এ বছরের মতো শেষ হয়ে গেলো বাঙালির অন্যতম বড় উৎসব দূর্গা পুজো।।১৫ অক্টোবর ,শুক্রবার ২০২১।।
সবাইকে শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার লেখা শুরু করছি।বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম দুর্গোৎসব।দুর্গা পুজো ও ঈদ উদযাপন এই উৎসব দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষের দ্বারা পরিচালিত হলেও এই উৎসব দুটি কে সার্বজনীন উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এই উৎসব গুলোতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে যদিও এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতায় প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ আচার এবং নিয়ম অনুসরণ করে কিন্তু এই অনুষ্ঠানে যে আনন্দ উৎসবের আবহ তৈরি হয় সেই উৎসবে প্রত্যেক মানুষকে স্বাগত জানানো হয়।বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা উৎসবের আজকে শেষ দিন।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলা এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে আজকে।পুরাণ মতে মা দূর্গা তার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর গৃহে যেটাকে কৈলাস বলা হয় সেখানে ফিরে যাবে। অশ্রু জলে বিদায় জানানো হবে মাকে আর আবার সামনের বছর আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে।বিশ্বাস সংস্কার কে কতটা বাস্তব করে তোলে তার একটা বড় উদার হলো এই দুর্গাপূজা।
আমরা সবাই জানি বিগত দুবছর ধরে করোনাভাইরাস ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে এবং এখনও তার সেই টান অব্যাহত রয়েছে।যদিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনাভাইরাস।তাই সে নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখে যথাযথ পরিকাঠামো বাস্তবায়ন করে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি গাইডলাইনস কে মান্যতা দিয়ে অনেক কিছুই স্বাভাবিক করে দিয়েছে সরকার।
কারণ স্বাভাবিক না করলে মানুষের জীবন থেমে যাচ্ছিল।যদিও এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সেই ভাবে শুরু করতে পারেনি কোন দেশের সরকার।কিছু দেশে শুরু করলেও সেখানে রয়েছে অনেক অনেকটা সাবধানতা।তবু আমরা থেমে থাকতে পারিনা আমার সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
উৎসব আমাদের জীবনে অত্যন্ত অপরিহার্য বিষয় না হলে অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।জীবনকে সুস্থ স্বাভাবিক ও আনন্দঘন রাখা অত্যন্ত জরুরী।সেই ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উৎসবগুলো। এই অন্ধকার কাটিয়ে আলো উদযাপন করার মাধ্যমে মানুষকে নতুনভাবে উজ্জীবিত উদ্দীপিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।
এবারের দুর্গা পুজো পালনে কোনো রকম বিধিনিষেধ আরোপ করেননি সরকার।শুধুমাত্র করোনাকাল বলে অত্যন্ত সাধারণ কিছু নিয়ম পালন করতে বলেছে সরকার যেমন সবাই মুখে মাস্ক পরা সবাই মোটামুটি সামাজিক দূরত্ব রেখে আমাদের যাপন করা ইত্যাদি।এই সাধারণ কিছু নিয়ম পালন করে আমরা উৎসবটা আনন্দঘন করতে পারি।
যদি ও কিছু বাঙালি এই সব নিয়ম উপেক্ষা করে প্রত্যন্ত খামখেয়ালিপনা ভাবে উৎসব পালন করেছে।এই হঠকারিতার জন্য পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা আমাকে বারবার শংকিত করছে।শুধু আমাকেই নয় সকলচিকিৎসক মহল এবং সমঝদার লোকদের ও ভাবিত করেছে এই বিষয় টি।আমরা আশা রাখছি যেন পরিস্থিতি খারাপ না হয় ,পরিস্থিতির উন্নয়ন হোক।করোনার জন্য অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে এবার আমাদের সামনে এগোতে হবে।
করোনার কথা মাথায় রেখে এবার তেমন বাইরে যাওয়া হয়নি।নিজের পাড়া ও পাড়ার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পুজো দেখেই এ বারের পুজোটা কাটিয়ে দিয়েছি।সাধারণত প্রতিবছর দুদিন বাইরে পুজো দেখতে বেরোনো হয়। দুপুরবেলা বেরোনো হয় এবং প্রায় ভোর রাত্রে বাড়ি ফেরা হয়।একদিন কলকাতা এবং একদিন বনগাঁ এভাবেই বেশ কয়েকবছর পূজা দেখে আসছি।কিন্তু এবার নিজের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাইরে যাওয়া একদম বন্ধ করে দিয়েছি।
