সাথী পাঠাগারে সাহিত্য আড্ডা ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। গতকাল সাথী পাঠাগারে নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। আমিও এই আড্ডায় অংশ নেই। গতকালকে সাথী পাঠাগারে নীলফামারী সাহিত্য একাডেমীর সাহিত্য আড্ডা নিয়ে আজকের আমার এই পোস্ট। করি আপনাদের ভালো লাগবে, তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
গতকাল শনিবার ছিল, সাহিত্য আড্ডার সময় ছিল বিকেল পাঁচটায়। যেহেতু বিকেল বেলা সাহিত্য আড্ডা ছিলো, তাই সকাল বেলা আমি আর আম্মুর সাথে পাঠাগারে যাই বিকেলের অনুষ্ঠানের জন্য সবকিছু ঠিক করতে। আমি আর আম্মু মিলে পাঠাগারের মাঝে যেই টেবিলটি ছিলো সেটি সরালাম পরে ওই জায়গায় চেয়ারগুলো সাজিয়ে দেই। এরপর লাইটিং ঠিক করলাম। চেয়ার সাজানোর আগে পাঠাগারটি ঝাড়ু দিয়ে নিই। এরপর চেয়ারগুলো লাইন করে সাজিয়ে নিই। অতিথির আসনগুলো ভালোমতো সাজিয়ে রাখি।এরপর সাউন্ড বক্স চেক করে রাখি ঠিকঠাক কাজ করছিলো না এটা দেখে। এই কাজগুলো করতে করতেই দুপুর হয়ে যায়।রুমটি একদম গুছিয়ে দুপুর বেলা পাঠাগার থেকে বের হয়ে আসি।
এরপর বিকেল বেলা একে একে সবাই আসতে থাকে। সবাই এসে আসন গ্রহণ করতে থাকে। নীলফামারী এবং নীলফামারীর বাইরে থেকে অনেক কবি সাহিত্যিক এসেছিলো এই সাহিত্য আড্ডায়। সবাই ছিলো সাহিত্য এর সাথে জড়িত। সব অতিথি একে একে আসতে থাকে, সকল অতিথি আসার পর আমাদের সাথী পাঠাগারে অনুষ্ঠীত সাহিত্য আড্ডা শুরু হয়ে যায়।
আমাদের সাহিত্য আড্ডার প্রধান অতিথি ছিলো ১৯৯১ সালের বাংলাদেশের এম.পি জনাব সামসুদ্দোহা স্যার। উনিও সাহিত্য জগতের মানুষ। ওনার ও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের সৌভাগ্য ছিলো উনি আমাদের সাহিত্য আড্ডার জন্য সময় বের করে এখানে এসেছিলো। প্রধান অতিথি আসার পরেই আমাদের সাহিত্য আড্ডা শুরু হয়ে যায়। আমাদের আড্ডায় উপস্থাপন ছিলো নীলফামারী সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শান্তিপদো দাদা,উনি ওনার বক্তব্যের মাধ্যমে আড্ডাটি শুরু করে।
এরপর যেই কবি সাহিত্যিকরা এসেছিলো সবাই একে একে কবিতা, গান গেয়ে শোনায়। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু হয়। উনি বেশ অনেকক্ষণ ধরে বক্তব্য দেয়, ওনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করে। সবাই মনোযোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য শুনতে থাকি। উনি আমাদের সবাইকে পরামর্শ দিলেন কিভাবে কি করতে হবে আমরা সবাই ওনার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ বাক্য আছে, "এক্সপেরিয়েন্স বিট স্কিল" এর মানে হলো অভিজ্ঞতা দক্ষতাকেও হারিয়ে দেয়। আর এরকম অভিজ্ঞ একজন মানুষের অভিজ্ঞতা শুনে আমরা অনেক কিছু উপলদ্ধি করতে পারি।
এরপর সবার বক্তব্য দেয়া শেষ হলে, আমাদের আড্ডার শেষ পর্যায় চলে আসে। নীলফামারী সাহিত্য আড্ডা এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডিসিশন সবাই মিলে নেয়। এই যেমন মাসিক চাদা, ব্যাংক একাউন্ট, কতদিন পর পর সাহিত্য আড্ডা হবে ইত্যাদি। এইগুলা ডিসিশন নেয়ার পর নাস্তার ব্যবস্থা ছিলো সবাইকে একটি করে নাস্তার প্যাকেট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য আড্ডাটি শেষ করি।
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Hard work beats talent :-)