জেনারেল রাইটিং || বাংলাদেশের সরকারি সার্ভিসের করুন দশা
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে বাংলাদেশের সরকারি সার্ভিসের করুন দশা শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আসলে আমাদের দেশের সরকারি যে দপ্তরগুলো রয়েছে সেখানে আমাদেরকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ সেই সমস্যা প্রতিনিয়ত সকলেই ভোগ করে যাচ্ছেন । কখনোই যেন এই সমস্যার সমাধান হয় না। সরকারেরও এই বিষয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই৷ তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী কোন বিষয়ে একটু সময় দিবে, এরকম কোন মনোভাব তাদের মধ্যে দেখা যায় না৷ শুধুমাত্র সাধারণ মানুষেরই বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। এই থেকে মানুষজন বিভিন্ন কারণে এই দেশের এই সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রতি একেবারেই তিক্ত হয়ে রয়েছে৷ এই সরকারি ব্যবস্থা গুলোর প্রতি একেবারে ঘৃণা চলে এসেছে।
বাংলাদেশের যে সকল সরকারি অফিসগুলো রয়েছে সে সকল অফিসগুলোতেও হয়তো এরকমই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়৷ তবে বেশিরভাগ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বোর্ড অফিস অথবা উপজেলা কার্যালয়ে। সেখানে যে সকল কর্মকর্তারা থাকেন তাদের যে ভাব দেখা যায় তাদের দেখলে মনে হয় তারা যেন একেবারে বড় কোনো ব্যক্তি এবং তাদের মত পৃথিবীতে আর বড় কেউ নেই৷ তারা এতটাই ভাব নিয়ে থাকে যে তাদের মতো টাকা পয়সাওয়ালা মানুষ অথবা সরকারি চাকরি করে এরকম মানুষ যেন আর কেউ নেই৷ তারা এমন একটি ভাব নিয়ে বসে থাকে এবং তাদেরকে একবার কথা বলার পরেও তারা যেন কোনভাবেই শুনতে চায় না৷ তাদেরকে বারবার বলার পরে তারা সেই কথাটি শুনে৷ আর তাদের ব্যবহারের কথা তো আর কি বলবো৷
ঠিক সেরকমই একটি ঘটনা আমি আপনাদের মাঝে উদাহরণস্বরূপ বলে দিতে চাই। তাহলে আপনাদের বুঝতে অনেকটাই সুবিধা হবে৷ যদি এই বিষয়টি আপনারা জেনে রাখেন তাহলে আপনাদের ভবিষ্যতে এরকম অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো শেয়ার করতে পারবেন। আসলে বাংলাদেশের এরকম ব্যবস্থাকে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এই উদাহরণটি অনেক প্রয়োজন৷ এই উদাহরণটি যদি আপনারা শুনেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আমাদের এই দেশে সরকারি যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে সেগুলো কি পরিমাণে নড়বড়ে৷ এই ব্যবস্থার কারণেই অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে অনেকেই সে সরকারি কাজগুলো করতেও চায়না এবং যদি কোন ধরনের সমস্যা তারা করে ফেলে সেই সমস্যাগুলো কোন ভাবে তারা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসে না৷ তারা বলে ভুল হয়েছে তো ভুলই থাকুক৷ এই ভুল সমাধান তো হবেই না৷ শুধু শুধু কষ্ট করে কি লাভ৷
তাহলে চলুন সে উদাহরণটি শুরু করা যাক৷ আমাদের দেশের একজন নাগরিক সে বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিল৷ যেটি আমাদের দেশের নাগরিকত্বের একটি মূল বিষয়৷ সে এই দেশে আবেদন করার পরে ভারতে চলে গিয়েছিল ভ্রমণের জন্য৷ সেখানে সে অনেক সময় ছিল৷ সে সেখানে গিয়েও তার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিল৷ সেখানে সে কিছুদিন ছিল৷ সে সবকিছু উপভোগ করার পরে ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করে। পরে তার ভোটার আইডি কার্ড চলে আসলো৷ এর পরবর্তীতে সে ভারতের নাগরিক হয়ে গেল৷ সে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে এসে আবারো বাংলাদেশে ফিরে আসলো তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য৷ যখন সে বাংলাদেশ এসে দেখতে পারে যে তার আবেদনও এখনো পর্যন্ত করা হয়নি৷ সে যেভাবে কাগজপত্র দিয়েছিল ঠিক সেইভাবে সে কাগজপত্রগুলো পড়ে রয়েছে৷ সে এই বিষয়টি দেখে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেল এবং সে এই দেশের সেই সরকারি ব্যবস্থা গুলোর কথা ফুটিয়ে তুলতে লাগলো৷ সে ভারতে যে সরকারি ব্যবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল সেই সার্ভিসের কথাও সে বলতে থাকে৷ আসলে এরকম অনেক স্থানই রয়েছে যেখানে সরকারি ব্যবস্থাগুলোর কোন উন্নতি নেই৷ প্রতিনিয়ত অবনতি ঘটছে৷
