স্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্ট ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আরেকটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে আমি আমার প্রাক্তন বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম কিছু কাগজপত্র আনার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। তাই টুর্নামেন্টের ম্যাচটি দেখতে থাকি। আজ স্কুলের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর একজন ছাত্র ছিলাম। নীলফামারীর মধ্যে নামকরা বিদ্যালয় এটি। এই বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে আমি এস এস সি পাশ করি। বর্তমান আমি এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন একজন ছাত্র। সব থেকে সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে আমার এই বিদ্যালয়ে। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঁচ বছর এই বিদ্যালয় এ পড়াশোনা করেছি। তাই যখনি বিদ্যালয়ে যাই অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
আজকে দুপুরের পর আমি নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় যাই কিছু কাগজপত্র নেওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখি বিদ্যালয়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। আমরা যখনই বিদ্যালয়ে ছিলাম তখনও এই ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছিল। আমরাও ফেলেছিলাম এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। তাই অনেক স্মৃতি চোখের সামনে চলে আসে। আমি যখন বিদ্যালয় প্রবেশ করি তখন ফুটবল খেলাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি স্যার ম্যাডামদের সালাম দিয়ে খেলা দেখতে বসে পড়ি।
খেলা দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ পরই হাফ টাইম হয়ে যায়। প্রায় দশ মিনিট বিরতি শেষে দ্বিতীয় অর্ধের খেলা শুরু হয়। আজকে খেলা ছিল ক্লাস নাইন ও ক্লাস টেনের। দুই দলেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিল একটি গোলের জন্য। ক্লাস ৯ বেশি অ্যাটাকিং খেলছিল। কিন্তু ক্লাস টেনের ডিফেন্ডার বেশ ভালো ছিল। তাই একটার পর একটা চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল। ক্লাস টেন ও কাউন্টার অ্যাটাক ভালোই দিচ্ছিল। এই খেলা চলতে থাকে। ক্লাস নাইন ও ক্লাস টেনের শিক্ষার্থীরা সহ অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থী ও স্যার ম্যাডামরা খেলাটি কি উপভোগ ও নিজের পছন্দের দলকে সাপোর্ট করছিল।
শেষ অব্দি দুই দলে অনেক চেষ্টা করছিল একটি গোলের জন্য কিন্তু কোন দলেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। দুই দলই একটার পর একটা অ্যাটাক দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন দলেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না। শেষ অবদি ম্যাচটা ড্র হয়। এবং ম্যাচের পরিনতি পেনাল্টি তে রূপ নেয়। দুই দল এই পাঁচটি করে পেলান্টি পায়। পেনাল্টি সময় একদম টানটান উত্তেজনা কাজ করছিল সবার মনে। সবাই গোলবারের পাশ দিয়ে গোল করে দাঁড়িয়ে পেনাল্টি দেখতে থাকে। পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে ক্লাস টেন জিতে যায়। জিতার পর ক্লাস টেনের শিক্ষার্থীরা উদযাপনে মেতে ওঠে।
আজকের মত এখানেই। এতক্ষণ ধরে আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইন্টার পরীক্ষা দিলাম এই বছর। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
নিজের পুরাতন স্কুলে গেলে তখন আগেকার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে । যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধু পুরানো কথাগুলো মনে পড়তে থাকে । ভালো একটি ম্যাচ উপভোগ করেছেন । একদম শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল । পেনাল্টি দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে । শেষ পর্যন্ত টেন পেনাল্টিতে জিতে গেল নাঈন হেরে গেল । ভালই লেগেছে আপনার খেলার গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে আমি সামনের উপর খেলাটি দেখলাম ।
দুঃখিত ভুলক্রমে ডাউন ভোট লেগে গেছিল মোবাইল হ্যাং করার কারণে। যাইহোক অনেক সুন্দর ভাবে স্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এই সুন্দর খেলাধুলার ফটোগ্রাফির সাথে বর্ণনা করে ফিরে গেলাম যেন আজ থেকে ১৪-১৫ বছর পূর্বে স্কুল লাইফের সেই পুরনো স্মৃতিতে। যখন আমরাও এভাবে ঠিক ফুটবল খেলতাম অথবা বন্ধুদের খেলা দেখতাম।