মার্ট ফোন কিনে নিয়েছি। বিষয়টা যদিও আমার বাসার কেউ জানে না। যদি জানতে পারে তাহলে কি হবে আল্লাহ ভালো জানে। লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন ব্যবহার করতাম। আর নতুন ফোন বলে কথা খুব বেশি যত্ন করে রাখতাম।
কলেজ গিয়ে বান্ধবীকে দিয়ে একটা ফেইসবুক আইডি খুলে নিলাম আর আইডির নাম দিলাম অচেনা পাখি। সত্তিকারী নাম দিলে যদি কেউ চিনে ফেলে তাই দেয়নি এমনকি নিজের ছবিও কখনো আপলোড করিনি। শুধু কলেজের কয়েকজন বান্ধবীদের অ্যাড করে তাদের সাথে চ্যাটিং করতাম। এরই মধ্যে হাজার হাজার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট চলে এসেছে। সবাইকে ঝুলিয়ে রাখলেও একটা ছেলেকে ভুল করে একসেপ্ট করে ফেলেছিলাম। তারপর থেকে ছেলেটা আমাকে মেসেজ দিতো। আমিও মজা করে মেসেজের উত্তর দিতাম। নতুন নতুন ফেইসবুক চালায় বলে কথা। তবে ছেলেটার কথার মধ্যে কেমন জানি একটা জাদু ছিল কখনো কোনো কথার রিপ্লাই না করে থাকতে পারতাম না। ওর কথা গুলো কেন জানি আমার কাছে অনেক ভালো লাগতো। আমার করা প্রশ্নের উত্তর গুলো এমন ফানি ভাবে বলতো যে না হেসে পারতাম এই না।
এভাবে চলে গেলো কয়েক মাস। একজন আরেক জনকে ভালোবাসি কথাটা না বলা হলেও আমাদের মধ্যে যে প্রেম চলছে সেটা আর বুঝার বাকি রইলোনা। কখন কি ভাবে এই কথার প্রেমে পরে গেলাম আমি বুঝতে পারিনি। ওহ তখন কিন্তু শুধু চ্যাটিং এই হতোনা কল দিয়েও কথা হতো আমাদের। প্রায় ছয়মাস পর আমাদের দেখা। একটা মজার বিষয়কি জানেন আমাদের মধ্যে এত কথা হলেও কখনো কেউ কারো ছবি আধান প্রধান করা হয়নি তাই এর মধ্যে কেউ কাউকে দেখেনি। আমাদের দুইজনের এই ইচ্ছা ছিল আমাদের একজন আরেকজনকে যখন দেখবো তখন সরাসরি দেখবো। আর সেই কথায় আজ সত্যি হলো। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আমাদের দেখা হলো। সে একটা সাদা ঢিলাঢিলা শার্ট সামনের দিকে ঝুলানো একটা ব্যাগ, চোখে কালো চশমা জিন্সের পেন্ট পরে আসে। আমি চিনেও চিনতে পারছিনা সেও আমাকে চিনতে পারছে না ,তবে একজন আরেক জনের সামনে ঘুরপাক খাচ্ছি। কনফার্ম হওয়ার জন্য সে আমাকে কল দেয় ও ফাইনালি আমাদের সাক্ষাৎ হয়।
(চলবে..........)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
অচেনা পাখি তাহলে কি নতুন নীড়ের সন্ধান পাবে?
