বিশ্বাস ও ভালোবাসা ।

ভালোবাসা এবং বিশ্বাস এই দুইটা জিনিসের কারণে বর্তমানে পৃথিবী টিকে আছে। মানুষ আমরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আমরা একা একা কোনোদিন বাঁচতে পারবো না , হোক সেটা নিজের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে সকল প্রয়োজনীয়তার জন্য আর হোক সেটা নিজের একাকিত্বকে দূর করার জন্য। মানুষ একে উপরের উপর ওতপ্রোতভাবে নির্ভরশীল। আপনি ভাবুন আপনার আসে পাশে কেউ নেই , আপনি কতদিন বাঁচতে পারবেন ? খুব বেশিদিন আসলে বাঁচতে পারবেন না। ঠিক যেমন আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন এই সব কিছুর তেমনি আমাদের মনের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস ও ভালোবাসার।

এই দুনিয়ায় টিকে থাকা বেশ কঠিন যদি আপনি কারোর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এই পুরো পৃথিবী চলছে বিশ্বাস এর উপর। আপনি বিশ্বাস করেন বিধায় আপনি পৃথিবীতে টিকে আছেন । আচ্ছা ধরুন আপনার কারোর প্রতি এখন বিশ্বাস নেই , তখন আপনার জীবনটা কেমন হতে পারে ? আপনি কোনো কিছু করে শান্তি পাবেন ? আপনি ভাববেন আপনার যেহেতু কারোর প্রতি বিশ্বাস নেই তাহলে আপনার সাথে যে কেউ যে কোনো কিছু করে ফেলতে পারে। একটা খাবার নিয়েই চিন্তা করুন , আপনি যেমন এখন বাইরে গিয়ে এখন নিশ্চিন্তে খাবার খাচ্ছেন যদি আপনার তাদের প্রতি বিশ্বাস না থাকতো তাহলে কি আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারতেন ? অবস্যই না।

তাই আমরা যেমন সবাইকে বিশ্বাস করি এবং তারা আমাদের বিশ্বাসকে রক্ষা করে তেমনি আমাদেরও হওয়া উচিত। যদিও অনেক সময় বিশ্বাস অবিশ্বাস মান অভিমান হয়ে থাকে তবে ঐসব কথা আলাদা। আমরা এই বিষয় খেয়াল রাখবো যে আমাদের উপর থেকে যাতে কারোর বিশ্বাস না হারায়। এখন আশা যাক ভালোবাসার কথা নিয়ে , ভালোবাসা এমন একটা অনুভূতি যেটা আমাদের প্রশান্তি দেয়। যেই অনুভূতি আপনার মনকে সুন্দর রাখে। ভলোবাসার মাধ্যমে ভালোবাসা বাড়ে। তাই আমরা চেষ্টা করবো যাতে ছোট বড় সবাইকে সমান ভাবে ভালোবাসতে পারি। কেননা আপনি যত ভালোবাসা দিবেন আপনিও তত ভালোবাসা অর্জন করতে পারবেন।

ছোট এই দুনিয়ায় যদি আমরা যদি সাদামাটা মন নিয়ে বেঁচে যেতে পারি তাহলে পৃথিবীতে না থাকার পরও আমাদের কথা সবাই স্মরণ করবে। তাহলে কেন এই হিংসা বিদ্বেষ ? ভালোবাসতে ক্ষতি কি ? ভালোবাসায় যদি প্রকৃত সুখ নিহিত থাকে তাহলে আমরা কেনই বা ভালোবাসবো না একে অপরকে ? ভালোবাসা এবং বিশ্বাস এই দুনিয়ায় অর্জন করতে পারলে মৃত্যুর পরও আপনি সবার মনের মধ্যে অমর হয়ে থেকে যেতে পারবেন।