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১০.০৫.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1788755642414719355?t=5_l2cNtWxZJvCuF0g6PFgw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মূল্যবান সাপোর্ট এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে সব জায়গাতেই একই রকম অবস্থা ভাই। কোন জায়গায় গিয়ে আপনি ভালো সার্ভিস পাবেন না। সব জায়গাতে দালালে ভরে গেছে। তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের কথা কর্ণপাত করে না। তাদেরকে একটি কথা দুইবার বললে তাদের ব্যবহার খারাপ হওয়া শুরু করে। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি সবগুলো বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্ৰাম ভাষায় একটা কথা আছে, সরকারি মাল দরিয়াতে ঢাল। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারি অফিস এবং প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে কেমন জানি একটা পরিবর্তন চলে এসেছে। এখন যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই সরকারি অফিস গুলো কে ব্যবহার করছে।আর বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ সরকারী কাছে টাকা ছাড়া কাজ করা হয় না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার।
একদম ঠিক বলেছেন। টাকাই যেন এখন সব।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থা গুলো একদমই নড়বড়ে হয়ে গেছে। কারো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ করতে যেন হিমশিম খেতে হয়। তেমনি আপনার উদাহরণের লোকটার বিষয়টা পড়ে আমারও হাসি পেলো। এই লোকটা বাংলাদেশের আইডি কার্ড বানাতে দিয়েও পেল না। অন্যদিকে ভারতে গিয়ে সে তার পরিচিতি গড়ে তুলল। আর সেখান থেকে এখানে আসার পরেও এই কাজটা সম্পূর্ণ হলো না। তাহলে এদিক থেকে দেখা যায় ভারত এবং বাংলাদেশের কাজের মধ্যেও অনেক বেশি তফাৎ রয়েছে। আপনার আজকের বিষয়টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
একদমই ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশের ব্যবস্থার থেকে ভারতের ব্যবস্থা অনেক ভালো।
আসলে আমাদের বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত এইসব ব্যাপারে আমাদেরকে ভুগতে হয়। কি করার এই দেশ থেকে তো আর কোথাও যেতে পারবো না। তবে একজন বাংলাদেশী নাগরিকের কথাটা শুনে সত্যিই অনেক হাসি পেল। যে জায়গায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেল না অথচ ইন্ডিয়া এগিয়ে খুব সহজেই পেয়ে গেল। আর এখানে আসার পরেও এখনো এর কোন নড়চড় হলো না। সত্যি আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া বাংলাদেশের সরকারি দপ্তর গুলোর কথা আর বলে লাভ নেই। সেই ব্যাক্তি যদি ভারতে পাঁচ বছরও কাটিয়ে দেশে আসে,তাহলে দেখবে তার এনআইটি কার্ডের কাগজ পত্র পোকা খেয়ে ফেলেছে। কিন্তুু কাগজ জমা হয়নি। এদেশে সব কিছু হয় পয়সায় ভাই পয়সায়। পয়সা থাকলে সব কিছু পকেটে। ধন্যবাদ।
একেবারে ঠিক বলেছেন। আর যদি হয়ও তাহলে ভুলের আর শেষ থাকবেনা।
শুধুমাত্র বোর্ড অফিস কিংবা উপজেলা কার্যালয় নয় ভাই, যেকোনো সরকারি সেক্টরে এই একই সমস্যা। তারা এমন ভাব নেয় মনে হয় যে, তাদের সামনে সাধারণ জনগণ কিছুই না। তবে ভারতের কিছু কিছু সরকারি কার্যালয়গুলোতে মোটামুটি কাজ করে তারা। কিন্তু আপনার সেই লোক দুই দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করল কেন বুঝলাম না। হা হা হা....🤣