জানতে অপেক্ষা করছি পরের পর্বের জন্য😜।
সেটা জানতেই পরের পর্ব পড়তে হবে অপেক্ষা করুন তাহলে পরের পর্বের জন্য
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে তাদের দেখা হওয়ার পরে কি ঘটলো। আর হ্যাঁ লুকিয়ে লুকিয়ে মোবাইল কিনলে এভাবে চালাতে হবে। কারণ মনের ভিতরে অনেক ভাই কাজ করে যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে কি হবে এটা ভেবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আসলে জীবনে কিছু কিছু সময় যায় এমন তবে সময়গুলো কিন্তু ভালোই যায় তখন না বুঝলেও এখন বুঝি হিহিহি।
বাহ!! ফাইনালি দেখা! সুন্দর মুহূর্ত। গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। ফেইসবুকের সত্যিকারে প্রেমগুলো এমনি ছিল। কেউ কাউকে না দেখে কথা বলা। পরের পর্বের অপেক্ষায় আপু।
বাস্তব জীবনের সাথে কিছু মিল রেখেই গল্পটা লিখেছি আশা করি পরের পর্ব পরেই বাকিটা বুঝতে পারবেন,
আমি শুধু চিন্তা করছি এই ১০০০ লোক কারা, যারা একটা মানুষকে না দেখে, না জেনে, না বুঝে, এমনকি ফটো অব্দি না দেখে শুধুমাত্র একটা ফেক নাম দেখেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিল। এরা কি এতটাই একা। 😰 তবে গল্পের সেকেন্ড অংশ যেখান থেকে শুরু হয়েছে অর্থাৎ অল্প অল্প করে প্রেমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আপনার গল্পটা, সেখান থেকেই বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে। বেশ ভালো লিখেছেন আপু আপনি। আশা করা যায় পরবর্তী পর্ব গুলো আরো বেশি ইন্টারেস্টিং হবে।
কথাটা কিন্তু ভুল বলেন নাই তবে 1000 না হলেও এক হাজারের কাছাকাছি থাকে কিন্তু, ট্রাই করার জন্য একটা মেয়ের আইডি খুলতে খুলে দেখতে পারেন হাহাহা
সত্যি বলতে কিছু কিছু ভালোবাসা কিন্তু এমন ভাবেই তৈরি হয় আর বেঁচে থাকে আজীবন ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গল্পটা পড়তে পড়তে ভীষণ ভালোই লাগছিল। চুরি করে স্মার্ট ফোন কেনা তারপর বান্ধবীদেরকে দিয়ে ফেসবুক খোলা। সবাইকে না জানিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা। তারপর একজনের সাথে চ্যাট করা এমনকি আস্তে আস্তে প্রেমে পড়া। বিষয়গুলো করতে যেন খুবই ভালো লাগছিল। এখন হচ্ছে সেই সময় এমন কি সেই মুহূর্ত। দুজনের দেখা হল। কিন্তু দেখার পর কি হবে? এটা জানার ভীষণ আগ্রহ রইলো?
বাস্তবের প্রেমের গল্প কিন্তু এটা ,,আমার কাছেও খুব ইন্টারেস্টিং লাগে বিশেষ করে ভালোবাসার গল্প লিখতে ,বাকিটা পরের পর্বে জানতে পারবেন।
প্রেমে ছ্যাকা খেলেও প্রেমের গল্প পড়তে এবং নাটক দেখতে বেশ লাগে এখনো আমার 😉। আমি তো বেশ মজা নিয়েই পড়ছিলাম আপু,, এমন জায়গায় শেষ করে দিলেন, পুরো ঘেঁটে ঘ হয়ে গেল। অচেনা পাখি কি খাচার সন্ধান ঠিক মত পেল!! এই চিন্তা তেই তো ঘুম হবে না। হিহিহিহি। মজা যতই করি, তবে বেশ ভালো লাগছে পড়তে সত্যি। পরের পর্ব কবে লিখবেন জানিয়ে দিন প্লিজ। মিস হয়ে গেলে আফসোস বাড়বে।
হাহাহা এটা একটা নেশাই বলতে পারেন কারণ যারা প্রেম করে তাদের প্রেমের গল্প গুলো আসলেই ভালো লাগে শুনতে ,অচিন পাখি খাঁচার সন্ধান পেয়েছে সেটা পরের গল্পেই জানতে পারবেন কিছুদিনের মধ্যেই।
খুব ভাল লাগলো পড়ে। তারপর তারপর কি হল আপু?? 🤔 জানতে চাই।অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। 🥰
নতুন নতুন ফোন নিয়ে এরকম অচেনা কত লোকের সঙ্গে যে পরিচয় হয়েছিল! বিশেষ করে ফেসবুকে!আর আগে তো আলাদাই কনসেপ্ট ছিল। মিস কলে প্রেম হতো লোকজনের। যদিও আমার সেসব কিছু কোনদিনও হয়নি। তবে এরকম মিস কলে বেশ কিছু ছেলে ফোন করেছে বা কথা বলার চেষ্টা করেছিল।যদিও আমাদের আমরা ফেসবুকটা ওই কিপ্যাড ফোনে প্রথম করি। গল্পটা বেশ ভালো দিকে এগোচ্ছে কিন্তু।