গল্প :-এই কেমন বাবা।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গল্পটি কিছু মাস আগের একটি বাস্তব ঘটনা। আমার শ্বশুরের এলাকার একটি পরিবারের ঘটনা। একটি ফ্যামিলিতে দুটো ভাই আছে। দুটি বাইয়ে বিয়ে করে আলাদা আলাদা হয়ে গেল। আজকে আমি যার কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেই ফ্যামিলির তাদের ছোট ছেলে। লোকটির নাম হচ্ছে আজাদ। আজাদ মানুষ হিসাবে তেমন ভালো না খারাপও না। আজাদ কিছু বছর আগে বিয়ে করেছেন তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে।
হঠাৎ করে তাদের সংসারে অভাব লেগে গেল। যদিও আজাদ কোন কাজ করে না শুধু বসে বসে খায়। আমি যতটুক জানি আজাদ টাকার জন্য বউয়ের সাথে ঝগড়া করে তাদের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য। এভাবে তার ওয়াইফের সাথে সবসময় ঝগড়া করে বিধায়। একদিন তার ওয়াইফ হঠাৎ করে বিষ খেয়ে ফেলেছেন। যদিও তার ওয়াইফের বাবার বাড়িতেও অবস্থা তেমন ভালো না। এ কারণে মহিলাটি অত্যাচার এবং কষ্ট সহ্য না করতে পেরে বিষ খেলেন।
যদিও আমার শ্বশুর এলাকা থেকে হাসপাতাল অনেক দূর প্রায় ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার বলেছে মহিলাটি মারা গেছে। এদিকে তার হাজবেন্ড ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। যদিও তার ওয়াইফ মারা গেছে তার শশুর শাশুড়ি কোন মামলা করে নাই। তারা হাসপাতাল এবং থানা কোনমতে টাকা দিয়ে সমাধা করেছে। এরপর মহিলাটিকে দাফন করে ফেলল। এদিকে তার একটিমাত্র ছেলে আছে তাকে দেখাশোনা করার কোন লোক নেই।
বাচ্ছাটা দাদী আছে দাদা নেই। এবং বাচ্চার নানার বাড়ির লোক গুলো বলতেছে অমানুষের ছেলে অমানুষ হবে এই কারণে তাকে তারা দেখাশোনা করবে না। আসলে বাবার কারণে ছেলেটার নামের পাশে বদনাম। এই কারণে ছেলেটির দেখাশুনা করার কোন লোক নেই। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে ছেলেটির বাবা আসলো বাড়িতে। এতদিন ছেলেটিকে দেখাশুনা করেছে আজাদের বড় ভাইয়ের ওয়াইফ। বিকেল বেলা কিছু লোক আসলো তাদের বাড়িতে। কিছুক্ষণ পরে আজাদ তার ছেলেকে ওই লোকদেরকে দিয়ে দিলেন। তারা আজাদকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিলে এবং ছেলেটির দাবি যেন আর না করে।
ছেলেটিকে আজাদ তাদের কাছে বলতে গেলে বিক্রি করে দিয়েছে। যারা ছেলেটিকে নিয়ে গেলেন তাদের কোন ছেলে সন্তান নেই তারা এই ছেলেটিকে লালন পালন করবে। আসলে বাবা হিসেবে আজাব কি দায়িত্ব পালন করেছে ছেলেটির। টাকার বিনিময়ে শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকে অন্য মানুষদেরকে দিয়ে দিলেন। ছেলেটি বড় হলে একসময় বলবে তার বাবাটি ছিল ও অমানুষ। তার বাবার কারণে তার মা টা দুনিয়া থেকে চলে গেল। আসলে আজাদ এই কেমন বাবা। এরকম বাবা থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1736707769380827324?t=kpCCD19q_MpdW9E_lFcltw&s=19
একটি মর্মান্তিক ঘটনা শেয়ার করেছেন আপু। আপনার পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে এরকম হাজারো আজাদ আমাদের আশেপাশে আছে।এরা কাপুরুষ -অমানুষ। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন এরকম হাজারো আজাদ আমাদের আশেপাশে আসে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আজাদের মতো এমন অনেক অলস প্রকৃতির লোক আছে, যারা কাজ করবে না এবং বউকে বলবে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে। এমন লোকদের সাথে আসলে সংসার করা যায় না। আজাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলো তার স্ত্রী। আজাদ অবশেষে নিজের ছেলেকে বিক্রি করে দিলো মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে। আসলে এমন কুলাঙ্গার কারো স্বামী এবং কারো বাবা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আজাদ এত জঘন্য ব্যক্তি যে তার ওয়াইফ কে সব সময় টাকা আমার জন্য বলত তাদের বাড়ি থেকে। তার ওয়াইফ মরে গিয়ে বেঁচে গেল। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আজাদ ভাই খারাপ তবে এতই খারাপ কখনো কল্পনাই করি নাই। তার ওয়াইফ মারা গেল তার কারণে। তবে তার একটি মাত্র বাচ্চাকে সে এভাবে অন্যের হাতে দিয়ে দেবে এটি কল্পনার বাইরে শুধু টাকার জন্য। তবে আজাদ ভাই হিংস পশুর চেয়ে ভয়ংকর। এরকম বাবা থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। বাস্তব একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আজাদ হিংস পশুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। এবং এরকম বাবার কারো না থাকাই ভালো। খুব সুন্দর করে গল্পটি পড়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরা পোস্ট টি পড়ার পর যা বুঝলাম তাতে করে ওই খারাপ লোকের হাত থেকে ছেলেটা বেচে গেছে। বিক্রি করেনি বাচিয়ে দিয়েছে। আর বাচ্চা নানার বাড়ির মানুষ গুলো তো ভীষন খারাপ অতটুকু নিস্পাপ বাচ্চা কে বাবার সাথে তুলনা করে।আসলে বাচ্চা টির ভাগ্য টাই খারাপ।ধন্যবাদ আপু বাস্তব গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আজাদের মতো এমন বাবা যাদের ভাগ্যে রয়েছে তাদের জীবনে অশান্তি ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। আজাদের স্ত্রী তো বিষ খেয়ে মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছে কিন্তু মাঝখানে বাবা মা হারা হলো ছেলেটি। হয়তো আজাদ ছেলেকে বিক্রি করে খারাপ কাজ করেছে কিন্তু আমার মনে হয় এটাই ভালো হয়েছে। এখন ছেলেটিকে আর কারো অবহেলা পেতে হবে না সে যাদের কাছে গিয়েছে তারা ভালো মানুষ হলে খুব আদর যত্নে রাখবে। তার বাবা খারাপ ঠিক আছে কিন্তু মা ও তো ছেলের কথা চিন্তা করলো না মরে গেলো। মাঝখানে পড়ে নিষ্পাপ বাচ্চাটি শাস্তি পেলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।