কারণ মানুষ হঠাৎ করে আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে যেভাবে সকল নিয়ম ভুলে করোনা নেই মনে করে তারা তারা চলাফেরা করছে এটা অত্যন্ত বিপদজনক। করোনাভাইরাস এমন একটা বিষয় যেখানে শুধু আপনি সচেতন থাকলে চলবে না আপনার পাশের প্রত্যেককেই সাবধানে থাকতে হবে নাহলে সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ।এবার আমাদের পাড়ায় মাতৃ প্রতিমা খুব সুন্দর হয়েছে। যেহেতু করোনায় প্যান্ডেল গুলোর প্রতি তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি তাই প্রত্যেকটা ঠাকুর অসাধারণ হয়েছে।
যদিও প্রতিবছরই ঠাকুর খুব সুন্দর করেই তৈরি করা।কিন্তু আমার মনে হয় এ বছর আরো বেশি সুন্দর হয়েছে
আমাদের পাড়া ও তার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি পাড়ার পুজোর ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
প্রত্যেকটা পুজার পেন্ডেলের থিম অনেক বেশি সুন্দর আর আকর্ষণীয় ছিলো।আর আকর্ষণীয় কোনো কিছু দেখতে সবার ই ভালো লাগে। যদিও করোনার জন্য এবার অনেক কিছুই দেখা হলোনা। তবে ধন্যবাদ আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
প্রত্যেকটা পুজো পান্ডেলের থিম অনেক সুন্দর ছিল। এবং ঠিকই বলেছেন ঈদ এবং দূর্গাউৎসব দুটোই সার্বজনীন উৎসব।
এবং করোনার জন্য উৎসব পালনে বাঙ্গালী অনেক লাগামহীন হয়েছে। কিন্তু আপনি এদিক থেকে অনেকটাই আলাদা। আগে যেভাবে দুপুরে বের হয়ে ভোরে বাড়ি ফিরতেন তার তুলনায় এই বছরে সেইরকম কিছুই করছেন না।
যাই হোক উৎসব বার বার আসবে। কিন্তু জীবন একটাই।
যখন ছোট ছিলাম পূজার পাঁচদিনেই অনেক এনজয় করতাম এবং বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতাম তবে এখন সময় না থাকার কারণে এক বা দুই দিন ঘুরে আসি। এবার ঘুরে এসেছিলাম সত্যিই অনেক ভাল লাগছিল দেখতে এবং প্রতিবারের মতো এবারও অনেক সুন্দর ভাবে দুর্গাপূজা পালিত হল।
দাদা আসলেই এই বছর সব দিক থেকে মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবেই পূজা শেষ হতে যাচ্ছে। আর আপনাদের প্যান্ডেল গুলা অনেক টাকা খরচ করেছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমি যেখানে থাকি তার আশে পাশে এমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল দাদা।🥰🥰🥰
একদম ঠিক। কই জন বা নিয়ম মানছে। আমাদের সচেতন ভাবে চলতে হবে।বন্ধু এই বছর ঘরের শহরে পূজা দেখলে সাধারণ ভাবে। আগামী বছর এক সাথে পূজা দেখা হবে। মায়ের কাছে এই কামনা করি যেনো পৃথিবী থেকে করোনা পুরোপুরি দ্রুত নির্মূল করে যেনো। ফোটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তোমার জন্য অনেক শুভ কামনা।
এই ব্যাপারটা তারা এখন উপলব্ধি ই করতে পারবেন না।যখন উৎসব শেষে বাড়ির সবাই আস্তে আস্তে জ্বর, কাশি,গলা ব্যথা আক্রান্ত হতে শুরু করবে তখন তাদের টনক করবে। তখন কিন্তু গাল মন্দ করবে সরকার কেই!!
আপনাকেও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এবারের মতো আপনাদের পুজা শেষ।আবার সামনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার দেয়া পোস্টটি সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দেবীমায়ের মূর্তিগুলি খুব সুন্দর হয়েছে।হয়তো দেবীমায়ের চলে যাওয়ার পর মানুষের উদাসীন ও অসচেতনতার কারণে করোনা বৃদ্ধি পাবে।দেবীমা সবাইকে মঙ্গল করুক ,সেই কামনায় করি।ধন্যবাদ দাদা।
আগে জীবন তারপর উৎসব । যদিও এবারের উৎসবটা অনেকটাই জটিলতা ছিল ,তবে আশাকরা যায় পরবর্তী সময় সবকিছু আরো নরমাল হয়ে যাবে । শুভেচ্ছা রইল।
দাদা করোনাভাইরাস এখন ছাই চাপা আগুনের মত রয়েছে। একটু হওয়া পেলেই তা আবার জ্বলে উঠবে। আমাদের হঠকারিতার জন্যই বারবার আমাদের বিপদে পড়তে হয়।আমাদের সবার উচিত এই কঠিন পরিস্থিতিতে সব নিয়মকানুন মেনে উৎসব পালন করা। তা না হলে পরে আমাদেরকে আবার সেই ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।
দাদা আপনি খুব সুন্দর করে কথা গুলো সাজিয়ে লিখেছেন। আপনার তোলা পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ,অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।