আলোর পিছনে অন্ধকার
আলোর পিছনে অন্ধকার
চার বছরের সম্পর্ক তাদের। দুই পরিবার থেকে কোনো পরিবার এই তাদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না। কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে পরিবারের কথার উপর ছেড়ে দেয়া কি সম্ভব? তাদের জেদ আর সম্পর্ক মেনে না নেয়ার মতো এত কঠোর একটা সিদ্ধান্ত কি তাদের চার বছরের ভালোবাসার সুন্দর সম্পর্কটাকে ভেঙ্গে দিতে পারবে! তাই তারা নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। একটা সময় তারা দুইজনই দুইজনের পরিবার ছেড়ে দিয়ে চলে যায় এক নতুন শহরে। যেখানে তাদেরকে কেউ খুঁজে পাবে না এমনকি তারাও আর কোনোদিন কারো সাথে যোগাযোগ করবে না। তাদের মনের মধ্যে পরিবারের উপর জেড কিংবা রাগ কাজ করছে কারণ তাদের পরিবারের কাছে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ও ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই আর তাই তারা আজ তাদের পরিবার থেকে এত দূরে।
নতুন শহরে বিয়ে করে নতুন করে সংসার শুরু করে তারা। ছেলেটি চাকরি খুঁজতে থাকে পাগলের মতো। যদিও তার বিয়ে করার এখনি কোনো প্ল্যান ছিল না তবুও ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য সেই বেকার ছেলেটিও জীবন যুদ্ধে নেমে পরে। ছোট একটা বাসা নিয়ে নিজেদের অল্প অল্প কিছু জিনিস জোগাড় করে সুন্দর ছোট্ট একটা সংসার শুরু হয় তাদের। কিছুদিনের মধ্যে বেকার ছেলেটিও ভালো একটি চাকরি পেয়ে যায়। এরপর আস্তে আস্তে তারা বেশ ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে থাকে। মেয়েটি তার পড়ালেখার মাঝখানে বাসা থেকে পালিয়ে আসার কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে তাই তার আগ্রহ ও স্বামীর ভালোবাসায় আবারো একটি কলেজে সে নতুন করে ভর্তি হয়। আর এভাবেই চলে যায় প্রায় দুই বছর।
তাদের জীবনে এখন আর কোনো কিছুর কমতি নেই। টাকা পয়সা, ভালোবাসা , ভালো থাকা , ভালো সবকিছু তাদের হয়েছে এখন প্রয়োজন আরেকজন নতুন মানুষের। আর সেই নতুন মানুষটা পৃথিবীতে আসলে যেন এই ঘরে আর কোনো কিছুর কমতি থাকবে না। চলে গেলো আরো দুইটি বছর আর এই মোট চার বছর সংসার করার পর একটি শুভ ও সুন্দর খবর আসে তাদের কাছে। ছেলেটি বাবা হবে এই কথা শুনে যেন খুশিতে আত্মহারা। এত দিন পর এত কষ্ট করার পর উপরওয়ালা যেন মুখ তুলে তাকিয়েছে তাদের দিকে। আসলে এটাই হয়তো ভালোবাসার এক অন্য রকম প্রমান। স্বামীর যেন স্ত্রীর উপর ভালোবাসা আরো বেড়ে যায় আর তার কাছে মনে হয় পৃথিবীতে থাকা সবচেয়ে সুখী মানুষ আজকের জন্য সেই।
কিন্তু এই আনন্দে ছেলেটি খুশি হলেও মেয়েটি একটুও খুশি না। নতুন মানুষের জন্য খুশি হলেও স্বামীর আনন্দে সে একটুও খুশি না। সে বার বার কিছু একটা তার স্বামীকে বলতে চাচ্ছে। কিন্তু স্বামী এই খুশির খবর শুনার পর থেকে যেন আর কিছুই শুনতে চাচ্ছে না। আমরা আগামী পর্বে জানতে পারবো আসলে সে কেন এতে খুশি না ও কি বলতে চাচ্ছে বার বার তার স্বামীকে কাছে।
(চলবে..........)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপু আপনার গল্পটা পড়ে প্রথম দিকে অনেক ভালো লাগল।আসলে কিছু কিছু বাবা মারা কখনো বুঝতে চায় না যে তাদের সন্তানেরা বড় হয়েছে, তাদের ভালো মন্দ বোঝে। যাইহোক অবশেষে দুজন পালিয়ে বেশ ভালোই করেছে । তবে ছেলেটার খুশি দেখে আরো অনেক ভালো লাগল কিন্তু মেয়েটি কি বলতে চায়, সেটার জানার অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার আলোর পিছনে অন্ধকার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো । বর্তমানে অনেকেই প্রেম করে । প্রেম করার পর মা-বাবা সে সম্পর্ক টাকে মেনে নিতে চাই না । তারা দুজন প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছে । তাদের সংসারে চার বছরে কোনো ঝামেলা হয়নি ।এখন তাদের একটি সুখবর আসবে শুনে তার হাসবেন্ড খুশি হলেও সে খুশি না । কেন খুশি না সেটা পরের পর্বে জানব । আর মেয়েটি কি বলতে চাচ্ছে তা পরের পর্বে জানার আগ্রহ রইলো । ধন্যবাদ আপু ।
এমন সময় শেষ করার কি দরকার ছিল আপু বলুন তো! আরেকটু লিখলেই তো পারতেন 😉। হিহিহিহি। সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো হয়তো এমনই হয় । শত বাধা আসলেও সেগুলো জয় করা সম্ভব। তবে আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে মেয়েটা যেহেতু নতুন করে আবার পড়াশোনা শুরু করেছে তাই পরীক্ষার কোন ইস্যুর জন্য কি এখন মা হতে চাইছে না !!
কোনো কোনো সময় সুন্দর ও অসাধারণ ভালোবাসার মোড় ঘুরে অন্য দিকে চলে যাই। ভালোবাসা জিনিষটা আসলেই অনেক অদ্ভুত। শুরুতে অনেক ভালো মনে হলেও পরে সেটা আর ভালো থাকে না।
ভালোবাসতে আমার আর এক ফোঁটাও বিশ্বাস নেই আপু। সবাই বেটার দেখে শুধু,, বেস্ট বলে কিছু নেই। স্বার্থে আঘাত লাগলেই ছুরি বসিয়ে দিতে পারে।
সত্যিই আপু, ভালোবাসার মানুষের সাথে ঘর সংসার করার মুহূর্তে নতুন অতিথির আগমনের মুহূর্তটা অত্যন্ত আনন্দের হয়। কিন্তু এখানে স্বামী একাই খুশিতে আত্মহারা। ঠিক এমন অবস্থায় স্ত্রী তার স্বামীকে কি বলতে চাচ্ছে, সেটাই জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।