শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা।
"পড় তোমার প্রভুর নামে" মুসলিমদের পবিত্র কোরানে শুরুতেই এই আয়াতের উল্লেখ রয়েছে। শুরুতেই সকল মানব জাতিকে জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে। অন্যসব ধর্ম গুলোও তার ব্যতিক্রম নয়। অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন করা সকল মানব জাতির জন্য অত্যাবশকীয়। কথায় আছে "শিক্ষা মানব জাতির মেরুদন্ড" যেটা আপনি আমি সবাই উপলব্ধি করতে পারি। শিক্ষা শুধু মানুষকে জানার দিক থেকে জ্ঞানী নয় বরং তার মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায়। সত্যি কথা বলতে আমি অশিক্ষিতদের ছোট করে বলছি না তবে একজন অশিক্ষিত এবং শিক্ষিত মানুষদের আচরণের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকে।
শিক্ষা শুধু আমাদের জ্ঞান এর ভান্ডারকে প্রসারিত করে না। এটা আমাদের বিনয়ী হতে শেখায় , কোথায় কিভাবে কার সাথে কথা বলতে হয় সেটা শিখায়। শিখায় কিভাবে মানবজাতির কল্যাণ বয়ে আনতে হয়। অর্থাৎ একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষার কোনোই বিকল্প নেই। শিক্ষা সত্যি দারুন একটা বিষয় , এটি আপনাকে ভিতর থেকে মানুষ করে তুলবে। আপনার মধ্যে সকল অহংকার , হিংসা কে মুছে ফেলবে। আপনাকে করে তুলবে বিনয়ী এবং একজন বিশাল মনের মানুষ। প্রকৃত শিক্ষিত ব্যক্তি কখনোই নিজের মনের মধ্যে হিংসা বা অহংকার পোষণ করে না।
কথায় আছে "মূর্খ বন্ধুর থেকে আমার শিক্ষিত শত্রুও ভালো" এইটার একটা গভীর মানে রয়েছে। একজন শিক্ষিত মানুষ এমন কোনো কিছু করবে না যেটা কিনা সত্যি সত্যি একজন মানুষত্বহীন মানুষের পরিচয় বহন করবে। তারা সব সময় ভেবে চিন্তে কাজ করে। তারা কখনোই মনুষত্ব হীনতার পরিচয় দিবে না। কিন্তু একজন মূর্খ ব্যক্তি যার মধ্যে মনুষত্বের বিন্দু পরিমানও নেই সে আপনাকে যে কোনো কিছু করে ফেলতে পারে। সে কখনোই কিছু করার আগে ভাববে না। এইটাই হচ্ছে বড় পার্থক্য , জীবনে চলার পথে আমরা যদি সঠিক সিদ্ধান্তই ঠিক ভাবে না নিতে পারি তাহলে সত্যিই জীবনটা অনেক কঠিন হয়ে পরবে আমাদের জন্য।
শিক্ষা আমাদের জ্ঞান , মন , মনুষত্ব সব কিছুর জন্য জরুরি। " শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড " তাতে আর কোনো সন্দেহই থাকে না। তবে বর্তমানে সকলে শিক্ষিত হলেও সবাই কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী হতে পারে না। শিক্ষিতদের মধ্যেও ২ টি ভাগ হয়ে গিয়েছে , একটা ভাগ হলো যারা কিনা সত্যি কারের অর্থে শিক্ষিত। যারা শিক্ষার মাধ্যমে তার মনুষত্বকে জাগ্রত করেছে। আর আরেকটি ভাগ হলো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও তারা তাদের মনুষত্বকে জাগ্রত করার চেষ্টাও করেনি। লোভ , লালসা তাদের মনুষত্বকে ধামা চাপা দিয়ে রেখেছে। যেটাকে তারা শিক্ষার মাধ্যমেও জাগ্রত করতে পারেনি। যদিও পারেনি বললে ভুল হবে , আসলে তারা সেটা কখনো জাগ্রত করতে চায়ই নি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
কুরআনের প্রথম বাক্য ই ছিল পড় তোমার প্রভুর নামে।তাই বলবো শিক্ষার গুরুত্ব সবাই কম-বেশি জানে।তবে এটা ঠিক বলেছেন আপু আজকাল শিক্ষিত দুই রকমের। এক রকম তারা সত্যিকারের শিক্ষিত। তারা তাদের বিবেককে জাগ্রত করেছে।আর এক রকমের শিক্ষিত তারা বিবেক জাগ্রত না করেই শিক্ষিত।তবে খুব বেশি দরকার সত্যিকারের শিক্ষিত হয়ে বিবেক কে জাগিয়ে তোলা।
মানুষের জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ শিক্ষা ছাড়া চোখ থাকতেও আমরা অন্ধ। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষিত মানুষ পাওয়া গেলেও,সুশিক্ষিত মানুষ পাওয়াটা মুশকিল। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন করার নাম শিক্ষা না। বরং সুশিক্ষার মাধ্যমে সবাইকে আলোকিত করার নাম শিক্ষা। যা আজকাল দেখাই যায় না। যারা সুশিক্ষিত তারা প্রতিটি সমাজের সম্পদ,এককথায় বলতে গেলে দেশের সম্পদ। এখনকার দিনের শিক্ষিত মানুষের কর্মকাণ্ড এবং মূর্খ মানুষের কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিশেষ কোনো তফাৎ দেখা যায় না। যাইহোক সবাই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক,সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।