পানিফলের পায়েস রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ শেয়ার করব একদম ইউনিক আর মজার একটা রেসিপি। যেটা কেউ কখনো খেয়েছেন কিনা জানা নেই।তবে আমি প্রথমবার খেয়েই ভাবলাম এতদিন রেসিপিটা জানা ছিলনা কেন।পানিফল অনেকেই চেনেন নিশ্চয়ই।আর আজকে এই পানিফলের রেসিপি করে নিয়ে আসলাম।
মূলত পানিফলের সিজনে আমার হাজব্যন্ড ১কেজি পানি ফল নিয়ে এসেছিল।আর সেখান থেকে কয়েকটা পানিফল খাওয়ার পর আর কেউ খাচ্ছে না,সেগুলো পঁচে যাচ্ছিলো।তাই সে বললো আপেলের মত করে পায়েস তৈরি করে ফেলতে।প্রথমে ভাবলাম কেমন হবে,পরে ইউটিউবে রেসিপি আছে কিনা দেখলাম।তখন দেখলাম যে আসলেই তো পানিফলের পায়েস আছে। তাই সাথে সাথে সবকিছু রেডি করে পায়েস তৈরি করে ফেললাম।এটা খেতে খুব মজা হয়েছিল।বিশেষত রান্না করার পর বাদাম মত ফ্লেভার লেগেছিল। আমার ছেলেও মজা করে খেয়েছিল।যাইহোক ভাবলাম রেসিপিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। যদি আপনারাও কখনো ট্রাই করেন।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
|---|
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| তরল দুধ | ১/২ কেজি |
| পানিফল | ২০০ গ্রাম |
| কন্ডেন্স মিল্ক | ১ টেবিল চামচ |
| লবণ | ১/২ চা চামচ |
| এলাচ | ১টি |
| চিনি | ২ টেবিল চামচ |
| ঘি | ১ চা চামচ |
| পাউডার দুধ | ২টেবিল চামচ |
প্রথম ধাপ |
|---|
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে ১চা চামচ ঘি দিয়ে দিলাম। তারপর ঘি মেল্ট হয়ে গেলে কুচি করে কেটে রাখা পানিফল দিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
|---|
এই ধাপে পানিফলগুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। ১/২ লিটার দুধ দিয়ে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
|---|
এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করলাম। তারপর একটা এলাচ ভেঙে দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
|---|
এখন কিছুক্ষণ রান্না করে নেয়ার পর চিনি দিয়ে দিলাম পরিমাণ মত। সাথে দিলাম লবণ।
পঞ্চম ধাপ |
|---|
এখন ১টেবিল চামচ পরিমাণ কন্ডেন্স মিল্ক দিয়ে দিলাম। সাথে দিয়ে দিলাম গুড়ো দুধ। এভাবে রান্না করে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিলাম।
পরিবেশন |
|---|
ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পানিফলের পায়েস।এটা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিলাম।তারপর মজা করে খেয়ে নিলাম।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
|---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
|---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)



















পানি ফল আমার খুবই পছন্দ।তবে কখনো পায়েস করে খাওয়া হয়নি। এ ফল তো এমনিতেই খেয়ে নেই আমি।এতো কষ্ট করে রান্না করবো কতক্ষনে আপু।😂 তবে সময় নিয়ে দুধ,চিনি দিয়ে রান্না করলে আরও বেশী স্বাদের হয় খেতে। যা আপনার রেসিপি দেখে বেশ বুঝতে পারছি।ধন্যবাদ আপু দারুন সুস্বাদু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
পানিফলটা ছিলে খেতেই তো অনেক বেশি কষ্ট লাগে আপু। ভাবলাম কষ্ট করে যেহেতু খোসা ছাড়িয়েছি, তাই কিছু তৈরি করে ফেলি। কারণ এমনিতে ফল কেউ বেশি খায়নি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আজ আপনি ইউনিক একটি পায়েস রেসিপি শেয়ার করলেন। পানি ফলের পায়েস আগে কখনো নাম শুনিনি। পানিফল মানে এটা কি সাকআলু নাকি? দেখতে অনেকটা এরকম মনে হচ্ছে তবে পানিফল নামে কোনো ফল আমি কখনো শুনিনি। তবে রেসিপিটা কিন্তু দারুন হয়েছে। ইউটিউব দেখে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
এটা খুব কমন ফল নয় আপু, সেজন্য হয়তো চিনেন না।
পানি ফলের পায়েস আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার বা ডেজার্ট বলা যায়। আপনি যেভাবে পানিফল গুলো কুচিয়ে নিয়েছেন আমি বড় ফুটোওয়ালা গ্রেটারে গ্রেট করেনিই। আর মোটামুটি একই পদ্ধতিতে বানাই। এই রেসিপিটা আমি শিখেছিলাম আমার ঠাকুমার কাছ থেকে। এবছর জানেন আপু এখনো পর্যন্ত পানিফল চোখেই দেখলাম না। খুব লোভনীয় লাগছে আপনার তৈরি করা পানিফলের পায়েসটি দেখে।
পানিফলের সিজনে আমাদের এখানে প্রচুর পানিফল দেখেছি।
পানিফল দিয়েও যে এত চমৎকারভাবে পায়েস তৈরি করা যায় এটা আমার অজানা ছিল। যা নতুন করে আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। এরকম নিত্য নতুন জিনিসগুলো জানতে একটু বেশি ভালো লাগে। ইউটিউব দেখে পানিফল দিয়ে পায়েস রেসিপিটি তৈরি করার রন্ধন প্রণালী গুলি আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
এটা এত মজার যে কম হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব ইউনিক ও সুস্বাদু একটি রেসিপি ছিল। অল্প রান্না হয়েছে দেখে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। আগামীতে রান্না করলে বেশি করে রান্না করবা। আর নিভৃতও অনেক বেশি পছন্দ করেছে।
সেদিন তো অল্প তৈরি করেছিলাম কেমন হয় খেতে এজন্যই। তবে বেশ ভালো লেগেছিল। এজন্য সামনে বেশি করে রান্না করবো।
পায়েস খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পানিফলের পায়েস রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
পানিফল এমনিতে খেতেও বেশ ভালো লাগে। পায়েস তো আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
পানিফলের পায়েস রেসিপি দেখতে পেয়ে খেতে ইচ্ছে করছ। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে দারুন লেগেছ। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা দেখে,, ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
পানিফল কে আমাদের এলাকায় জলসিঙ্গারা বলে থাকে।সিঙ্গারার মতোই দেখতে এই ফল।আপনি চমৎকার লোভনীয় করে পানিফলের পায়েস করেছেন। দারুণ বানিয়েছেন পায়েসটি।ধাপে ধাপে পায়েস তৈরি পদ্ধতি চমৎকার করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
হ্যাঁ আপু জলসিংগারা নামটাও শুনেছিলাম। এটার অনেক চাষাবাদ হয় এখন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।