গল্প :- অতিরিক্ত আবেগ ভালো না। (প্রথম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ10 hours ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG_20251231_172828.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অতিরিক্ত আবেগ ভালো না। কিছু কিছু মানুষ আছে অতিরিক্ত আবেগ দেখায় এবং এই আবেগের কারণে নিজের ক্ষতি হয়। আবার কিছু মানুষ আছে আবেগের কারণে এমন এমন ভুল করে যেগুলোর কারণে সারা জীবন নিজেকে কষ্ট করতে হয়। আর আবেগের কারণে অনেক সময় মানুষ একদম নিঃস্ব হয়ে যায়। আমার শশুরদের বাড়ির পাশে একটি ঘটনা। তাদের বাড়ির পাশে একটি পরিবারের শুধু একটিমাত্র ছেলে। তাদের আর কোন ছেলে মেয়ে নেই। ছেলেটাকে তারা ছোটকাল থেকে সুন্দর করে মানুষ করেছে। এবং ওই ছেলেটির জীবনে যে জিনিস চেয়েছে তার বাবা সেই জিনিস তাকে দিয়েছে। বলতে গেলে ছেলের আবদার পূরণ করার জন্য মা-বাবা সব সময় চেষ্টা করতেন।

আর ছেলেটির নাম হচ্ছে রহিম। রহিম তেমন পড়ালেখা করে নাই। তবে তার বাবার অনেক জায়গা সম্পত্তি ছিল বিদায় এই কারণে তেমন কোন ছিনতাই করে নাই। যখন রহিম বড় হয়েছে তখন তার বাবা তাকে দেখে শুনে বিয়ে করাবে ঠিক করেছিল। আর ওই সময় রহিমের মা বলতে লাগলো। বাহিরে কোন মেয়ে দেখার দরকার নেই। তার বোনের মেয়েকে তার ছেলে রহিমকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসবে। এই কথা কিন্তু রহিমের মা বলার সাথে সাথে রহিমের বাবা একমত হয়েছে। তবে রহিমের খালাতো বোন সুন্দর এবং পড়ালেখা করেছে। যদিও রহিমের খালাতো বোনকে বিয়ে দিতে তার পরিবার রাজি ছিল না রহিমের কাছে।

পরবর্তীতে সবাই বলার কারনে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। কারণ রহিমের পড়ালেখা না থাকলেও জায়গা সম্পত্তি আছে। অনেক পরিবার দেখে জায়গা সম্পত্তি থাকলে ওইখানে সম্বন্ধ করতে রাজি থাকে। তবে দিন তারিখ ঠিক করে রহিমকে তার খালাতো বোন বিয়ে করালেন। এরপর রহিম খালাতো বোনকে নিয়ে খুব সুখেই আছে। আর রহিম সবসময় বাড়িতে থাকে তার বাবার সাথে টুকটাক কাজ করে। আস্তে আস্তে রহিমের পরিবারে একটি নতুন অতিথি আসলো। কারণ নতুন অতিথি আসলে ওই সময় কিন্তু পরিবারের মোটামুটি একটু খরচ বাড়ে। তখন রহিমের ওয়াইফ বলতে লাগলো রহিমকে ছেলে জন্ম হয়েছে তার জন্য টাকা ইনকাম করার জন্য।

রহিম ও চিন্তা করলেন বাহিরে গিয়ে কাজ করলে তাহলে কিছু টাকা হবে এবং ছেলের জন্য ভালো হবে। বাড়িতে তো রহিমের মা-বাবা আছে বিদায় তেমন অসুবিধা নেই। এরপরে রহিম বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে গেলেন এবং ওইখানে চাকরি করবে বলে। তবে রহিম দের বাড়িতে কোন কিছুর অভাব নেই এই কারণে রহিম ঢাকা গেলেও তেমন টেনশন নেই। বিগত কয় মাস ধরে যখন রহিম ঢাকা আছে মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসে। এরপরে রহিম ঢাকা যাওয়ার পর বাড়িতে আসে না তেমন খোঁজখবর রাখেনা। এদিকে রহিমের ছেলের বয়স এক বছর হয়ে গেল। রহিম তার ছেলেকে দেখার জন্য আসে না। একদিন হঠাৎ করে রহিম একটি মহিলাকে নিয়ে আসলেন বাড়িতে ।

পরিবারের সবাই জিজ্ঞেস করতে লাগলো মহিলাটিকে। তখন রহিম বলতে লাগলো এই মহিলাকে সে বিয়ে করেছেন। তখন রহিমের ওয়াইফ এবং তার মা-বাবার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। জিজ্ঞেস করতে লাগলো তোমার ওয়াইফ এবং ছেলে থাকার পর তুমি কেন একে বিয়ে করলে। এবং একে যেখান থেকে নিয়ে আসলে ওইখানে দিয়ে আসার জন্য তার মা-বাবা বলতে লাগলো। তবে রহিম বলতে লাগলো এই মহিলাকে সে বিয়ে করেছে সে এই বাড়িতে থাকবে। এই নিয়ে কিন্তু তাদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর রহিমের প্রথম ওয়াইফের পরিবার তাদের বাড়িতে আসলো। এবং বাড়িতে লোক ডাকলো এবং বৈঠক বসালেন। আজকে এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরের পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। (চলবে)

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

💪 Let's strengthen the Steem ecosystem together!

🟩 Vote for witness faisalamin

https://steemitwallet.com/~witnesses
https://www.steempro.com/witnesses#faisalamin